আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর নয় ‘অলসতা’

অলস কথাটা নিজের বেলায় শুনতে মোটেও ভালো লাগে না। যদি কেউ তোমাকে অলস বলে ফেলে তখন কিন্তু তোমার যথেষ্ট খারাপ লাগার কথা। কিন্তু অলস হয়ে বসে থাকার সময় আমাদের মাথায় এসব চিন্তা আসে না। কেউ অলস বলার আগেই অর্থাৎ নিজের দোষটা অন্য কেউ ধরিয়ে দেয়ার আগে নিজেই তা সারিয়ে ফেললে ভালো হয় না? আলসেমি থেকে বেরিয়ে আসাটা কিন্তু কোনো কঠিন কাজ নায়। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় তা তো জানই।

আলসেমির উৎস সন্ধান অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আলসেমি একটি বংশগত রোগ। পরিবারের লোকজনের মধ্যে আলসেমির লক্ষণ থাকলে তোমার মধ্যেও তা আসতে পারে। আবার অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণেও আলসেমি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে যারা একটু তুলনামূলক ফ্যাট তারাও আলসেমিতে ভুগে থাকেন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, আলসেমি ব্যাপারটা মূলত একটা বিদঘুটে মনের ভাব।

অলস হওয়ার প্রশ্রয় একবার পেয়ে বসলে আলসেমি জিনিসটা স্বভাবে দাঁড়িয়ে যায়। তাই এটা কাটিয়ে উঠতে প্রথমেই যেটা দরকার তা হলো মনের জোর এবং নিজের কর্মক্ষমতার ওপর বিশ্বাস। ‘আমার কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করছে না। এখন না, থাকুক। ওটা পরে করব।

এখন একটু ঘুমিয়ে নিই। ’ এ ধরনের মনোভাবকে ইচ্ছা করলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া যায়। পুরো ব্যাপারটা আসলে নির্ভর করছে তোমার ওপর। আলসেমি আর না- অনেকক্ষণ পরিশ্রম করার পর খুব বেশি ক্লান্তিবোধ করলে হাতের কাজ রেখে একটু বিশ্রাম নিতে পার, শরীরটাকে এলিয়ে দিতে পার বিছানায়। তবে প্রতিদিন এটা করলে ধরে নিতে হবে তুমি ভারি অলস, এতে তোমার পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হবে।

এর প্রভাব পড়বে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনে। আমাদের এই ছোট্ট জীবনে করার মতো কাজ অনেক কিন্তু সময় খুব কম। তাই আলসেমি করে সময় নষ্ট করলে এক সময় পস্তাতে হবে। শরীরকে তো একটু-আধটু প্রশ্রয় দেবে। তবে সেটা খুব বুঝেশুনে।

কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়। সময় নষ্ট করাকে প্রশ্রয় দিলে আলসেমি তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। আবার মনের জোরে যদি কাজে নেমে পড়তে পার, তাহলে দেখবে আলসেমি কোথায় পালাবে। আলসেমি শুধু পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে না, ক্ষতি করে সম্পর্কেরও। আলসেমির কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কোনো মধুর সম্পর্ক।

কারও সঙ্গে দেখা করার সময় যদি আলসেমি করে নির্দিষ্ট সময়ের পর স্পটে যাওয়া হয়, তাহলে প্রিয়জনের গোমড়া মুখ দেখা অনেকটাই নিশ্চিত। আর এভাবে একাধিকবার হলে তো কথাই নেই। একেবারে সম্পর্কের সাড়ে সর্বনাশ! তাই সাবধান। কেউ কিছু করছে না। আমি কী করব? এসব ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।

তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে নিজের জন্য। এগিয়ে যেতে হবে নিজের শক্তিতে। যদি অসুস্থতা তোমার আলসেমির কারণ হয়, তাহলেও ঘাবড়ে যেয়ো না। কোনো কাজ করতে চাইলে নিজেকে নিজে উৎসাহ দাও। মনে করো, একবার একটা সুযোগ হাতছাড়া হলে দ্বিতীয় সুযোগ কবে পাবে তার ঠিক নেই।

তাই অলসতা কাটিয়ে নতুন উদ্যম ও উৎসাহে জেগে ওঠো এখনি। দেখবে, তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নতুন এক পৃথিবী, যেখানে তুমিই সেরা। তুমিই সব। টিপস এ পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করো। কোন কাজটা আগে এবং কোনটা পরে করবে, সেটা বুঝে নিয়ে প্লানিং করলে উৎসাহ হারানোর আশঙ্কা কম।

অলস লোকদের কথায় মোটেও প্রভাবিত হবে না। বেশি ভেবে সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়ো। অনেক সময় কাজ করতে করতেই নতুন আইডিয়া মাথায় আসে। নতুন কিছু করতে চাইলে কারও উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজে উদ্যোগ নাও এবং তারপর লোকজন জোগাড় করার চেষ্টা করো। সহজে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ো না।

হতাশায় ভুগে নিজের উৎসাহ নষ্ট না করে কীভাবে হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে সব শুরু করবে, তার দিকে গুরুত্ব দাও। মূল লেখক: জাহাঙ্গীর আলম মাসুম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।