আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাম সাধনা এবং কামরুপ-কামাখ্যা

তুমি ক্ষমাশীল হও, সৎ কাজের আদেশ কর, আহাম্মকদের থেকে দূরে থাকো. -সুরা আরাফ, আয়াত.১৯৯ আমেরিকার ম্যানহ্যাটানে অফিসের ফাঁকে, প্রায়ই এই নগরটা ঘুরে দেখি, নির্লীপ্ত চেহারার মানুষ গুলো একে একে পাশ থেকে, সরে সরে যায়। আমি ও হেটে যাই এই সব মানুষের ভিড় ঠেলে। হয়তো বহুদিনের অভ্যাসে আমার চেহারায় ও এক ধরনের নির্লীপ্ততা চলে এসেছে। এখন আর তাদের নির্লীপ্ততা আমাকে ভাবায়না, প্রথম প্রথম খুব সমস্যা হতো। মাঝে মাঝে ভাবি সেই গেয়ো আমি আজ আমেরিকায় থাকি! আমেরিকা স্বপ্নের দেশ, বড় শহর, হাজার হাজার মানুষ, সেই হাজার হাজারের ভিতরে আমিও একজন।

বাংলাদেশ নামের ছোট একটা দেশ থেকে এসে এতটুকু ও হকচকাইনি আমি, এই শহরের যৌলুস দেখে। লোক দেখানো সভ্যতার চেয়ে, আমাদের সোজা সাপ্টা রীতি নীতি ঢের ভালো। সেই হাজার হাজারে মধ্যে আমার এক বন্ধুও মিশে আছে, কয়েক বছর ধরে। ওর নাম মবিন, বেশ সাফস্টিকেটেট ছেলে। ও থাকে ক্যালিফর্নিয়ায়, উইক এন্ডে ওর ওখানে যাই মাঝে মাঝে, ও এখনো দেশের সংস্কৃতী কে ফেলে দিয়ে, আমেরিকান হতে পারেনি।

পারবেও না, বলে দিয়েছে। ওর কাথা হলো আমরা এসেছি কামলা খাটতে, কি লাভ? এই মেকি আধুনিকতা শিখে, প্রথম প্রথম আমি ওর কথার বিরোধীতা করতাম, কিছুটা। বলতাম কি যে? বলিসনা। এত বড় সভ্যতা কি, মেকি হয় নাকি? ও বলতো এখটু খেয়াল করে ওদের দেখিস, তাহলেই বুঝবি ওরা কতোটা ফেক! আমি মাথা নাড়ি, দেখে ও বলে- শোন নিউইর্ক শহরে কিছু মহিলাকে দেখবি এরা পরচুল ব্যাবহার করে, বলতে পারবি কেনো? আমি সহজ ভাবে বলি- ফ্যাশন। ও বিরক্তি নিয়ে বলে- আরে ধেৎ, ফ্যাশন ট্যাশন কিচ্ছুনা, বিহাইন্ড দা সিন অন্য।

-মানেকি? মানে, কিছু আমেরিকান গোষ্ঠি আছে, যাদের ধর্মের আদি নিয়মে ছিলো, যে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে চুল ফেলে দিতে হবে, মানে ন্যাড়া হয়ে যেতে হবে এবং তার পরে সেই ন্যাড়া মাথা কাপর দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কিন্তু ওরা সেটাকে আধুনিক রুপ দিয়েছে, বুঝলি? -না বুঝলাম না। মানে ওদের বিয়ে হবার পর এখন ওরা ওদের চুল ছোট করে এবং তার উপরে পরচুল ব্যাবহার করে, হিজাবের বদলে। দেখ কত টা? চিট ওরা। আধুনিকতা ও থাকলো, আর ধর্মও পালন হলো।

যেনো- মেলা দেখাও হলো, মোয়া বেচাও হলো। অথচ দেখ, মুসলিম রা হিজাব পড়লেই, যত দোষ! আমিও ভাবি বিষয়টা, কিছুটা অবাক হয়েই ভাবি। মানুষের চোখের সামনে লাল-নীল বাতির ঝলকানী দেখিয়ে, এরা কত সহজে মানুষ কে প্রতারিত করছে। আমি জানতে চাই, - তুই এসব জানলি কোথা থেকে? ও বলে, ড্যান বলেছে। - ড্যান টা কে? আমার আমেরিকন বন্ধু।

