আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবে তো নোবেল লরেটে ভরে যাবে দেশ। এত নোবেল দিয়ে করবটা কী?

রাজনীতিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ হিসেবে পরিচিত ক্ষমতাসীন এক রাজনৈতিক নেতার মন্তব্যে দেশ জুড়ে তোলপার। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বলেন, `একটা কথা মনে রাখা দরকার শেখ হাসিনা যদি সাহায্য না করতেন আর বঙ্গবন্ধুর ফর্মূলা যদি প্রয়োগ না করা হতো তাহলে ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে এত দূর এগোতে পারতেন না। View this link যারা একটু খোজ খবর রাখেন তাদের বুঝতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা না যে এই নেতা কিছু দিন আগে যে একটি ব্যাংক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন দলে তার যৌক্তিকতা প্রমাণ করার প্রয়োজনীয়তা না থাকলে লোক হাসানো এই মন্তব্য করতেন না। কিন্ত আমি চিন্তিত অন্য বিষয় নিয়ে। খান সাহেবের বক্তব্য অনুযায়ী ইউনূস যত দূর গিয়েছেন (মানে নোবেল পেয়েছেন) তত দূর যেতে হলে একজন ব্যক্তির দুটি বিষয় প্রয়োজন।

শেখ হাসিনার সাহায্য এবং বঙ্গবন্ধুর ফর্মূলা। তাই যদি হয় তবে মহিউদ্দিন খান আলমগীর র মত আওয়ামী বুদ্ধীজিবিরা যারা শেখ হাসিনার সাহায্য আরো বহু গুনে বেশি পেয়েছেন / পাচ্ছেন আর যারা বঙ্গবন্ধুর ফর্মূলা আরো নিপুণ ভাবে আয়্ত্ত্য করেছেন তারা নোবেল তো পাবেন ই এবং আরো বহু দূর চলে যাবেন। তার অপেক্ষা আমরা করতেই পারি। মহিউদ্দিন সাহেব আবশ্য একটি গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ কৌতুহলের মধ্যে বহু দিন, প্রধানমন্ত্রী দেশের এত গুরূত্বপুর্ণ সমস্যা বাদ দিয়ে ইউনূস কে নিয়ে কেন এত ব্যস্ত? মহিউদ্দিন সাহেব বলে দিলেন যে ইউনূস বঙ্গবন্ধুর ফর্মূলা ধার নিয়েছেন এতা স্বীকার করে নিলেই আর এত কিছু পোহাতে হতো না।

আমরা বুঝলাম, আওয়ামী লীগ চায় না বাঙ্গালী বা বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বা শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারো নামে বিশ্বে পরিচিত হোক। কিন্তু এভাবে কি ইতিহাস পরিবর্তন করা যায়? ইতিহাস সবার প্রাপ্য মর্যাদা ঠিক ই দেয়। সামান্য কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয় শুধু। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।