আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।। যে পত্রকথা হাওয়ায় উড়ে-১।।

♠ ব্লগার ইমন জুবায়ের ♠ মেঘের আড়ালে থাকা একটি নক্ষত্রের নাম নিরু , আছো কেমন? আজ আাকাশ দেখেছো? দেখনি বোধহয়! আজকের আকাশে যে তারাটি কম আলো নিয়ে জ্বলছে, একটি বার কল্পনা করে দেখলাম সে তারাটিই হলে তুমি, আর দুরের একলা উজ্জল আলো নিয়ে থাকা যে তারাটি সেটা হলো আমি। তোমার চারপাশে দ্যুতি আছে কিন্তু তাতে উজ্জ্বলতা নেই, আমার চারপাশে জুড়ে আলো আছে কিন্তু তাতে প্রাণ নেই। আজ খুব ইচ্ছে হলো আমার সব উজ্জল আলো তোমাকে দিয়ে দেই। যদি কোনদিন দিয়ে দেই, নেবে তো? না,কি আবার বলবে কারো আলোয় আলোকিত হতে চাইনা। জানিনা কি বলবে? তবে আজ না হোক, কাল-পরশু বাদ দিয়ে হলেও একদিন ঠিক দিয়ে দেব।

হয়তো তুমি তা ভাবতেও পারবেনা। তুমি জানোনা আমার চেয়ে তোমার বেঁচে থাকার দিন দীর্ঘ । আমার প্রস্থান হবার অনেক আগেই তোমাকে রাঙিয়ে দেব আলোতে। তোমার তো দেখা পাওয়া গেলনা গতকাল। হয়েছে কি জানো? কাল রাত ভর ইচ্ছেরা স্লাইড শো দেখিয়ে গেছে আমার চোখে।

একটার পর একটা কথা দিয়ে গল্প গাঁথছিলাম আমি, আর সেখানে সব বন্ধুদের ভীড়ে তোমার হাসি মেশানো শুকনো মুখটা মনে পড়ে যাচ্ছিল বারবার। সবার হাসি মুখ আমাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে। তুমি তো জানো আমার অনেক ইচ্ছে। সেই সব ইচ্ছের মাঝেই নতুন আর একটা ইচ্ছে মাথা চাড়া দিয়ে জেগেছে । বাড়ির পেছন পথে, না জানা গাছের পিঠে বেশ কদিন যাবত হলো ফুটে আছে নীল-হলুদ রঙা বেশ ক’টি ফুল।

দেখতে খুব সুন্দর না কিন্তু তাতে বেশ প্রাণোচ্ছল ভাব সুস্পষ্ট। আমি কখনো শুনিনি তুমি কোন ফুল পছন্দ করো তাই জানা ফুলের জগৎ থেকে তোমাকে কি আর দেবো? ভেবে দেখলাম না জানা সেই ফুলটিই দেব । প্রশ্ন করতে পারো যদি ঝড়ে যায় সে ফুল তাহলে কি হবে? যদি এই নগরে পা ফেলবার আগে তোমার দেখা না পায় জীবন্ত সে ফুল তাহলে কি হবে? সে নিয়ে তুমি ভাবতে যেয়ো না। আমি রেখে দেব, যেমন করে রেখে দিয়েছি ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার বয়সের সেই ময়ূরপাখাটিকে। গতকাল পুরোনো সে ডায়েরির পাতা খুলে আরেকটিবার দেখে নিলাম ছোটবেলায় রাখা সে ময়ুরপাখাকে।

তুমি কি দেখেছ নিরু, ভেসে যাওয়া ফুল ঘুরে কত ঘাট-বেঘাট। তবুও সে ফুল। যতক্ষণ না সে চুপসে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সে জীবন্ত ফুল। চুপসে যাওয়া ফুলও কেউ কেউ জমিয়ে রাখে সেখানে স্বপ্ন বেচবে বলে। নিরু কাজের ভীড়ে আজকাল খুব করে উদাস হচ্ছি, ভাবে সেটা মনে হলেও আমি কিন্তু বলতে পারছিনা যে, এ জীবনটা বদল করতে ইচ্ছ হয়।

আজকাল পাখি হতে ইচ্ছে করে খুব। তাতে রোজ ঘুড়ে দেখা যেত তোমাদের ক্ষত নদীটাকে। কিন্তু সেটি হচ্ছেনা। আমরা কষ্টের মতো ক্ষতকে ও লুকাই। নিরু একটা কথা বলবো, জানি একটু আঘাত তোমার বুকটাকে চিরে দিয়ে যাবে তবুও বলি ,কষ্ট তো কতই থাকে জমা।

বুকের অগ্নি চুলোয়। তবুও অনেকেই সেটা শত চেষ্টা করে নেভাতে পারিনা। যদিও জলের ভার বয়ে আসছি আমরা বছরের পর বছর। জমা রেখেছি দৃষ্টিকূপে। তবুও কিন্তু সে জলে নেভাতে পারিনা-সে আগুনকে যে, আগুনটা পোষাপাখির মতো বেড়ে উঠে আমাদের লক্ষ্যে-অলক্ষ্যে।

যে স্মৃতি তোমাকে প্রিয় আরশিটির মতো ভেঙ্গে দেয় রোজ একটিবার তাকে তুমি বদলে ফেলতে পারো। সে জন্য শুধু তোমার ইচ্ছেই যথেষ্ট। তুমি দেখোনি একলা প্রজাপ্রতি অনেক উড়ে, অনেক ঘুড়ে তার সৌন্দর্য্য লেগে থাকে তার গায়, যখন সে দলবেঁধে উড়ে তার সৌন্দর্য্য প্রকৃতিকে ধাঁধায়। তুমি ভাঙা খোসা থেকে বের হয়ে এসো নিরু, হাত মেলাও প্রকৃতির সাথে দেখবে তুমি তাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে গেছো। তাতে তোমার মন থেকে জমে আছে যা তা হালকা ঘুড়ি হয়ে উড়তে থাকবে দূর আকাশে।

নিরু জীবনটা মাত্র কয়েকদিনের। সেখানে হাসতে হয় সুবাস ছড়িয়ে, কাঁদতে হয় লুকিয়ে, বাসতে হয় সব কিছু দিয়ে, কুড়াতে হয় আঁচল পেতে। তুমি এর সব কিছুই পারো তাহলে কেন বাষ্প হয়ে উড়বে? তুমি কি উচ্ছল ঝরণা হতে পারো না? তুমি কি স্বচ্ছ সরোবর হতে পারো না? নিরু তুমি পারবে অন্ধের মতো বিশ্বাস গলায় বাধো তুমি ঠিক পারবে? =========================================== ৭ ই আগষ্ট-২০১২ সুসং নগর রিভার ষ্ট্রীট, ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।