ওর সাথে প্রথম দেখা হয়ে ছিলো একটা শপিংমলে। ওই কাছে এসে বলে ছিলো -তুমি ইন্ডিয়ান? আমি বলেছিলাম, না বাংলাদেশী। - বাংলাদেশ! সেটা কোথায়? ইন্ডিয়ার পাশে। আমি মাথা নেড়ে বলেছিলাম, না। বাংলাদেশের পাশে ইন্ডিয়া।

ও হেসে বলে ছিলো, তুমি তোমার দেশকে খুব ভালবাসো, না? এর পর থেকেই ওর সাথে আমার এক ধরনের ভালো সম্পর্ক হয়েছে। আমার এখানে আসে মাঝে, মাঝে। নানান গল্প করে, ওর ভারতের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা আছে। আমি বলি- কেনো? এখোন বলেনি। আমরা কথার খেই হারাই, হঠাৎ করে মবিন কেমন যেনো বিরক্ত হয়।

বলে, আর বলিস না, টিপিক্যাল আমেরিকান দের কথা বোঝা ও একধরনের ঝক্কি। আমি ফোড়ন কাটি- ক্যানো আমাদের কোন মন্ত্রি যেন, আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে বলে ছিলো না, যে আমেরিকার একটা ব্যাপারই ভালো লাগে বেশি, আর সেটা হলো ওদের বাচ্চারও ইংরেজীতে কথা বলে। আর আমাদের বাচ্চাদের অবস্হা কতো খারাপ, এরা ইংরেজীতেই ফেল করে বেশি। মবিন হাসে- বলে ঠিকই বলেছিস, আমার এক চাচা সৌদি থেকে ফিরে বলেছিলো- "সৌদিরা সব কথা আরবী তে বললেও, আজান কিন্তু বাংলায়ই দেয়। আমি হেসে উঠি, মবিনও হাসে।

বলি- হ্যা ঠিকি বলেছিস, আমাদের ভাষা গ্যান অসাধারন। তোর মনে আছে? আমাদের এক ইংরেজীর টিচার ছিলো না? পড়া না পারলে পিঠের উপর ব্যাত দিয়ে ঝড় তুলতো। হ্যা, খান স্যার। আমি সাথে সাথে বলি,- তোর মনে আছে সেই যে, ছ্যার ছ্যার। মবিন আবারও হেসে ওঠ।

আর বলিস না, এখনো মনে পরলে ব্যাথা অনুভব করি। আমি বলি- তুই ও রকম বিধঘুটে বাক্য টা পেয়েছিলি বা কই? ঐ দিন আমি ওটা না করলে, ক্লসের সব গুলাকে স্যার পেটাত বুঝলি। - হুমম তা ঠিক। স্যার সেদিন পপুলেসন প্রবলেম পড়া দিয়ে ছিলেন, যে পারবেনা তাকেই পেটাবে কথা দিয়ে ছিলেন। আর ব্যটা তুই এক ফন্দী বানালি, কেউ পড়া পারেনা জেনে।

ক্লাসের মধ্যে হঠাৎ স্যারের কাছে কি বিধঘুটে! একটা ট্যানসেলেসন জিগ্যেস করলি, সত্যিই ফানি ছিলো, বলতো মবিন তোর কাছে থেকেই শুনি। ও নির্লিপ্ত ভাবে বলে, গুইল মাদার গাছ দিয়া ছ্যার ছ্যার কইরা নামে। এই টার ইংরেজী জানতে চেয়ে ছিলাম। আর অমনি স্যার তোদের কাউকে কিছু না বলে আমার, পিঠের উপর দিয়ে ব্যাত টাকে ছ্যার ছ্যার করে নামিয়ে দিলেন। আমি হেসে উঠি, তোর আরএকটা আছে না- ওই যে- বাইং মাছ অদের মধ্যে মোড়াইয়া মোড়াইয়া হান্দে।

