আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"ছাগুটিজিং" এক সামাজিক ব্যাধির নাম । প্রানি বৈচিত্র্য বজায় রাখিতে "ছাগু" অপরিহার্য। "ছাগুটিজিং" বন্ধ করিতে চাই সামাজিক আন্দোলন ।

ইভটিজিং এর চাহিতেও ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়িয়া চলিতেছে “ছাগুটিজিং” । বর্তমানে ইহা একপ্রকার সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়াছে । বিশেষ করিয়া আমাদের তরুণ সমাজ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত বেশী । তাহাদের নিকট ইহা এক প্রকার ট্রেনড হইয়া দাঁড়াইয়াছে । এমতবস্থায় ছাগুদের জিবনযাপন এক প্রকার কোণঠাসা অবস্থার মধ্য দিয়া অতিবাহিত হইতেছে ।

বেগতিক এই অবস্থানে ছাগুরা হুশ হারাইয়া ফেলিয়া প্রায়ই দেখা যাইতেছে বিভিন্ন ব্লগে গিয়া হাগু করিতেছে যাহা অন্যদিকে আমাদের পরিবেশের উপরও প্রভাব ফেলিতেছে । ছাগু কাহারা এই ব্যাপারে সম্যক জ্ঞ্যান রাখা প্রয়োজন বোধ করিতেছি । মুলত চার পা বিশিষ্ট এক তৃণভোজী প্রানি হইতেছে ছাগু যাহারা আমাদেরকে দুধ প্রদান করিয়া থাকে এবং ভুলিয়া গেলে চলিবে না এই ছাগুর দুধ খাইয়া গান্ধীজী হইয়াছিলেন ‘মহাত্মা’ । কিন্তু এই সংজ্ঞা সম্পূর্ণ পালটে দিয়ে দুই পদ বিশিষ্ট মানব সন্তানকে বলা হইতেছে ছাগু কেননা ইহারা জামায়াত ই ইসলাম এবং ইহার প্রধান অঙ্গ (গোপনঅঙ্গ) শিবির করিয়া থাকে বলিয়া । ইহা অনুমেয় যে গোটা তরুণ সমাজ ছাগুদের বিরুদ্ধাচরন করিলেও মুলত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামিলিগ এবং ছাত্রদল ও যুবদল এর মুল ইন্দন দিয়া আসিতেছে ।

কেননা ইহারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলিয়া দাবি করিয়া থাকে এবং বিরুদ্দাচরনকারী ওই জামাত শিবিরকে ছাগু বলিয়া হেনস্তা করিয়া আসিতেছে । ( বিএনপি এই মুহূর্তে এই ষড়যন্ত্রে অংশ গ্রহন করিতে পারিতেছে না কৌশলগত কারনে কিন্তু তাহারাও যোগ দেবেন বলিয়া আশঙ্খা রইয়াছে) । ছাগুদের বিরুদ্ধে এরুপ আচরন সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী বলিয়া মালুম হইতেছে । ইহারা আমাদের দেশের সন্তান যাহাদের সাথে কতিপয় গোসটি এরুপ অনৈতিক ব্যাবহার করিতেছে যাহা মোটেও শোভনীয় বলিয়া মনে করিতেছি না । ছাগুদের প্রতি এরুপ আচরন আজিকের ঘটনা নহে ।

এই ছাগুটিজিং শুরু হইয়া ছিল সেই ৭১ এ । যখন তাহারা ছিলেন পাকিস্তানি মুক্তিযোদ্ধা , একই সাথে যুদ্ধ করিয়াছিলেন মাঠে বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে । কিন্তু ইহার পর তাহারা কি পাইয়াছিল । মুক্তিযোদ্ধারা পাইয়াছিলেন বিভিন্ন উপাধি বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম ইত্ত্যাদি কিন্তু ওই অসাধারন নৈপুণ্য প্রদর্শনের পরেও তাহদেরকে এরুপ কোন সম্মানে ভুশিত করা হইল না। পরিশেষে ইহাই আর্জি থাকিল সরকারের প্রতি যে যদি সম্ভব হয় ছাগুদের নিরাপত্যা বিধানের জন্য সংবিধান সংশোধন করা হোক এই অধিবেশনেই এবং ছাগুদের মুক্তিযুদ্ধে মহান অবদানের জন্য তাহাদের নানা রকম খেতাব দেয়া হোক যেমন ‘ছাগুয়ে ডায়মন্ড’ , ‘ছাগুয়ে গোল্ড’ এবং ‘ছাগুয়ে সিলভার’ ।

সাথে সাথে দেশের ও সমাজের মানুষকে সচেতন করা হোক ছাগুদের সহিত সুব্যাবহার করার জন্য । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।