আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৬ জুলাই, বিশ্ব চুমু দিবসের চুমু নামা

ইহা কঠোরভাবে একটি রাজনীতি মুক্ত ব্লগ ।। বড় বিচিত্র এই সভ্যতা, যেখানে সভ্য জনতাকুল তাহাদের সকল বাৎসরিক দিনগুলিকে একেকটি বিশেষ দিন হিসাবে পালন করিয়া থাকে। বিশ্ব ভালবাসা দিবস, বিশ্ব গার্লফ্রেন্ড - বয়ফ্রেন্ড দিবস এর পর শুনিলাম বিশ্ব চুমু দিবস। এই দিবসে প্রকাশিত এক চুমু নামা নিম্নে উপস্থাপিত হইল ঃ ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর ৬ জুলাই বিশ্ব চুমু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে৷ ‘গিনিজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেয়া চুমুর রেকর্ডটি হয়েছিল ২০০৭ সালের ৬ জুলাই লন্ডনে৷ ৩১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ধরে চলেছিল চুমু পর্বটি৷ উপরে, গুস্তাভ ক্লিম্ট এর বিখ্যাত ‘দ্য কিস’ চিত্রকর্মটি দেখা যাচ্ছে৷ ফটোশপে চুমু ফটোশপে তৈরি করা এই চুম্বন দৃশ্যে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজিকে দেখা যাচ্ছে৷ পোশাক বিক্রেতা ‘বেনেটন’ ২০১১ সালে তাদের ‘আনহেট’ ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে এ ধরণের বেশ কিছু দৃশ্য তৈরি করেছিল৷ এর মধ্যে ওবামা-হু জিনতাও, নেতানিয়াহু-আব্বাস, পোপ-ইমাম এর চুমুর ছবি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল৷ চুমু যখন শিষ্টাচারের অংশ বিবাহিত ও ৩০ বছরের বেশি নারীদের হাতে চুমু খাওয়া শিষ্টাচারের একটি অংশ বলে ধরা হয়৷ উপরের ছবিতে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিট’কে সাপ্তাহিক ‘ডি সাইট’ এর সাবেক প্রকাশক মারিয়ন ড্যুনহোফের হাতে চুমু খেতে দেখা যাচ্ছে৷ কৃতজ্ঞতা প্রকাশে চুমু পোল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাল্দিস্লাভ বারতোসভস্কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে জার্মান সংসদের তৎকালীন স্পিকার রিটা জ্যুসমুট’এর হাতে চুমু দিচ্ছেন৷ সমতা, ভ্রাতৃত্ব, সংহতি সমাজবাদীরা নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশে একে অপরকে চুমু দিত৷ ১৯৭৯ সালের এই ছবিতে সাবেক দুই বিখ্যাত সমাজবাদী নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ আর এরিশ হনেকার’কে দেখা যাচ্ছে৷ প্রিন্স ও প্রিন্সেস ১৯৮১ সালের সেই বিখ্যাত ছবি৷ প্রিন্স চার্লস আর প্রিন্সেস ডায়ানা তাদের বিয়ের পর জনসম্মুখে এসে এভাবেই একে অপরকে চুমু খান৷ বাতাসে ভাসিয়ে চুমু অসাধারণ এই ছবিতে মা ও ছেলে একে অপরকে ফুঁ দিয়ে চুমু উপহার দিচ্ছে৷ এভাবে চুমু দেয়াটা সত্যিকারের না হলেও বার্তা কিন্তু একই ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’৷ সিনেমায় প্রথম চুমু মার্কিন পরিচালক উইলিয়াম হেইস এর ‘দ্য কিস’ ছবির দৃশ্য এটি৷ ১৮৯৬ সালের এই ছবিতেই প্রথমবারের মতো চুম্বন দৃশ্য দেখানো হয়েছিল৷ বর্তমানের ছবি শুরুর দিকে সিনেমায় চুমুর দৃশ্য দেখানো নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হলেও এখন সেটা ছবির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে৷ মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এই দিবস কি এবং কিভাবে অবদান রাখিল ও ভবিষ্যতে রাখিবে তাহার নিমিত্তে চিন্তামুলক আরেকটি দিবস ঘোষনা করা অতিব জরুরী বলিয়া সভ্য জাতী মনে করে । সুত্রঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।