আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীন ব্যাংক, ব্রাক সহ অন্যান এনজিও গুলো কি আসলেই সফল ?

দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান গুলি কি আসলেই সফল না বিফল- এই বিষয়ে আমি আসলে কিছুটা দিব্ধাগ্রুস্ত। পত্রিকায় যখন মাঝে মাঝে পড়ি যে ক্ষুদ্রু ঋন নিয়ে রহিমা তার জীবণ কে বদলে দিয়েছেন। তখন মনটা বেশ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সেঈ সাথে মনে আবার প্রশ্নের উদ্রেগ হয়। কারন ছুটিতে যখন গ্রামের বাড়ি যাই যখন দেখি গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষই ঋণ নিয়েছেন কিন্তু বছরের পর বছর চলে গিয়েছে কিন্তু তাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আসেনি।

আর যদি তা সংখ্যায় প্রকাশ করতে চাই তাহলে দেখা যাবে যে ১০০ জনের মধ্যে হয়তবা ২-৩ জন ছাড়া কেউ সফল হতে পারেনি। বা বলা যায় ঋনের সফল ব্যবহার করতে পারেন নি। আমি জানিনা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই পরিসংখ্যান টা কেমন? আর পরিসংখ্যান টি যদি অন্যান্য অঞ্চলে ই একই রকম হয় তাহলে প্রশ্ন আসে তারা কি আসলেই সফল দারিদ্র্য দূরীকরণে ? এক সময় আমিও ভাবতাম যে জেহুতু ঋণ গ্রহীতারা বেশির ভাগ সময়েই এর সঠিক ব্যবহার না করার কারণে তারা তাদের ভাগ্যর চাকাকে পরিবর্তন করতে পারছেন না । আবার তখন ভাবতাম যে আসলেই কি শুধু তাদের দোশ?কারন বিষয় টা একটু ভাবুন যে - কিছু মানুষ কে আপনি টাকা ধার দিলেন আর বললেন যে যাও এবার তোমার জীবন কে বদলে দাও। তা বললেই যে তাদের জীবন বদলে যাবে এমন না।

আমি ঠিক বুঝতে পারিনা যে যখন এই এনজিও গুলো দেখছে যে ৯০ ভাগ দরিদ্র মানুষ গুলো ঋন নিয়ে সফল হতে পারছে না তখন তারা কেন বলছে যে দারিদ্র দূরীকরণে তারা সফল। আর যদি তারা বলে যে আমি তো ঋন দিয়েছি কিন্তু তারা যদি এর সঠিক ব্যবহার না করে তাহলে আমার কি দোষ? তাহলে তো বুঝাই যায় যে শুধু টাকা দিয়ে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হবেনা। তাদের অনেক নিশ্চয় অনেক বড় বড় গবেষক আছেন যারা নিশ্চয় এর উত্তর দিতে পারবেন যে ঋনের সফল ব্যবহার কিভাবে নিশিচত করা যায়? কেউ কেউ একথাও বলেন যে , এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তারা আর এক এঞ্জিওতে পরিশোধ করেন। আসলেই আমি আমার নিজ গ্রামেও অনেক কে দেখেছি যে এই অবস্থায়। আবার সেই সময় এদের দেখে কসটোও লাগে।

আবার অন্য দিকে এটা দেখেও খারাপ লাগে যে , এঞ্জিও গুলা শুধু ঋন দিতেই ব্যস্ত । দেখে মনে হয় যে , ঋন নিয়ে যে বেশির ভাগ মানুষ কেন সফল হচ্ছেনা কেন তা নিয়ে যেন তাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই । আর ঠিক তখনি মনে প্রশ্ন জাগে যে আসলেই কি তাদের উদ্দেশ্য দারিদ্য দূরীকরণ করা নাকি ব্যবসা করা ? শুনেছি যে পৃথিবতে এমন কোন ব্যবসা নেই যে সেখানে ঝুকি নেই। কিন্তু এটি নাকি এমন ব্যবসা যে যেখানে কোন ঝুকি নেই। অরথাত বিনোয়োগ করলেই ১০০ ভাগ লাভ অবশ্যম্ভাবী।

আর এই জন্যই মনে হয় বাংলাদেশের বেশির ভাগ এঞ্জিও গুলা ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে বেশি আগ্রহী। আমার মনে সব সময় একটা প্রশ্ন জাগছে যে , যখন আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই তাদের এই ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে সফল হতে পারছেনা তার পরও এভাবে ঋন দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য টা কি তাদের ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.