এবার ও হেসে ওঠে স্ব-শব্দে। এক উইক এন্ডে আমার সাথে দেখা হয় ড্যানের। নিপাট ভদ্র লোক, নীল চোখ, সেদিন ও এসে ছিলো ওর বৌ লিন্ডা কে নিয়ে, উচ্ছল চেহারা, খাঁটি আমেরিকান গড়ন। ড্যান প্রথম দিকে কিছুটা ম্যানেজড হয়েই কথা বল ছিল। পরে আমার সাথে, সহজ হয়ে গেলো অনেকটা।

কথার ফাঁকে আমার কাছে, ও একটা প্রশ্ন করলো। যেটা আমার সৈশব এবং যুবা বয়সের অনেক স্মৃতি ঘেটে, কানের কাছ দিয়ে মবিনের কাছে পৌছে গেলো। আমি জানি মবিনের ও এই বিষয় টাতে আমার মতনই রিয়্যাকশন হলো, ড্যানের প্রশ্নটা ছিলো- ডু ইউ নো ক্যামরুক ক্যামেক্ষাহ , মবিন কথাটা শুনে হেসে উঠলো। সাথে আমিও হাসলাম। ড্যান সংকোচ নিয়ে বললো হাসছো ক্যানো? আমারা কিছুটা ম্যানেজড হই, বলি না তেমন কিছুনা।

মবিন বলল,- হ্যা আমি চিনি, কামরুক্কামাক্ষা, ড্যানের মুখ কিছুটা উজ্জল দেখাল। এবার লিন্ডা উস্খুস করে বললো,- তোমরা হাসছিলে ক্যানো? মবিন বলল- আমাদের এক এলাকাতো মামা ছিলেন, ছোট বেলা থেকেই আমরা ওনার খুব ভক্ত ছিলাম। উনি আমাদের নানান বিষয়ে গল্প বলতেন। এক দিন গল্প বললেন কামরুক্কামাক্ষার, তিনি নাকি সেখানে গিয়ে ছিলেন, তার মতে পৃথীবিতে মাত্র দুইটি সিংহ আছে, আর সে দুটি আছে কামরুক্কামাক্ষাতে। ড্যান চোখ বড় করে বলে, বলো কি? - হ্যা এই একই এক্সপ্রেসন দিয়েছিলাম আমরাও, সেই মামাকে।

তাকে বলেছিলাম মামা তাহলে আমরা টিভিতে, চিড়িয়া খানায় যে সিংহ গুলো দেখি, ওগুলো কোথা থেকে আসল? মামার নির্লপ্ত জবাব- আরে ওগুলা ফ্যাউয়া বাঘ। ড্যান জানতে চাইলো। হট ডু ইউ মিন বাই ফেউয়া বাঘ? মবিন ঠোট উল্টালো। মানে জানিনা। ছ্যার ছ্যার শব্দ টার মতন ফেউয়া শব্দ টার কোন সঠিক ইংরেজী আমরা দুজনই খুজে পেলাম না, যেটা দিয়ে এই আমেরিকান কে সেটা বোঝানো যায়।

ড্যান কৌতুহল নিয়ে বললো, তার পর? মবিন বললো- তার পরের অংশটা তোমার ওআইফের সামনে, বলা যাবেনা। ড্যান বললো- বলো, সি ডোন্টা মাইন্ড। মবিন এবার বললো- মামা আরো বলতেন, সেই সিংহ যদি ডাক দেয়, আর সেই ডাক যদি কোন পুরুষ মানুষ শোনে তাহলে তার অন্ডকোষ উধাও হয়ে যাবে। কথাটা শুনে, ড্যান কিছু টা গম্ভির হয়ে যায়। লিন্ডার মুখেও চিন্তার একটা ছাপ দেখি আমরা, আমি জানতে চাই- কি হলো? ইটস টু ফানি ম্যান।

