আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাউনের চালের পায়েশ

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) ইফতারীতে যারা ভাজা-পোড়া খেতে খেতে ক্লান্ত তাদের বেশ ভাল লাগবে এই পায়েশটি। অনেকেই হয়ত জানেন পায়েশটি কিভাবে রান্না করতে হয়, যারা জানেনা তাদের জন্যে রেসিপিটি।

আর যারা জানেন তাদের বলছি কোথাও ভুল-ত্রুটি হলে ধরিয়ে দেবেন। উপকরণ: ১। কাউনের চাল : ১ কাপ (মোটামুটি বড় সাইজের চায়ের কাপ দিয়ে মেপে নিয়েছি) ২। পোলার চাল : ২ মুঠো পরিমান ৩। চিনি : চায়ের কাপের ২কাপ (প্রয়োজনে কম বেশী চেখে নেবেন) ৪।

তেজপাতা : ২টি ৫। দারচিনি : ৩/৪ টুকরো ৬। এলাচি : ৪/৫টি ৭। দুধ :২লিটার (জ্বাল দিয়ে দেড় লিটারের মতন করবেন) প্রণালী: একটি পাত্র দুধ জ্বাল দিন। দুধ জালানোর সময় একচিমটি লবন দিয়ে দিন।

কাউনের চাল ও পোলার চাল ধুয়ে চালের দ্বিগুন পানি দিয়ে একটি পাত্রে জ্বাল দিন। দারচিনি-এলাচি-তেজপাতা চালের সাথে দিতে পারেন আবার দুধের সাথেও দিতে পারেন। চাল ভাল করে ফোটাতে হবে। কাউনের চাল তাড়াতাড়ি ফুটে যায়। সে ক্ষেত্রে চাইলে পোলার চালটা আগেই ফুটিয়ে নিতে পারেন (আপনার ইচ্ছা)।

খেয়াল রাখবেন যদি পানি শুকিয়ে যায় আর চাল না ফুটে তবে প্রয়োজনে একটু পানি দেবেন। কোন মতেই নিচে যাতে লেগে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এবার চাল ফুটে গেলে ওতে আগেই জালিয়ে রাখা দুধ আর চিনি মেশান। কিছুক্ষন নাড়ুন। বড় বড় ফোটা উঠলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে ইচ্ছে মতন কিসমিস, পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

নোট: ১। কাউনের চালের পায়েশ খেজুর গুড় দিয়ে রান্না করলে বেশী মজা হয়। তাই চাইলে চিনির পরিমান কম দিয়ে গুড় দিতে পারেন। ২। পায়েশে পোলার চাল টা অপশনাল।

কাউনের চালটা একটু ছাবা ছাবা লাগে বিধায় পোলার চাল মিশিয়েছি। আপনি চাইলে পোলার চাল না দিয়ে শুধু কাউনের চাল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ সতর্কতা: রান্না-বান্না মোটামুটি ভাল লাগলেও আমি আসলে তেমন ভাল কোন রাঁধুনী নই। রান্না নিয়ে পোষ্ট দেই তবে সব হাবিজাবি মার্কা। সাদাভাত-আলুভর্তা এই টাইপ আরকি।

আমার এসব পোষ্ট দেখেই অনেকেই মনে করেন আমি ভাল রাঁধুনী। আর আমার কাছে আশাও করেন রান্না বিষয়ক পোষ্ট। ভাল না পারলে কিভাবে দেবো বলেন? তাই কেউ এরকম লজ্জা দেবেন না আমাকে। কিছুদিন আগে কয়েকজন ব্লগার বলেছিলেন ইফতারীর রেসিপি দিতে। তাদের জন্যে আশাকরি কাজে লাগবে রেসিপিটা।

পোষ্ট টা কামরুল হাসান শািহ ভাইয়াকে উৎসর্গ করা হলো। ভাইয়া অনেক দিন আগে একটা মিষ্টি খাবারের রেসিপি চেয়েছিলেন। এতদিন আগেই চেয়েছিলেন যে আমার মনে হয় ভাইয়া নিজেই ভুলে গেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.