আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিঃশব্দ মৃত্যু (আপনি যদি বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দলের কট্টর সমর্থক হোন তবে এই গল্পটি আপনার জন্যে নয়)!!!

মিথ্যেবাদী নই, প্রেমিক আমি ! ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পরাজয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, মেজর জিয়া, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি সহ অনেক ত্যাগী নেতাদের কেউ বেঁচে নেই। পুর্ব বাংলার নতুন নামকরণ করা হয়েছে ডিসট্রিক্ট ইলেভেন, বাঙালির সকল মানবিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। অনেক বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও চলছে স্বাধীনতার সংগ্রাম।

কিন্তু হঠাৎ করেই মুক্তিবাহিনির নেতা এম (বেগম খালেদা জিয়া, মেজর জিয়াউর রহমানের স্ত্রি) পুলিসের হাতে ধরা পড়েছেন। কিন্তু সঠিক সময়ে দলের হাল ধরেছেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রাক্তন সৈনিক হুসেন মুহম্মদ এরশাদ। এখান থেকেই আমাদের আজকের গল্প শুরু। আগের পর্বগুলোর লিঙ্কঃ ১। আরেক পৃথিবী ২।

রক্তাক্ত প্রান্তর বদ্ধ একটা রুম। মতিঝিলের কাছে একটা দোতালা বাড়ি। পাকিস্তানী আর্মির বিশেষ টাস্কফোর্স এর ক্যাম্প। এম(বেগম খালেদা জিয়া) কে বসানো হয়েছে একটা শক্ত চেয়ারে। হাত পা চেয়ারের সাথে বাঁধা।

ধরা খাওয়ার সময় ধস্তা ধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের পিস্তলের আঘাত লেগেছিল কপালে। যায়গাটা বেঢপভাবে ফুলে আছে। দরজা খোলার আওয়াজ হল। এম সতর্ক হয়ে উঠলেন। ভিতরে ঢুকল পাকিস্তানি আর্মির বিশেষ টাস্কফোর্স এর প্রধান মামুন আল আজমি।

সাথে তার কয়েকজন সহকারি। “কেমন আছেন এম?” এম নিরুত্তর। “কোথায় গেল সেই ড্রাগন লেডির দুর্দান্ত প্রতাপ? এযে দেখছি ধরা খাওয়া এক মেচি বিড়াল বসে আছে আমার সামনে!” এম কিছু বলছেন না। “আমাকে চিনতে পেরেছেন তো এম? আমি মামুন আজমি। জামায়াতের নেতা গোলাম আজমের ছেলে! আমার বাবাকে গুলি করে মেরেছে মুক্তিবাহিনী।

আমি কাউকে ছাড়বনা! এক এক টাকে খুজে খুজে মারব”। এম তিক্ত ভঙ্গিতে হাসলেন। “এখনো আপনার হাসি আসছে? সাহস আছে বলতে হয়!” “আমি ভাবতাম তুমি একটা গাধা, এখন দেখছি অন্ধও!” “কি বলতে চান?” “তোমার বাবাকে আমরা মারিনি, মেরেছে পাকিস্তানীরা”। “তাইনাকি? অবাক হওয়ার ভঙ্গি করল মামুন”। “হ্যাঁ... পাকিস্তানীরা চায়নি কোনও বাঙ্গালীর হাতে নেতৃত্ব চলে আসুক।

তাই তোমার বাবার মত আরও যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের সাহায্য করেছে, তাদের সবাইকে মেরেছে ওরা! কৌশলে সেই দোষ চাপিয়ে দিয়েছে মুক্তি যোদ্ধাদের উপর!” “এসব কি বলছেন?” ব্যাঙ্গ করছে মামুন। “উরে... বাবা এসব তো জানতাম না!” এম বলে চলেছেন, “আজ থেকে আড়াইশ বছর আগে মীরজাফরের সাথে ব্রিটিশরা যা করেছিল ঠিক সেই কাজটি করেছে পাকিস্তানী আর্মি। আমরা হয়ত তাদের হাতের কাছে পেলে মেরে ফেলতাম, কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাইনি!” “বাহ! ভাল গল্প ফেঁদেছেন তো!” “তোমার কাছে তো গল্প মনে হবেই! এখানেই ঐ পাকিস্তানীদের সার্থকতা!” “ফালতু আলাপ বন্ধ করেন। যে কারনে আপনাকে এখানে আনা হয়েছে সেই কথায় আসি। আশা করি আপনি আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন”।