ড্যান বললো,- ইয়েস ইট ইজ ফানি, কিন্ত সত্যি হলে, কি হবে? আমরা দুজন একসাথে জানতে চাই- কেনো? লিন্ডা বলে- আমরা কামরুক্কামাক্ষাহ যাচ্ছি এবং সেটা খুবই তারা তারি। মবিন জানতে চায়- কেনো? ড্যান বলে- আমাদের বিয়ে হয়েছে চার বছর, কিন্তু বাচ্চা হচ্ছেনা, শুনেছি সেখানে গেলে নাকি বাচ্চা হয়। মবিন জানতে চায় তুমি এখবর কোথায় পেলে? -ইন্টার নেটে। আমি আর মবিন কেউই বাধা দিতে পারিনা, ওদের কামুরুক্কামাক্ষায় যেতে। ওরা যে বিশ্বাস নিয়ে কামুরুক্কামাক্ষায় যেতে চায় সে বিশ্বাস আমরা কি ভাবে ভেংয়ে দেই বা বলবো সেটা ভেংয়ে দেবার অধিকারও নেই এই আমেরিকান দম্পতির কাছে।

৬ মাস পরঃ ড্যান আর লিন্ডা কামরুক্কামাক্ষা থেকে ফিরে এসেছে, লিন্ডা আমাদে দেশি ভষায় পোয়াতি, আট মাস পরের আলট্টাসোনগ্রামে দেখা গেছে বাচ্চাটা ঠিক ঠাক শ্বাস নিচ্ছে, আর মাত্র কটা দিন, তার পরই শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখবে। ড্যান অনেক খ্যালনা কিনেছে, লিন্ডা অপেক্ষায় আছে তার শিশুটির মুখ দেখার জন্য। আমি আর মবিন দেশে ফিরে এসেছি অনেক দিন, লিন্ডা আর ড্যানের কি হয়ে ছিলো? সেটা পরে লিখছি। এবার দেশের একটা ঘটনা বলে নেই, মবিনের এক ভাই মোহাম্মদ মুরিদুল ইসলম, ভদ্রলোক বিয়ে করেছেন পাঁচ বছর, বাচ্চা হচ্ছেনা, তিনি আবার তমুক বদি হুজুরের বিশাল ভক্ত, তার ধারনা মতে, মাগফেরাতের জন্য মহানবীর সাথে ঐ হুজুরই তাকে পরিচয় করিয়ে দিবে, যদিও মবিনের এই বিষয়ে ঘোর বিরোধীতা আছে, বিরোধীতা আমারো আছে, হাশরের ময়দানে, ঐ হুজুরের লুংগি ঠিক থাকবে কিনা? বলা মুশকিল। সে এসেছে সাধারন মানুষকে নাজাত দিতে, নবী ছাড়া কেউ সাফায়াত দিতে পারবেনা, এটা একটা চিরন্তন সত্য কথা, অথচ তারা সাধারন মানুষ কে সাফায়াতের ব্যাবস্হা করে দিবে, বলে যে রম রমা ব্যাবসা পেতে বসেছে তা আর কি বলবো? এখন ও এদেশের মানুষ ভন্ড পীরের শরীর ধোয়া পানি খায়।

সহজ ইসলামকে ত্যানা পেচিয়ে নাস্তিক দের মুখরোচক গল্প বানানোর ব্যাবস্হাটা করে দেই আমরা সাধারন মুসলমানরাই, যদিও কিছু নাস্তিক ও আছে আবাল, লেখার বিষয় সেটা নয় তাই সেদিকে গেলাম না। যেখানে কেবল কোরআন আর হাদিস ঠিক মতন পালন করলেই ধর্ম পালন হয়ে যায়, সেখানে অযথা পীর- ফকিরের পা ধোয়া পানি খেয়ে, আল্লাহ তালাকে ডাকাটা কিছুটা হাস্যকরই না শিরকও বটে। তবুও কিছু লোক খারিজি হয়ে শান্তি পায়। কি শান্তি? সেটা আমরা বুঝিনা, বুঝতেও চাইনা। কোরআনে এতো বার সাবধান করা হয়েছে, তবুও মানুষ অন্ধকারে ঝাপায় কেন জানিনা।

