আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Casablanca (1942) বিঃদ্রঃ ইহা একটি পরীক্ষামূলক ফান পুষ্ট। {উর্বর মস্তিস্কের চিন্তা হইতে রচিত}

I am the master of my fate, I am the captain of my soul. নারীকুলের চাহিদা বলিতে আপনারা কে কি বুঝিয়া থাকেন?? তাহাদের একাধিক সঙ্গ (প্রয়োজনে অথবা অপ্রয়োজনে ইহার কোন ভুল ব্যাখ্যা করিয়া নিজে অপদস্থ হইবেন না। আমি কাহাকেও কোনরূপ হেয় প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছি না। ) প্রয়োজন হইয়া থাকে। উহার কারণ একটাই, যদিওবা কোন কারণেও একজন কে ছাড়িয়া দিতে হয় যাহাতে তাহার নিজের কোন কিছু বিসর্জন দিতে না হয়। এহেন মানসিকতা সৃষ্টির শুরু হইতে এখন পর্যন্ত চলিতেছে।

এখনকার চলচ্চিত্রও গুলোতে যেমন এইরূপ পরিলক্ষিত হয় তাহা সেই ১৯৫৩ থুক্কু ১৯৪২ সালের চলচ্চিত্রতেও উহার বিস্তৃতি ব্যাপক হারে আমরা লক্ষ্য করিয়া থাকি। সেইরূপ “ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা” চলচ্চিত্রটিতেও দেখিলাম। “ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা” ইহা লইয়া আমার দ্বিতীয় বার দর্শন হইলো। পুর্বে যখন দেখিয়াছিলাম উহাকে তখন যারপরনাই বিরক্ত হইয়া পুরাপুরি শেষ না করিয়াই অন্য কিছু একটা দেখিতে লাগিয়াছিলাম। বুঝিতে পারিনাই উহার মর্ম।

ফলশ্রুতিতে আবারো ২ কার্যদিবস আগে আবারো দেখিতে বসিলাম এবং শেষ করিয়া উঠিলাম। ঠিক এমনই কার্য পরিচালক এই চলচ্চিত্রটিতে দেখাইয়াছেন কাহিনীর মাধ্যমে। আপনাদের এই ব্যাপারটি আবিষ্কার করিতে হইবে। যাহারা ব্যর্থ হইবেন তাহারা আশাকরি পুরাটা দেখিতে পারিবেন না। “ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা” নায়কোচিত চরিত্রটি আমার নিকট জেমস বন্ড ধরণের লাগিয়াছে।

উনি কাহাকেও “বেইল” দেন না। নিজের ইচ্ছামতন নিজের এলাকা (হোটেল) পরিচালনা করেন। কেহ উহার এলাকায় গ্যাঞ্জাম ইস্টাই দেখাইতে চাইলেও উনি তাহা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করেন। এই ব্যাপার গুলি বেশ আকর্ষণীয়। আরো কিছু ব্যাপার দেখাইতে চাহিয়েছেন যাহাতে আশে পাশের ২০ টি এলাকার নারীকুল তাহার পিছনে ঘুরঘুর করিতে থাকে।

কিন্তু ওইযে বলিয়াছিলাম উনি কাহাকেও বেইল দেননা। সেইরূপ কেহ বেইল না পাইয়া ঘুরঘুর চালাইয়া যাইতে থাকে। এহেন এক মুহুর্তে একদিন এক গান বাজিতে থাকে যাহা উনারই পরম বন্ধুকে উনি কখনোই বাজাইতে বারণ করিয়াছিলেন। কি কারণে এই গান বাজাইতে উনি বারণ করিয়াছিলেন?? আর বারংবার বারণ করিবার পরেও কেন উহার কথার বিপক্ষে সেই একই বাদ্যবাজাইয়া একই গান গাওয়া শুরু হইলো?? এরই রহস্য ভরা এই চলচ্চিত্রটি না দেখিলে যে কেহই পস্তাইবে। তবে একটা ব্যাপার আমার বোধগম্য হইলো না, ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা চলচ্চিত্রটিকে সর্বসময়ের আলোচিত প্রেমের সিনামা বলাহইলেও আমার মতে উহাকে ছ্যাকার সিনামা বলাই শ্রেয়।

কিন্তু আজও পর্যন্ত সিনামার এহেন ন্যাক্কারজনক ধরণের বৈসাদৃশ্য কেহ উদ্যোগ লইয়া পরিবর্তন করিল না। আর সকল ছ্যাকাযুক্ত চলচ্চিত্র গুলি প্রেমের চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হইয়া যাইতেছে। প্রেম বিষয়ক চলচ্চিত্রও গুলি দুই ভাগে বিভক্ত হইলে খুবই ভাল হইতো। যেমনঃ ১)মিলন সর্বস্ব ২)ছ্যাকা সর্বস্ব মানুষ খুবই দুঃখবাদী প্রাণী। নাহইলে কীরূপে সকল দুঃখ ছ্যাকা সর্বস্ব চলচ্চিত্র ও গান গুলি সকল সময়ে সর্বোচ্চ দর্শক অথবা শ্রোতা প্রিয়তা পায়!! এই চলচ্চিত্রও দেখিয়াও না জানি কত জন অশ্রু বিসর্জন দিবে তাহা গুনিয়া শেষ করা যাইবে না।

কি জানি কষ্টে ডুবিয়া থাকিতে কি মজা পায় তাহারা!! আশা করিব যাহারা এখনো এই চলচ্চিত্রটি আমার মতনই হোক অথবা আপনার মতনই যে কোন কারণে দেখিতে পারেননাই তাহারা অতিশীঘ্রই দেখিয়া নারীচরিত্র সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা পাইবেন। ও আরো একটি ব্যাপার হইলো এই চলচ্চিত্রে বন্ধুত্বের এক অপূর্ব নিদর্শণ রচিত হইয়াছে তাহা সিনা যত অগ্রসর হইবে ততই অনুধাবন করিতে পারিবেন আশাকরি। অনেকক্ষণ আপনাদের বিরক্ত করিলাম। আশাকরি পরবর্তীতেও করিব। এর জন্যে আমি কোনরূপ দুঃখ প্রকাশ করিব ভাবিয়া যাহারা এই পোষ্টটি পড়িয়াছিলেন তাহাদের আন্তরিকতার সহিত জানাইতেছি যে আপনারা ভুল আশা করিয়াছেন।

Director: Michael Curtiz Writers: Julius J. Epstein (screenplay), Philip G. Epstein (screenplay) Genre: Drama | Romance(এই ব্যাপারে আমার ব্যাপুক আপত্তি)| War Producer: Hal B. Wallis Music:Max Steiner Cast: Humphrey Bogart, Ingrid Bergman and Paul Henreid. প্রথম প্রকাশঃ http://moviepagol.info/?p=474 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।