এম তাকিয়ে রইলেন। “আপনি এখন পুরো ডিসট্রিক্ট ইলেভেন এর ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের যত ক্যাম্প ও সেইফহাউজ আছে তার ঠিকানা বলবেন”। এম শব্দ করে হাসলেন! “হাসছেন কেন?” “এগুলো কেন বলব আমি?” “না বললে ভয়ংকর টর্চার শুরু হবে”। “টর্চার করবে? কর, চেষ্টা করে দেখো”। বিদ্রুপের ভঙ্গিতে হাসল মামুন আজমি।

“আমার টর্চার সম্পর্কে আপনার কোনও ধারনা নেই এম! বোবার মুখেও কথা ফুটে!!” “কি টর্চার করবে? জানে মেরে ফেলবে? ফেল। মৃত্যুর ভয় আমি করিনা। বেঁচে থাকব কি নিয়ে? স্বামীকে মেরেছে সেই ৭১ এ, ছোট ছেলেটাকে আর্মির লোকেরা গুলি করে মেরেছে। বড় ছেলেটাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলাম। তাকেও পুলিশ মেরে ফেলল! আমার আর হারাবার কিছুই নাই।

আমি কেন মুখ খুলব?” “না না না ! আমি আপনাকে মারব না! এই তোরা যা তো পাশের সেলে একটা লম্বা ছেলে আছে, ফর্সা অনেক। ওটাকে নিয়ে আয়”। কার কথা বলা হচ্ছে বুঝতে পারছেন এম। আরমান, তার বাক্তিগত দেহরক্ষী। *** সাবা নায! পাকিস্তান টাইম্‌স এর একজন টপ সাইন্স রিপোর্টার, তাকে আজকের এই সাইন্স এক্সপো কাভার করতে বলা হয়েছে।

এই এক্সপো এশিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় এক্সপো। এশিয়ার সব দেশ থেকে কেউ না কেউ কোন না কোন প্রজেক্ট দেখাতে নিয়ে এসেছে। সাবা সব কাভার করবে। সে অবশ্য একা আসেনি, আরও ৪ জন রিপোর্টার এসেছে তার সাথে। সবাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো এক্সপোতে।

আজ এই এক্সপোর উদ্ভধনি অনুষ্ঠান। এখনও শুরু হয়নি অবশ্য। বিশেষ অতিথি হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রির আশার কথা, এবং সাভাবিক ভাবেই সময় হয়ে যাওয়ার পরও এখনও তিনি এসে পৌঁছাননি। সাবা বিভিন্ন স্টল এর মধ্যে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। চোখ ঘুরিয়ে দেখছে সব।

এক্সপোটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়, দি গ্র্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ পাকিস্তান এর কাম্পাসে। দেশের খুবি বড় একটা অর্জন হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং ছাত্ররা মিলে দেশের জন্য নানা উন্নয়নমূলক আবিষ্কার এবং কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে অবিরত। এই তো বছর খানেক আগেই এখান থেকে মাইল দুইএক দূরেই হবে বোধহয়, দেশের ৬ষ্ঠ নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিয়েক্টর তৈরি করে দিয়েছে। এটা দিয়ে পুরো কারাচির বিদ্যুতের চাহিদা মিটে যায়।

এসব ভাবতে ভাবতেই এই এক্সপোর সব থেকে বিশেষ আকর্ষণ, পাকিস্তান গ্র্যান্ডের নতুন সংজোজন, ফিউসন রিয়েক্টরের সামনে এসে দারাল সাবা। এখনও জিনিসটা এক্সপেরিমেন্টাল। এটা এত বড়, এবং ধারনা করা হচ্ছে এটা দিয়ে প্রায় ২টা কারাচির মত শহরকে পাওয়ার দেয়া যাবে, এর এনার্জি এতই শক্তিশালি। সাবার আসল চিন্তা যেটা দারাল, এই রিয়েক্টর কি সেফ ?? এই ফিউসন রিয়েক্টর কনসেপ্টটাই এখনও নতুন। কাউকে পাওয়াও যাচ্ছে না যে ধরে জিজ্ঞাসা করবে।

সবাই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাস্ত। অবশ্য তাড়াহুড়োরও কিছু নেই। এক্সপো পুরো মাস ধরে চলবে। প্রায় ৫৩ টা দেশ অংশগ্রহন করছে এইবার। প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের নাম উঠে এসেছে গত কয়েক বছরের এই এক্সপোর কারনেই।

