আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেল পুড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যে।

ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সিলেটজুড়ে এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শতাধিক ছাত্রলীগ ক্যাডার গত রোববার রাতে হোস্টেলের ছয়টি ব্লকের মধ্যে একমাত্র হিন্দু ব্লক ছাড়া বাকি পাঁচটি ব্লকই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের সিলেটবাসী এই অপকর্মের সাথে জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন; কিন্তু পুলিশ নীরব। আর সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নগরজুড়ে। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা নিজেরা রক্তয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পরও তাদের জামাই আদরে লালন পালন করা হচ্ছে।

এতে সিলেট নগরীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর সিলেটের শিাঙ্গনে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং তাদের ইন্ধন ও প্রশ্র্রয় দেয়ার ঘটনায় অভিভাবকেরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। এ দিকে সিলেট সরকারি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের পাঁচটি মুসলিম ব্লক পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার নেপথ্য কারণ জানা গেছে। একাধিক শিার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, ছাত্রাবাসের পাঁচটি ব্লকে মোট ২৬০টি সিট রয়েছে। প্রতি বছর মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করা হয়।

কিন্তু গত বছরই প্রথম ছাত্রলীগ জোরপূর্বক ৪০টি সিট নিয়ে যায়। হোস্টেলে বর্তমানে বৈধ ছাত্রদের ৮০ ভাগই শিবিরের সমর্থক। তারা জানায়, একজন হোস্টেল সুপারকে কিছু দিন আগে ছাত্রলীগের নামে হুমকি দেয়া হয়, মেধাটেধা বুঝি না আমাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দিতে হবে। ছাত্রলীগ তাদের ৩৫ জন কর্মীকেও হোস্টেলে ওঠায়। কিন্তু গত ৭ জুলাই হোস্টেলে ৩৪টি সিট বরাদ্দের ল্েয ফরম বিতরণ শুরু হয়।

১৬ তারিখ পর্যন্ত তা বিতরণ এবং ১৯ জুলাই সাাৎকারের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ফরম বিতরণ শুরুর পর দিন রাতেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির হটানোর নামে পুরো ছাত্রাবাসই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক দেবাংশু দাস মিঠু, তাজিম উদ্দিন, এস আর রুমেল, উজ্জ্বল, মিঠু তালুকদার ও কালা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তিনি আরো জানান, ২০১০ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি দেবাংশু দাস মিঠুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অনুরূপ সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসও পুড়িয়ে দিয়েছিল। এই ছাত্রাবাসের ৫২টি করে মধ্যে ৪৬টি করে ছাত্ররা ছিল শিবির সমর্থক।

দীর্ঘ আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এ ছাত্রাবাস সংস্কার করা হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.