এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম ।
তবে এই তথ্যটা সঠিক কিনা আমি নিশ্চিত নই । তো একদিন রওয়ানা হলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাম দেখতে । অপরূপ সুন্দর এই গ্রামটিতে কমলারানীর সাগর দীঘি, রাজবাড়ি, বিথঙ্গল আখড়া, দাড়া-গুটি এমনসব দর্শনীয় স্থান নিয়ে আমি আজ লিখছি না । আমার দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছে একটি নদীর নামের প্রতি । নদীর নাম শুটকী, ইহা কুশিয়ারা নদীর একটা শাখা নদী ও বটে ।
ঢাকা থেকে বানিয়াচং এর দিকে যেতে শুটকী নদীর ব্রীজের উপর দাড়িয়ে ডানে ক্যামেরা তাক করলে শুকনো মৌসুমে এমন ছবি উঠবে, নদীর পাড় ধরে মানুষ চলাচলে অনেকগুলো পথের সৃষ্টি হয়েছে ।
ঢাকা থেকে বানিয়াচং এর দিকে যেতে শুটকী নদীর ব্রীজের উপর দাড়িয়ে বামে ক্যামেরা তাক করলে শুকনো মৌসুমে এমন ছবি উঠবে, মাঝখানে ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো দেখতে, ওখানে শ্রান্ত হাঁসেরা বিশ্রাম নেয় ।
শুকনো মৌসুমে তৃষ্ণার্ত গরুদের পিপাশা মেটানোর অন্যতম পানির আধার এই শুটকী নদী ।
ওরা শাক তুলছে নদীর পাড় থেকে ।
এই এলাকার মাছের চাহিদা পুরণেও এই নদী বড় ভূমিকা রাখে, জেলেরা নৌকা থেকে মাছ নামাচ্ছে ।
মাছগুলো দেখতে কিন্তু বেশ
শুটকী নদীর ক্ষুদে জেলে ।
শুটকী পাড়ের রাখালের দল ।
শুটকীর পাড়ের আরো কিছু লোক, গরুর গোবর নিয়েই যাদের কারবার ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।