খালি এক মাত্র ব্যার্থটা দেশের পুব অঞ্চলটা অর্থাৎ ডিসট্রিক্ট ইলেভেন নিয়ে। গোলযোগ লেগেই আছে। কোন ভাবেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। *** আরমানকে আনা হল। হাতদুটো পিছমোড়া করে বাঁধা।

তাকে হাঁটু গেড়ে বসানো হল। “একে পারছেন তো এম?” মামুন আজমির প্রশ্ন। “আপনার বিশ্বস্ত দেহরক্ষী আরমান। আপনার যেকোনো বিপদে যে জীবন দিতে প্রস্তুত। দেখি তার বিপদে আপনি কি করেন!” আজমি নির্দেশ দিল, “এটাকে বেয়োনেট দিয়ে খোঁচাতে শুরুকর”।

এ দৃশ্য এমের সহ্য হলনা। তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কিন্তু আজমির এক সহযোগী পিছন থেকে জোর করে দুহাত দিয়ে তার মাথা ঘুরিয়ে রেখে দেখতে বাধ্য করল। এমের চোখের সামনেই বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আরমানের সমস্ত শরির ক্ষত বিক্ষত করা হচ্ছে। চেহারাটা আর চেনাই যাচ্ছেনা।

কিন্তু আরমান দাতে দাঁত চেপে রাখছে। টু শব্দও করছে না। এত কিছুর পরও এমের মধ্যে মুখ খোলার কোনও লক্ষন না দেখে আজমি অস্থির হয়ে উঠল। “এই তোদের এই মারে কাজ হবেনা। পিটিয়ে হাড্ডি মাংস এক করে ফেল”।

এরপর শুরু হল নির্মম অত্যাচার। যার বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয়। একজন মানুষকে মাটির দলার মত দলাই মলাই করা হচ্ছে। প্রায় মিনিট পাঁচেক চলল অমানুষিক নির্যাতন। তারপর আজমি থামতে বলল।

‘এই তোরা থাম। দেখি কি অবস্থা!” আজমি আরমানের শরীরটা নেড়ে চেড়ে দেখল। “কি করলি তোরা এইটা? ব্যাটাকে জানেই মেরে ফেললি?” এমের দু চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। আরমানকে তিনি নিজের ছেলের মত দেখতেন। ছেলেটার শরীর বেকায়দা ভঙ্গিতে পড়ে আছে।

চোখ দুটো খোলা। সেই চোখে কেমন যেন নিরব অভিমান! “আসলেই আপনার জুরি মেলা ভার। শক্ত মানুষ বলতে হবে। আপনার এতদিনের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী আপনার চোখের সামনে মরে গেল অথচ আপনার গায়েই লাগল না”! “মরেনি, শহিদ হয়েছে”। ভাঙা কণ্ঠে বললেন এম।

“ওরা মুক্তি যোদ্ধা। যুদ্ধে যোগ দানের আগেই ওরা শপথ নিয়েছে যেকোনো সময় মৃত্যু এলে বুক পেতে দিতে ভয় পাবেনা”। “এই মুক্তি যোদ্ধার মৃত্যু আপনি সহ্য করেছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের সন্তানের মৃত্যু কিভাবে সহ্য করেন এবার দেখব!” রহস্য রহস্য গলায় বলল আজমি। “তারমানে?” “তারমানে তারেক জিয়া মরেনি। ও আমাদের হাতেই বন্দি ছিল।

তার মৃত্যুটা সাজানো ছিল। তবে এবার সত্যি সত্যি মরবে! এই... তোরা এই লাশটা নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখ! আর তারেক জিয়া কে ধরে আন...” *** শিক্ষা মন্ত্রি চলে এসেছে। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন বিজ্ঞানী নওশাদ, ফিউসন রিয়েক্টরের পিছিনে যার অবদান সব থেকে বেশি। স্টেজের উপরে ডায়াসে দাড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন উনি।

তার বক্তৃতা দেয়ার ভঙ্গি খুবি সাবলিল, যেন উনি বক্তৃতা দিচ্ছেন না কোন ছোট ছেলেকে বুঝাচ্ছেন। সবাই আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনছে। খুবি মজার একজন মানুষ উনি। রিপোর্টারদের ভিড়ের মাঝে দারিয়ে সাবাও তার বক্তৃতাতে মজে গেল। হটাৎই বিজ্ঞানীর কপালে একটি লাল বিন্দু ফুটে উঠল।