গল্প টাতে আশি, তমুক বাদি হুজুরের কাছ থেকে তালিম, নিলে নাকি- বাচ্চা হয়। এই বিশ্বাসেই মুরিদ ভাই তার বৌকে নিয়ে নানান তদবির করালেন এবং কিছু দিনের মধ্যেই ভাবি অন্তঃসত্যা হলেন বা সেই ড্যানের বৌ লিন্ডার মতন পুয়াতী হলেন। আমার আর মবিনের মুখে চুন কালি দিয়ে মুরিদ ভাইয়ের একটা ছেলে হলো। ফুট ফুটে কলো বর্নের শিশু, বিরক্তিটা অন্য জায়গায় মুরিদ ভাই এবং ভাবি কারো বংশের চৌদ্দ পুরুষের মধ্যেও কোন কারো গায়ের রং কালো ছিল না, তারা ছিলেন সবাই ধব ধবে ফর্সা। আমরা কথা গুলো বলতে পারিনি, মুরিদ ভাই কে।

হোআইটলাই বলে ও তো একটা কথা আছে আমেরিকায়, যে কারনে আমরা ড্যানের বাচ্চাটার ব্যাপারেও, কোন কথা বলি নি। যখন দেখে ছিলাম ড্যানের বাচ্চাটও পুরাই ইন্ডিয়ান চেহারার হয়ে ছিলো, বলি নাই, বলেই বা কি লাভ? পন্চপান্ডব জন্মে ছিলো যে পিতার ঘরে, সে পিতা তাদের বাবা ছিলো না, তার বাবাই তদের কে এনে ছিলো অন্য পুরুষের সুক্র থেকে। ড্যান মনেহয় কামরুক্কামাক্ষা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ছিলো, পন্চপান্ডবের ব্যাপার টা জানতো না। কিন্তু শেষে কি? টিকে থাকতে পেরেছে ড্যান আর মুরিদ ভাইয়ের সংসার, পারেনি, শুনেছি ড্যান আর লিন্ডার সংসার ভেংয়ে গেছে। কামরুক্কামাক্ষায় লিন্ডার যখন যোনি পুজা করা হয়েছিলো তখন কি কি ঘটে ছিলো? সেটা লিন্ডা ড্যানের কাছে লুকিয়ে ছিলো সেই অপরাধে ড্যান ওকে ছেড়ে চলে গেছে।

তাদের যে ছেলেটা হয়ে ছিলো সে এখন অরফেন হাউজে বড় হচ্ছে। আর মুরিদ ভাই তার বৌয়ের সাথে, আর কোন দিনই কথা বলে নি, ব্যাপারটা বোঝার পর। মবিন খুব ধমেকে ছিলো মুরিদ ভাইকে। তাই সে তার বৌকে ছেড়ে দিতে পারেনি, তারা একসাথেই আছে। আর ছেলে পুলে হয়নি, হবার কথাও না।

ড্যান ও বিয়ে করেছে আবার, তারও আর বাচ্চা হয়নি, কি ভাবে হবে?! দুজনই তো এজোসপার্মিয়ার রোগী। শেষ কথাঃ অনেকেই অভিযোগ করেন আমি নাকি খুব সিরিয়াস টাইপের লেখা লিখি, রম্যটা আমার আসেনা, কথা টা সত্যও তাই লেখাটার মাঝখানে কিছুটা রম্য করতে চেষ্টা করেছি। আবার অনেকে বলেন আমার লেখায় ডায়লোগ কম এটাও সত্য অভিযোগ, তাই কিছু ডায়লগ ও দিয়েছি। লেখাটার শেষে একটা জোকস লিখি, আর একটু রম্যহোক। একবার এক ফর্সা আমেরিকান লোক প্লেন ক্রাস করে আফ্রিকার নিগ্র জংলি গোষ্ঠির মধ্যে পড়েছে, তখন সেই জংলীদের সর্দার সেই আমেরিকান কে বললো তুমি যদি আমার বৌয়ের দিকে নজর না দাও তাহলে তোমাকে এখানে থাকতে দিতে রাজি আছি, আমেরিকান রাজি হলো।

