আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তৃতীয় শক্তি আর কেউ নয়:: আপনি আমি সবাই:: আসুন জাতির এই দুঃ সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: মুক্ত করুন জাতিকে!!! জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাহেবের তোড়জোড় ও দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার সেই বৃটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সেই লর্ড ক্লাইভ এর কথা মনে পড়ছে।

সেই দিন কি আর এখন আছে বন্ধু!!! বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠেছে। সেই সাথে অর্ধশিক্ষিত বা সামান্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন সাধারণ মানুষকেও এখন কোনো কিছু বুঝিয়ে বললে কিছু না করতে পারলেও অন্তত বোঝে। শুধুমাত্র কিছু রাজনীতিক নামের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এতো এতো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে কেনো? সেই বৃটিশরা কৌশলে আমাদের রক্ত চুষে আজ পর্যন্ত তাদের সম্রাজ্য ধরে রেখেছে। আগে ওরা ওপেনে করেছে আজ করছে গোপনে। এই জন্যই তো এই গোপন বৈঠক।

জেগে ওঠেন বন্ধু। আপনাদের ঘুম ভাঙ্গাতে যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষ এসেছেন। আমরা তাদের বুঝিনি। আমাদের দেয়ালে কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফোল্ডারে আজ নজরুলের ছবি আছে। রমজানের ঈদে কিংবা কোনো হামদ নাত প্রতিযোগীতায় নজরুলের গান বানী আওড়ানো বেজে উঠছে।

কিন্তু আওয়াজ এতো কম কেনো বন্ধু? নজরুলের নামে এভিনিউ হয়েছে। সেই এভিনিউ আজ বাংলাদেশের নিরিহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত কেনো বন্ধু? তাহলে তার গান কিংবা তার রচিত লেখা দিয়ে আজ শিঙ্গারার ঠোঙ্গা বানানো হচ্ছে। তাহলে তার প্রেরনা কোথায়। নজরুলকে দিয়ে নজরুলের আদর্শকে বুঝতে হবে। নজরুলের বানী গানে তার লেখনীতে শুধু বাংলাদেশী সব কালের সব জাতির জন্য একটি সুন্দর গাইড লাইন লুকিয়ে আছে।

আর এই মহাকালের মহা চেতনা তোমার আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে। জ্ঞাণ শক্তি দিয়ে তাকে জাগ্রত করুন। দেখবেন সব ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে চোখের সামনে ভেষে উঠবে। সেই বাঁধন হারা বাধনে সবাই সেই অসীম আত্মার পরম সাধ পাবেন। আসুন আমরা জাগ্রত হই।

আমাদের অধীকার অন্য কেউ এনে দিবে কেনো। অন্য কেউ আপনার মুখে খাবার তুলে দিবে। আপানার হাত দিয়ে আপনি খাবার তুলে খান। দেখবেন সেই খাবার আর যাই হোক বি-স্বাদ হবে না। নজরুল আমাদের হাতুরি সাবোল চালাতে বলেছিলেন।

আজ আপনারা আপনার হতের নিচের মাউস কিবোর্ড ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য দু’হাত উচু করে ঐ রাজণৈতিক নামের অভিনেতাদের বুঝিয়ে দিন আমরা আজও আছি। আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করার ফল ভালো হবে না। আপনি যদি না জাগেন, আপনি যদি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা স্পষ্ট করে বলতে না পারেন তাহলে অন্য একজন কিভাবে বলবে বন্ধু? আজ সুযোগ এসেছে সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আমার হাতে লাঠি নিতে পারছি না। তাই আমি আমার লেখা দিয়ে আপনাদের জাগাবার অবিরত চেষ্টা করে চলেছি।

যার হাতে প্রশাসনের লাঠি আছে যার গায়ে বাংলা মায়ের মাটির গন্ধ আছে তিনি তার প্রশাসনের লাঠি সুসাসনের জন্য চালান। দেখবেন সেই অধরা সূর্য আপার হাতের মুঠোয়। আজ কেউ নেতা নয় সবাই আমরা কর্মি। সবাই যার যার বিবেকর কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে তুলে নেই সেই মহান দায়িত্ব। বুঝিয়ে দিন কোনো আই ওয়াসে আর কাজ হবে না।

কেউ এই জাতটাকে আটকে রাখতে পারবে না। বাংলার আকাশ হবে কলঙ্ক মুক্ত। টাকার গায়ে আমাদের প্রকৃত গুণী জনদের ছবি থাকবে। কারও পারিবারিক খুনের বদলার জন্য পুরো জাতি জিম্মি হতে পারবে না। শুধু ভেবে দেখলে চলবে না বরং এক্সিকিউশন করার সময় এসেছে পুরো জাতি মুক্ত হবে কি করে? আপনি আপনার নব সংগীত দিয়ে নেমে আসুন রাস্তায় দেখবেন আপনার সংগীত ঐ হ্যামিলনের বাঁশিওয়াদের টেনে নিয়ে ইদুঁরের মতো সমূদ্রে ফেলে দেবে কিন্তু আপনার বাচ্চা হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না।

এই জাতির আজ অনেক কালের অনেক ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। আমরা চাই না আর কোনো বুদ্ধিজিবি শহিদ হোক, আর কোনো বুদ্ধিজিবি টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিক। আসুন সব সাধারণ অসাধারনের রূপ ধারণ করি। ঘরের মহিলাদের বলছি আপনারা এবার টিভির রিমোট হাত থেকে ছুড়ে ফেলে, স্টার জলসা নামের মায়া জালে বন্দি না হয়ে নেমে আসুন রাস্তায়। ফিরিয়ে আনুন সুসাশন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।