সাবা খেয়াল করল বিন্দুটা একটি সরল রেখা ধরে এগিয়ে এসেছে হল এর শেষ প্রান্তের সিলিঙ এর এয়ার কন্ডিশনারের বড় বাক্সটা থেক। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঠাস করে একটা শব্দ উঠল, অনেক মানুষ এক সাথে চেচিয়ে উঠল। চমকে উঠে সাবা মাথা ঘুরিয়ে স্টেজে বিজ্ঞানী নওশাদের দিকে তাকাল। স্টেজের দিকে তাকিয়ে যা দেখল তা কখনও কল্পনাও করেনি সাবা। বিজ্ঞানী নওশাদ মেঝেতে পরে আছেন, মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

আশে পাশে ততোক্ষণে ছুটছটি পরে গেছে। কে কার আগে বেরিয়ে যাবে এই হল থেকে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। এরি মধ্যে পুলিসের লোকজন ওই এয়ার কন্ডিশনারের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছোরাও শুরু করে দিয়েছে। অন্য এক দল পুলিস মন্ত্রি সাহেবকে স্টেজের পিছন দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ দুরত্তে। স্টেজের পিছনে রয়েছে উপরে উঠার সিঁড়ি।

সাবা হটাৎ দেখল সিঁড়ির উপরে ৩ তলা থেকে এক লোক মাথা বের করল, এত লোকের ভিতরেও, এত ছুটোছুটির ভিতরেও কেন ওই লোকটাকে সাবার চোখে পরল এটা সে বুঝল না। অবশ্য পরখনেই সে বুঝতে পারল। তার রিপোর্টার ইন্দ্রিয় ওই লোককে আর সবার থেকে আলাদা করেছে। লোকটি রেলিঙ এর বাইরে হাত বের করে ঠিক মন্ত্রি এবং পুলিসের দলটার উপরে ছোট ছোট কয়েকটা বল ফেলল বলে মনে হল। নিচে পড়ার সাথে সাথেই, বুম !!! *** ঢাকার বাড্ডা এলাকা।

একটা বাড়ির নিচে গোপন কক্ষে একটা মিটিং বসেছে। এই গোপন যায়গাটা আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিশেষ কমান্ডো ইউনিট টাইগার স্কোয়াডের হেড অফিস। মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছে ২০ জন তরুন কমান্ডো। এরা আনআর্মস কমব্যাটে অনেক দক্ষ এবং বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত। এদের কাজ হল বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানী আর্মি, টাস্কফরস বা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।

মিটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে টাইগার স্কোয়াডের লিডার, তার ডান পাশে বসেছে সেকেন্ড ইন কমান্ড আন্দালিব পার্থ। “বন্ধুরা আমরা কেন আজ এই আর্জেন্ট মিটিং ডেকেছি তা নিশ্চয়ই জানা আছে সবার? মহামান্য এম ধরা পরেছেন”। সবাই মাথা ঝাকাল। “আমরা খবর পেয়েছি টাস্কফোর্স তাকে আরও কিছু মুক্তি যোদ্ধা সহ মতিঝিলের কাছে একটা দোতালা বাড়িতে আটকে রেখেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটা রেসকিউ মিশনে যাব এবং হঠা ৎ হামলা করে তাদের বের করে আনব।

তোমরা কি প্রস্তুত?” সবাই হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়াল। “ভেরি গুড ! এবার এস কয়েকটা ব্যাপার ঠিক করে নেই। আমরা ২০ জন কিন্তু সেখানে আছে ৬০-৭০ জন সেনা। আমরা খুব বেশি আমিউনিশন নিতে পারছিনা। তাই আমাদের কাজ করতে হবে কৌশলে।

ঠিক আছে?” সবাই একসাথে বলে উঠল, “ইয়েস!” এবার আমরা নিজেদের কৌশল গুলো ঠিক করে নেই...... *** শকওয়েভের ধাক্কায় সাবা সহ আসে পাসের সবাই ছিটকে মাটিতে পরে গেল। মাথা ছড়ে গেছে সাবার, হাল্কা রক্তও ঝরতে শুরু করেছে। কিন্তু তার এই ব্যাপারে কোন খেয়াল নেই। সে মাথা তুলে মন্ত্রি এবং পুলিসের দলটা যেদিকে ছিল ওই দিকে তাকাল। কিছুই নেই, স্টেজের একটা অংশও উরে গেছে বিস্ফোরণে।

