আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাই যখন প্রতিপক্ষ

আরিফুজ্জামান মামুন রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে সরকার। আর এসব ব্যর্থতার যেই সমালোচনা করুন না কেন তাকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে সরকার। এখন একে একে সবাই প্রতিপক্ষ হতে হতে আর কোন পক্ষ নেই সরকারের। বিরোধী দলতো সরকারের জন্মকালেরই প্রতিপক্ষ। এখন সুশীল সমাজ, মিডিয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগি সংস্থা, বিভিন্ন দেশ প্রতিপক্ষ।

এমনকি একদা বিশাল জসমর্থন পুষ্ঠ সরকারের সাড়ে তিন বছরের মাথায় এসে সেই জনগনকেই প্রধান প্রতিপ বানিয়েছে সরকার। সরকার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত দিতে পারছে না। জনগণ ভোট দেবে না, সেই ভয়ে। বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিলের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা, সরকারের মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের বিপে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ‘দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতি হয়নি’ বলে জিকির তুলেছেন।

আবার দুদক দুর্নীতির তদন্ত করছে। প্রশ্ন উঠেছে যদি দুর্নীতি না হয়ে থাকে তাহলে দুদক দিয়ে তদন্ত কেন? কেনইবা বিশ্বব্যাংককের চিঠি প্রকাশ করা হচ্ছে না? দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বর্তমান দফতর বিহিন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলছেন, বিশ্বব্যাংক বিতর্কিত সংস্থা। আরো অনেক মন্ত্রী, নেতা বলছেন বিশ্বব্যাংক নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিশ্বব্যাংককে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বব্যাংকের অনিয়ম, দুর্নীতি, বিতর্কিত ভূমিকার কথা তো অতীতে কোনোদিন সমালোচনাকারীদেও কারো মুখ থেকে শুনা যায়নি।

এখন কেন বলছেন? ঋণচুক্তি বাতিল হয়েছে বলে? বিশ্বব্যাংকের অর্থে যে আরো ৩৫টি প্রকল্প চলছে, সেেেত্র সরকারের বক্তব্য কী? দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্প চালাচ্ছে কেন? সেগুলো কী বন্ধ করে দেবে? বর্তমান সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা কী করছেন, কী বলছেন, কেন বলছেনÑ তার ব্যাখ্যা তারাই ভালো দিতে পারবেন। তবে সাধারণ জনগণ একটি বিষয় পরিষ্কার করে বুঝতে পারছে বিশ্বব্যাংক সরকারের অন্যতম প্রধান প্রতিপ। আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বলছেন, দেশের মানুষ একবেলা বাজার না করে সেই অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু করবে। সাজেদা চৌধুরী মনে করছেন, দেশের সব মানুষ তার মতো শুল্কমুক্ত বিশাল গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। গাড়িভর্তি করে দুবেলা বাজার করেন।

কিন্তু এই দেশের দুই কোটির ওপরে মানুষ একবেলা বাজার করতে পারেন না। তিনবেলা নয়, সারা দিনে একবেলাও পরিপূর্ণ আহার জোটে না কোটি মানুষের। পনেরো-ষোল লাখ শিশু এ দেশে রাস্তায় থাকে। সাজেদা চৌধুরীদের একেকটি বক্তব্যে পরে জনমানুষ পরিণত হচ্ছে প্রতিপ। ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু করবো।

প্রয়োজনে টিফিনের টাকা দিয়ে, সাধারণ মানুষের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হবে। সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, প্রয়োজনে চাঁদা তুলে সেতু করবেন। নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করব, বাজার না করে বা চাঁদা তুলব... প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরেক নেত্রী সাজেদা চৌধুরীর বক্তব্যকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘বিদেশি সাহায্য ছাড়া পদ্মা সেতু করা সম্ভব নয়। ’ মানুষ কোথায় যাবে? কার কথা শুনবে? কার কথা বিশ্বাস করবে? কে কার প বা প্রতিপ? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। র‌্যাব ভেঙে দিতে বলেছে, পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিচার বন্ধ করতে বলেছে।