এই ঘটনার দশ মাস পর সেই নিগ্র সর্দারের বৌ একটা ফুট ফুটে শিশু পুত্রের জন্ম দিলো, যে দেখতে হুবহু সেই আমেরিকানের মতন। তখন সর্দার খুব ক্ষেপে সেই আমেরিকান কে ধাওয়া দিলো, আর বলল তুই নেমক হারম। আমি তোকে বারন করে ছিলাম, তার পরও তুই তাই করলি। আমেরিকন তখন প্রান বাঁচানোর জন্যে দৌড়ে একটা খোলা জাগায় চলে আসল এবং দেখল এক পাল সাদা গরু হেটে যাচ্ছে, আর তার মধ্যে দুটো কালো বাছুর হাটছে, সে তখন কালো সর্দারকে সেটা দেখিয়ে বললো দেখেছ গডের লিলা, এক পাল সাদা গরুর মধ্যে দুইটা কালো বাছুর, এরকম হতেই পারে। ঠিক যেমনি তোমার ঘরেও সাদা সন্তান এসেছে।

তখন সেই সর্দার এসে আমেরিকানের পা জড়িয়ে ধরে বললো, খবর দার ভাই দয়া করে তুমি যে এখানে দুইটা কালো বাছুর দেখেছ সেটা আমার বৌকে বলোনা, প্রিয় পাঠক আনারা কি বলতে পারবেন? কেন বলতে বারন করেছে সেই সর্দার? মুখ বন্ধঃ কামরুক্কামাক্ষার নাম শুনেছি সেই ছোট বেলা থেকে। বাজারে দেখতাম মজমা হতো, সেই মজমায় হকাররা দেখতাম বলতো কামরুক্কামাক্ষার তেল, আগার সমস্যা গোড়ার সমস্যা হ্যান ত্যান সবই নাকি ঠিক হবে সেই তেলে, আর সেখানে নাকি নারীরা নগ্ন থাকে, পুরুষরা গেলে আর ফেরেনা, আরো নানান গল্প, আর সেই মামার কাছ দিয়ে শোনা সিংহর গল্প তো আছেই। আফসুস লাগে, আহারে। লোকটা দুনিয়াতে দুইটা সিংহ আছে জেনেই মারা গেলো। সেই থেকেই কৌতু হল জায়গাটা নিয়ে, বড় হয়ে কেবল এতটুকই জানতে পেরেছি, জায়গা টা নিয়ে লিখতে গেলে পুরা লেখাটা ২১+ ট্যাগিং করতে হবে, কেবল এত টুকুই লিখি, শিব লিংগ পুজার পাশা পাশি সেখানে দেবীর যোনী পুজা হয়, মিনিষ্ট্রেসন সাইকেলই সেই পুজার মুল হিসাব।

এর পরে আসি আমাদের মুসলমানের পীর নাম ধারী ভন্ডদের ব্যাপারে, এরা ইসলাম কে ভায়োলেট করছে প্রতিনিয়ত, মানুষের বিশ্বাস কে পুঁজি করে এরা সাধারন মুসলিম কে প্রতি নিয়ত ঠেলে দিচ্ছে পাপের পথে, অনেক উদাহরন আছে, নাম নিলাম না ওদের, আমার মতে ওদের নাম নিলেও অজু থাকে না। বিঃ দ্রঃ গল্পটি কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার জন্য না, যারা ধর্ম কে পুঁজি করে ব্যাবসা করে, তাদের আঁতে ঘা লাগলে আমার কিছু করাই নেই। জোকসটা কোথাও শুনেছিলাম বা পড়ে ছিলাম মানে ওটা আমার লেখা নয়। আর একটা কথা এই গল্পের প্রত্যেক টা চরিত্রই কাল্পনিক, বা স্বপ্নে পাওয়া। আমার পুরতন লেখাঃ ১।

চুমু এবং হাতের তালু (আমি জানি আমি লোকটা সুবিধের নই) ফেইস বুকে আমাকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ View this link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।