শিউরে উঠল সাবা কিছুটা। কি হচ্ছে এখানে ? তাকে টেনে তুলে দার করাল একজন পুলিস অফিসার। “ম্যাম, আপনি পূর্ব পাশ দিয়ে......” “৩ তলা... ওরা ৩ তলায় আছে...... ওখান থেকেই বম্ব ফেলেছে... আমি দেখছি !!!” “ঠিক আছে, আমরা দেখছি। আপনি পুব পাশ দিয়ে বেরিয়ে যান কনভেনশন হল থেকে। এবং সবাইকে ওদিকে যেতে বলুন যেতে যেতে।

সিভিলিয়নদের নিরাপত্তা সবার আগে নিশ্চিত করতে চাই আমি আগে”। চোখ তুলে অফিসারের দিকে তাকাল সাবা, চোখে মুখে কি এক কঠোর ভাব, কি এক নিশ্চিত প্রতিজ্ঞা। “না আমি যাব না। আমি একজন রিপোর্টার। এই রকম একটা খবর আমার সামনে ঘটছে, আর আমি তার পুরোপুরি শেষ না দেখে যাব ? এটা তো হতেই পারে না।

চলুন চলুন ৩য় তলার দিকে যাওয়া যাক”। অফিসার সেলিম বিন তাহের দেখল যে এই মহিলার সাথে কথা বলে বিতর্কে যাওয়া মানে সময় নষ্ট করা তাই আর কথা বাড়াল না। আরও অনেক মানুষ বিপদের মধ্যে আছে। তার উপর সন্ত্রাসীদের কেও ধরতে হবে। “আচ্ছা ঠিক আছে, আসুন।

কিন্তু আমি বলে রাখছি, এর পরে আপনার কিছু হলে আমি দায়ি নই”। “আমাকে নিয়ে আপনার ভাবতে হবে না। তাও যদি আমার কিছু হয়েই যায় আপনি কষ্ট করে এই রেকর্ডারটা আমার পত্রিকা অফসিএ পাঠিয়ে দিয়েন”। বলে সাবা তার গলায় লাগান একটি অডিও ভিডিও রেকর্ডারটা দেখাল। “আচ্ছা ঠিক আছে, আসুন”।

সেলিম উলটো দিকে ঘুরে সিঁড়ির দিকে ছুটতে শুরু করল। সাবাও পিছনে পিছনে দৌড় লাগাল। মানুষজনের ভিড় ঠেলে সামনে আগানো খুবি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াল। তাও কোন মতে ভিড় ঠেলে দোতলায় উঠল সাবা আর সেলিম। যদিও বুঝা যাচ্ছে হামলাকারীদের কেউ এখন আর ৩ তলায় নেই।

সিঁড়ির গোরায় পৌঁছেছে এই সময় হটাত সাবা চেচিয়ে উঠল, “ওই তো, ওই লোকটা ওই যে নেমে আসছে ভিড় ঠেলে গায়ে ব্রাউন শার্ট”। “হল্ট !!!” বলেই পিস্তল বের করে ওই লোকের দিকে তাক করল সেলিম। তার চিৎকারেই নাকি পিস্তল দেখে কে জানে আশেপাশের মানুষজনের চেচিমেচি যেন আরও বেরে গেল। ছুটোছুটিও। তাদের ছুটোছুটির কারনে ঠিক মত নিশানাও করা যাচ্ছে না।

এরি মধ্যে ওই লোক তার পিস্তল বের করে কয়েকটা গুলিও করে দিল । ছুটন্ত মানুষগুলোর মধ্যে দু জন টলে উঠে পরে গেল সেলিমের সামনে। আর ব্রাউন শার্ট মানুষজনকে ঠেলে ফেলে অন্য এক পাশ দিয়ে দৌড় লাগিয়েছে। রাগে সেলিমের সারা শরীর জলে গেল। সেও এইবার একই ভাবে দৌড় লাগাল ব্রাউন শার্টের পিছনে।

কাছা কাছি হতেই সেলিম পিস্তল তুলে ব্রাউন শার্টের পা লক্ষ্য করে গুলি চালাল। যেন হটাৎ হোঁচট খেল এমন ভঙ্গিতে হুমড়ি খেয়ে ব্রাউন শার্ট পরে গেল সামনের দিকে। হাত থেকে ছুটে গেল পিস্তল। দৌড়ে গিয়ে লাথি মেরে পিস্তলটা দূরে সরিয়ে দিল সেলিম। ব্রাউন শার্টের কলার ধরে টেনে তুলে পিস্তল ঠেকাল তার মাথায়।