এই বিষয়গুলোর প্রতিবাদ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই করতে পারে। করা উচিত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রতিবেদনও একাডেমিকভাবে সুবিন্যস্ত। সেই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ হওয়া উচিত ছিল সংগঠিতভাবে, পরিকল্পিতভাবে।

সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি ভালোমতো পড়ে প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারত। কিন্তু সেটা না করে র‌্যাব, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে যার মতো করে ুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। যে কারণে সরকারের বক্তব্য, ব্যাখ্যার চেয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কথার বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি হয়ে গেছে। সরকারের একেকজনের আচরণ থেকে স্পষ্ট একটি মানবাধিকার সংগঠনকেও সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। কুইক রেন্টালের ফাঁদে আটকে গেছে সরকার, দেশ।

বের হবার চেষ্টাও করছে না। যারা এই বিপদ সামনে এনে তথ্য দিয়ে কথা বলছেন, সরকার তাদের বিষোদ্গার করছে। ছোট্ট একটি দালাল শ্রেণী তৈরি করেছেন এর পে কথা বলার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা যারা কুইক রেন্টালের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদেও জ্ঞানপাপী দেশবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সরকার অন্যায়, অনৈতিক এবং ভুল সিদ্ধান্তের পে অবস্থান নিতে গিয়ে জনগণের বিপে অবস্থান নিয়ে ফেলছেন।

দৃশ্যমান অসৎদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে গিয়ে সরকার ক্রমশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়। সরকারের ভুল আচরণের কারণে ড. ইউনূস এখন দেশের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছেন। হিলারি কিনটন যখন ড. ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে মিটিং করেন তখন সরকার বিরক্ত হয়। ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানো হয়েছে।

তাতে ড. ইউনূসের কোনো তি হয়নি। পৃথিবীতে ড. ইউনূসের গুরুত্ব একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। যে ড. ইউনূস হতে পারতেন সরকারের, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি, তিনি সরকারের সবচেয়ে বড় প্রতিপ। অনেক কাটখড় পুড়িয়ে হিলারি কিনটনকে বাংলাদেশ সফরে আনা হয়। একে কূটনৈতিক সফলতা বলে স্বতির নিশ্বাস ফেললো সরকার।

কিন্তু হিলারি বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর যুদ্ধ ঘোষণা করা হলো তার বিরুদ্ধে। কেন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক বা ড. ইউনূস প্রসঙ্গে কথা বললেন? শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গই বা কেন উত্থাপন করলেন? সংসদের ভেতরে-বাইরে নেতা, মন্ত্রী, এমপিরা তুলোধনা করলেন হিলারীকে। হিলারির সফরের কোনো সুফল ঘরে তুলতে পারেনি সরকার। জনগণ দেখেছে আমেরিকার সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্কে উন্নতি তো হলোই না বরং আরও অবনতি হলো। হিলারি, আমেরিকা হয়ে গেল বর্তমান সরকারের প্রতিপ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পে দৃঢ় অবস্থান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের। সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপ। ে তাই নেতা-মন্ত্রীরা প্তি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ওপর। প্রকাশ্যে কথা বললেন তারা। বলা এখনও বন্ধ করেননি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকেও সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। বাংলাদেশ সফর কওে গেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জার্মানি এখন ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র। ইউরোপের অন্য দেশের অর্থনীতি যখন মন্দাক্রান্ত, জার্মানির অবস্থা তখন রমরমা। গ্রিসসহ ইউরোপের অনেক দেশকে অর্থ সহায়তা করছে তারা।

প্রায় ৪ লাখ চাকরি খালি জার্মানিতে। ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশ থেকে দ কর্মী নিচ্ছে তারা। দতা না থাকায় এ েেত্র বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে জার্মান সরকার খুবই বিব্রত। কারণ, সাগর জার্মানির ডয়চে ভেলেতে কাজ করেছে অনেকদিন।

জার্মানির মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি, সাগরের সহকর্মীরাও একটা চাপ তৈরি করেছেন জার্মান সরকারের ওপর। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে যে মানবাধিকার, গুম, খুন নিয়ে কথা বললেন, তা এসবেরই প্রতিফলন। সরকার এতে একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল।

জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে কড়া প্রতিবাদ জানানো হলো। দৃশ্যমানভাবেই জার্মানি এখন সরকারের প্রতিপ। জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলেন। তিনি জাপানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেই প্রস্তুতি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছিল সেটা দৃশ্যমান ছিল না।

কর্মী নিয়োগ, বাণিজ্য কোনো বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেনি। অপ্রাসঙ্গিকভাবে পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেল নিয়ে কথা বলেছে। এক বাক্যে নাকচ হয়ে গেছে পদ্মা সেতুর আলোচনা। মেট্রো রেলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নিতে পারেনি। সুতরাং আলোচনার কোনো বিষয় ছিল না।

কিন্তু জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী যাবার সময় পরিষ্কার করে বলে গেছেন, জাপানিদের করের অর্থ ঠিকমতো ব্যবহার হতে হবে। সুশাসন থাকতে হবে। দুর্নীতিমুক্তভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জাপানিজদের মুখে এমন কথা এই প্রথম। ইতিপূর্বে তারা সাহায্য অনেক দিয়েছেন, কিন্তু এমন কথা বলেননি।

তার প্রতিও আমাদের সরকারের মনোভাব প্রতিপরে মতোই। সুযোগ পেলেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ নেতা-মন্ত্রীরা সুশীল সমাজকে নিয়ে রসিকতা করেন। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। এতে সুশীল সমাজের সক্রিয় অংশটি আরও বেশি সমালোচনা করে লিখছেন, কথা বলছেন। নিষ্ক্রিয় আওয়ামীপন্থী সুশীল সমাজ মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন।

একজন-দু’জন সামান্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার চেষ্টা করলেও জনরোষের ভয়ে অধিকাংশই চুপ থাকার কৌশল নিয়েছেন। এখানে স্পষ্ঠ সুশীল সমাজকেও প্রতিপক্ষ বানিয়েছে সরকার। শেয়ারের ুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য হৃদয় কাঁদেনা প্রধানমন্ত্রীর, উপদেষ্টার বা মন্ত্রীর। সরকারের কারসাজিতে নিঃস্ব ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে তাচ্ছিল্য করেছেন তারা। অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারকে ফটকাবাজ, জুয়ার আসর বলেও মন্তব্য করেছেন।

এভাবে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে সরকার। মিডিয়ার প্রতি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিডিয়া সত্য কথা বলেনা। টকশো প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ কওে একে মধ্যরাতের টক শো বলে অভিহিত করেছেন। মিডিয়া সত্যি কথা লেখে না, বলে না। গল্প বলে, গল্প লেখেÑসম্প্রতি বলেছেন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

সরকারের অনেকেই সবসময়ই এমন কথা বলছেন। সরকার মনে করছে, মিডিয়ার সব মানুষ তাদের প্রতিপ। আওয়ামী সরকার চায়, তাদের অপকর্মেরও সমর্থন করতে হবে মিডিয়ার। তা না করে সমালোচনা করলেই ুব্ধতার প্রকাশ। এভাবেই মিডিয়াকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে সরকার।

সরকারের একমাত্র দৃশ্যমান মিত্র ভারত। কিন্তু কোনো প্রাপ্তি নেই। ভারতকে সরকার দিচ্ছে দু’হাত খুলে, পাচ্ছে না কিছুই। সীমান্তে হত্যা চলছেই, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তিস্তা চুক্তি হয়নি, হয়নি ছিটমহল সমস্যার সমাধান।

বিনা ফিতে করিডোর দিয়ে দেয়া হয়েছে। যার সঙ্গে মিত্রতা হলে কিছু পাবার সম্ভাবনা ছিল সেই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে শত্রুতা। দেশের ভেতরে-বাইরে সবাই সরকারের প্রতিপক্ষ, পক্ষ নেই। আমেরিকা, ইউরোপ, বিশ্বব্যাংক, ড. ইউনূস, শেয়ারে ুদ্র বিনিয়োগকারী, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন সবাই সরকারের প্রতিপ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.