“ওরা নিরিহ মানুষ ছিল। ওদের সাথে কিসের শত্রুতা ? এইভাবে ওদেরকে মারলি কেন বল ?”বলে পিস্তল দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরে বসল সেলিম। “হাহাহাহা...... এই দেশের কেউ ই নিরিহ না। এই দেশের কেউ ই সাধারণ না। সবাই তোরা পশু।

আমাদেরকে নিরবিচারে শেষ করে দিচ্ছিস। গোলাম বানিয়ে রেখেছিস তোদের। আজ সব শোধ তুলব। হাহাহাহা... সবাই তোরা মরবি আজকে...”বলে হাত তুলে নিজের ঘরির দিকে তাকাল ব্রাউন শার্ট। আর মাত্র ১ মিনিট! ব্রাউন শার্টের মুখে হাসি দেখে সেলিম ঘাবরে গেল।

বুঝে গেল এরা সুইসাইড বম্বার। ফ্যানাটিক। মাথায় পিস্তল দিয়ে আবার একটা বাড়ি দিয়ে বলল “বল, কিসের কথা বলছিস ? কি করে এসেছিস বল ?” “হাহাহাহা...... বলে দিলেও কিছু করতে পারবি না তোরা। সব শেষ, সময় শেষ তোদের। তোদের এত সাধের কারাচি উরে যাবে আগামি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।

বম্ব লাগিয়েছি আমি। বম্ব লাগিয়ে দিয়েছি তোদের সাধের ফিউসন রিয়েক্টরের গায়ে”। পাগলের মত হাসতে লাগলো ব্রাউন শার্ট। মুখ শুকিয়ে গেল সেলিমের। হটাৎ চোখের কোনে একটু উজ্জ্বল আলো ধরা পরল সেলিমের।

বুঝল ব্রাউন শার্ট মিথ্যে বলেনি। মাথা ঘুরিয়ে সাবার দিকে তাকাল। দেখল সাবাও তার দিকে তাকিয়ে আছে। *** তারেক কে ধরে আনা হল। তার হাত দুটিও পিছমোড়া করে বাঁধা।

তাকে আরমানের মত হাঁটু গেড়ে বসানো হল। এম অবাক চোখে তাকিয়ে রইলেন। “তারেক!” “হ্যাঁ... মা। আমি মরিনি। আমি বেঁচে আছি”।

আবেগআপ্লুত কণ্ঠে বলল তারেক। “এই তোরা মা ছেলের নাটক দেখবি না কাজ করবি?” আজমি বলল। “এইটাকেও আগের টার মত খোঁচানো শুরু কর”। এমের চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই দৃশ্য। কিভাবে তার চোখের সামনে অমানুষিক অত্যাচার করে মেরে ফেলা হল আরমানকে।

তারেককেও সেভাবে মেরে ফেলবে ওরা? এ দৃশ্য কি সহ্য করতে পারবেন এম? কোনও মা কি পারেন তার চোখের সামনে নিজের সন্তানের মৃত্যু দেখতে? তারেকের গায়ে দুটো বেয়নেটের খোঁচা পড়তেই চিৎকার করে উঠলেন এম। “না! তোমরা মের না আমার তারেক কে। আমি সব বলছি!” ‘না মা এটা করোনা”। তারেক বলল। “তোমার এক তারেক মরে গেলে কিছু হবেনা।

লক্ষ তারেক আছে বাংলার ঘরে ঘরে। তারা ঠিকই যুদ্ধ করে একদিন এই দেশ স্বাধীন করবে। এক তারেকের জন্য তুমি লক্ষ তারেক কে ধরিয়ে দিয়ো না”। “আমি পারবোনা তারেক। কোনও মা তার চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখতে পারেনা”।

এম বলছেন। “আজমি তুমি তারেককে মারতে নিষেধ কর। আমি সব বলে দিচ্ছি”। আজমি তো ভীষণ খুশি। “এই তোরা থাম, যা কাগজ কলম ম্যাপ সব নিয়ে আয়”! এম একটা কাগজে সব ক্যাম্প ও সেইফ হাউজের ঠিকানা লিখে দিলেন।

একটা ম্যাপেও সব দেখিয়ে দিলেন। আজমি একজন ফোর্সকে দিয়ে সেগুলো পাঠিয়ে দিল পাকিস্তানী আর্মির হাতে তুলে দেয়ার জন্য। *** ব্রাউন শার্ট বম্বটা প্ল্যান্ট করেছিল রিয়েক্টরের ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার এর মাঝে। পুরো রিয়েক্টরটা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিলো ইলেক্ট্রিক্যালই। তাই ব্রাউন শার্টের মনে হয়েছিল যে ওই জায়গাতে বম্ব লাগালেই সব থেকে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

এবং হয়েছেও তাই। বম্ব ব্লাস্ট হওয়ার সাথে সাথে রিয়েক্টরের পাওয়ার প্ল্যান্ট উরে গেছে। রিয়েক্টরের পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে কোর আনস্টেবল হয়ে পরে। রেডিয়েশন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে মাত্র একটি কোর থাকে কিন্তু ফিউসনের বেপারটাই হচ্ছে দুটো আলাদা কোরকে নিয়ন্ত্রন করে একটি উচ্চ মাত্রার এনার্জি উৎপন্ন করা।

এটা অবশ্য ব্রাউন শার্ট জানত না। তাই সে শুধু একটি কোর নিস্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে বলা যায়। কিন্তু ফলাফল তাতেই ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। ১ম কোর আনস্টেবল হয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছে। তার ধাক্কায় ২য় কোরেও বিস্ফোরণ ঘটল।

একি সাথে ২টি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ। বিস্ফরনের প্রথম ধাক্কায় আশেপাসের ৩ মাইলের একটি বৃত্তাকার এলাকার সব কিছু ধুলো হয়ে গেল। একি সাথে ২টি বিস্ফোরণ, ২টি বিশাল বাঙ্গের ছাতা কারাচির আকাশে গজিয়ে উঠল। বিস্ফোরণের পর পরই এল শকওয়েভ। এটা আরও বিস্তৃত হল।

তার ২ মিনিট পর এল সিসমিক ওয়েভ, মাটির নিচ দিয়ে। কারাচির ওই অংশে মাটির অনেক নিচে একটি সিসমিক ফাটলে গিয়ে এই ওয়েভ শেষ হল। সিসমিক ওয়েভে ফাটল নরে গিয়ে নিচে বসে গেল উপরের আলগা অংশ। এই বেপারটা আরও কয়েকশ বছর ধরে আস্তে ধিরে হওয়ার কথা সেটা এক মুহূর্তের এক ঝটকায় হয়ে গেল। এই সামান্য নড়াচড়া উপরে সারফেস লেভেলে তুমুল গতির সঞ্চার করল।

কারাচির, পাকিস্তানের এবং দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সব থেকে বড় ভুমিকম্পের উদ্ভব হল ওই সিসমিক ওয়েভের কারনে। রিকটার স্কেলে ১৫ পার হয়ে গেছে প্রথম ধাক্কাতেই। বিস্ফোরণের জায়গা থেকে সারফেস লেভেলের ১০ থেকে ১৫ মাইল পর্যন্ত সাধারণ সব দালান এই কম্পন সামলাতে পারল না। সব ধসে পরল। যেই সব দালান ভুমিকম্প প্রতিরোধক ভাবে তৈরি করা হয়েছে সেগুলো কোন মতে দারিয়ে রইল।

ভুমিকম্পের ২য় ওয়েভ এল আরও ৪ মিনিট পর। এই ওয়েভ আরও বিধ্বংসী হয়ে এল। এই ওয়েভের পর আর কোন দালান ই দারিয়ে রইল না। সব মাটির সাথে মিশে গেল। ঘটনা এইখানেই থেমে গেল না।

বিস্ফোরণ স্থল থেকে মাত্র ৪ মাইল দূরে ছিল কারাচির এক মাত্র নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। এটা খুবি শক্ত একটি কাঠামোর উপরে দারিয়ে আছে। বানানর পর এর নির্মাতা এবং পরিকল্পনাকারীরা বলেছিল এর কাঠামো এতই শক্তিশালি যে কোন ধরনের প্রাকিতিক বিপর্যয়েই এটা থেকে কোন রকমের বিপদের আশঙ্কা নেই। এই রকম কোন বিপর্যয়ের কথা তারা কল্পনাতেও আনেনি। ২টো বিস্ফরনের শকয়েভের ধাক্কা এসে পর পর আঘাত করল পাওয়ার প্লান্টের উপরে।

পুরো কাঠামো থর থর করে কেপে উঠল। তার কয়েক মিনিট পরেই এল সিসমিক ওয়েভ। এবার পুরো কাঠামো খুবি বিশ্রী ভাবে নরে উঠল। অ্যালার্ম বেজে উঠল হটাত করে। পাওয়ার প্লান্টের যারা কর্মচারী সবাই জানে যে এইখানে কাজ করা মানে জীবন রয়েছে মৃত্যুর মুখে কিন্তু কিন্তু এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম।

কেউ কেউ ছুটোছুটি শুরু করে দিল। তখনি আঘাত করল প্রথম ভুমিকম্প। পাওয়ার প্লান্টের এক পাশ ভেঙ্গে পরে গেল। অ্যালার্মের সুর ও সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে গেল। এইবার তারস্বরে চেচান শুরু করেছে অ্যালার্ম।

এই আওয়াজের মানে রিয়েক্তরের কোর আনস্টেবল হয়ে গেছে। এখনি উপযুক্ত বাবস্থা না নিলে মহা বিপর্যয়ের মুখে পরতে হবে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পরল যার যার দায়িত্তের উপর। কিন্তু সকল চেষ্টাকে নিস্ফল করে দিতে ভুমিকম্পের ২য় ওয়েভ ততক্ষণে চলে এসেছে। এবার আর কোর রেডিয়েশন সামলানোর কোন রাস্তা রইল না।

শুরু হল নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি, তবে এবার আরও ব্যাপক আকারে এবং আরও বিস্তৃত অঞ্ছল জুড়ে। ঘন কাল মেঘে ঢেকে গেল কারাচির আকাশ। *** এম হতাশ হয়ে বসে আছেন চেয়ারে। ভাবছেন, স্বামীর মত নিজেও হেরে গেলেন। আর কিছুক্ষনের মধ্যে পাকিস্তানী বাহিনী নেমে পড়বে মাঠে।

নিশ্চিহ্ন করে দেবে মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধারা কোনও প্রতিরোধ করার সুযোগ পাবেনা। আরও একবার ভেঙ্গে যাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন। আজমি রিলাক্স মুডে বসে ছিল। হঠাৎ একজন প্রহরী দৌরে এলো।

“স্যার!। একটা সমস্যা হয়েছে!” “কি হয়েছে?” “বাইরে আমাদের ২০ জন ছিল। সবাই মরে পড়ে আছে!” “বল কি?গোলা গুলির আওয়াজ তো পেলাম না!” “জী... সার। মনে হচ্ছে... মনে হচ্ছে টাইগার স্কোয়াড”! ভয়ের একটা স্রোত নামল আজমির শির দাড়া বেয়ে। “জলদি যাও।

সবাইকে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হতে বল”। টাস্কফোর্স ব্যাস্ত হয়ে পড়ল। সবাই অস্ত্র নিয়ে অদৃশ্য হামলা থামানোর প্রস্তুতি নিতে থাকল। কিন্তু ২০ জন অকুতোভয় বাংলার সৈনিক অনেক আগেই ভেতরে ঢুকে পজিশন নিয়েছে বাড়ির বিভিন্ন যায়গায়। চারিদিক থেকে হামলা এল অতর্কিত ভাবে।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই আজমির বেশির ভাগ লোক মারা পড়ল। আজমিসহ বাকিরা ধরা পড়ল। তাদেরকে একটা সেলে আটকানো হল। এম, তারেক জিয়া সহ সবাইকে মুক্ত করা হল। পুরো ঘটনাটা ঘটল মাত্র ৫ মিনিটে।

টাইগার স্কোয়াডের সেকেন্ড ইন কমান্ড পার্থ, লিডারের কাছে এসে বলল, “লিডার! একটা লাশ পাওয়া গেছে। নির্দয়ভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। মনে হচ্ছে মহামান্য এমের দেহরক্ষী!” লিডার তাকাল এমের দিকে, “কার কাজ এম?” এম আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলেন আজমিকে। তাকে সেল থেকে বের করা হল। লিডার তার মুখের মধ্যে পিস্তলের ব্যারেল ঢুকিয়ে দিল।

“৭১ এ তোর বাবার মত বেইমানরা মিলে আমার বাবা কে মেরেছিল”। রাগে শরির কাপছে লিডারের। “তুই জানিস আমি কে? আমি স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রি তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে। টাইগার স্কোয়াডের লিডার, সোহেল তাজ!” ট্রিগার চেপে ধরল সোহেল। সাইলেন্সার লাগাল পিস্তল।

নিঃশব্দ মৃত্যু! (চলবে) This episode is written by: Nazim-Ud-Daula & Harano chaya ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।