আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুশীলিয় হিপোক্রেসি এবং ভণ্ডামির নির্লজ্জ নমুনা: হুআজাদে করলে লীলা, হাসনাতে করলে বিলা!

গত রমজান মাসে সামহোয়্যার ইন ব্লগ তাদের গুরু, তাদের চুলকানিমূলক নাস্তিকতার অধীশ্বর প্রয়াত হু আজাদকে নিয়ে একখানা স্টিকি পোস্ট পাঠকদের উপহার দেয়। হু আজাদ মহান, হু আজাদ বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ ইত্যাদি বন্দনায় পোস্টটি ছিল টইটম্বুর। হু আজাদের উত্থান অবশ্য নিজের যোগ্যতায় নয় বরং নজরুল রবীন্দ্রনাথের মতো বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য কবি সাহিত্যিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এজন্য তারই সমগোত্রীয় ফরহাদ মাজহার মার্কা আরেক হেফাজতি নাস্তিক আহমদ ছফা তাকে নিয়ে লিখেছিল ‘হুমায়ূন আজাদ একটি সজারু’ নামের একখানা কৌতুকদ্দীপক রচনা। যে রেজা ঘটক উক্ত স্টিকি পোস্ট প্রসব করেছে সেই পোস্টদাতার বাউলা চুলের আউলা প্রোপিকে তার গাঁজার কলিকার সাইজ স্পষ্ট বোঝা যায়।

সেই স্টিকি পোস্টে অনেক বেরসিক লোক হু আজাদের চটিগল্পের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিল অযাচিতভাবে। তবে হু আজাদ যতই চটি লিখুক না কেন, সেই পোস্টের কমেন্টে সেগুলোর স্ক্রীনশট দেখে যত লোকের রোজাই ভাঙ্গুক না কেন সুশীলদের আজাদপূজায় কোন ভাটা পড়েনি, পড়বেও না। কারণ হু আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ চটির নায়ক হলো হেফাজতি ওরফে এন্টি শাহবাগীরা। ২০০১ সালে কথিত হিন্দুনির্যাতনের যেসব বর্ণনা কেবল আমরা পত্রিকা মারফত শুনেছি, সেসব গুজরাট কাশ্মীর ছাড়া কোথাও ঘটে বলে আদৌ প্রমাণিত নয়। সেগুলো মাদ্রাসাসংশ্লিষ্টদের উপর চাপিয়ে দিয়ে হু আজাদ এবং তার ভক্তরা ব্যাপক নির্লজ্জ রসময় কল্পকাহিনীর অবতারণা করেছিল।

আসলে হু আজাদদের উদ্দেশ্য ছিল মফস্বলের হিন্দুপাড়ার নির্লজ্জ দিদিদের খোলামেলা বর্ণনা দেয়া যেগুলো সেখানকার পাবলিক ট্রান্সপোর্টে তাদের গায়ের শাড়ি ফেলে দেয়া থেকে অনেকেই দেখে নেয়। হু আজাদ যদি ‘পাক সার জমিনে’ না বলত তাহলে এই লেখকের মত শহুরে অনেকেই জানত না যে, মানবজাতির এক বিশেষ সম্প্রদায়ের গ্রাম্য নারীকুল দন্ডায়মান হয়ে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদনা করে। সোনাগাছির গোল্ডেন টিকেট পাওয়ার জন্য হু আজাদের এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা আসলেই বিস্ময়কর। তবে মুসলিমদের হেয় করে কল্পকাহিনী বানালেও হু আজাদের বামপন্থী নেতারা হলো বাস্তব জগতের নায়ক। তারা যে খাদ্য হিসেবে নিজেদেরকে সোপর্দ না করলে ‘সীমা’দের হাতে মাইক্রোফোন দেয় না, তারা যে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে স্লোগানকন্যাদের নিয়ে রাত কাটায় সেসব বাস্তব ঘটনাকে গল্পের কাহিনীতে তুলে আনলে তাদের অবস্থা যেন নুনদেওয়া জোঁকের মত যন্ত্রণাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়ায়।

তখন তাদের বাকস্বাধীনতা, তাদের সমঅধিকার, তাদের অসাম্প্রদায়িকতার ফাঁকা বুলি ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে তারাও গালিগালাজের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। তখন তাদের দ্বারা ব্লগ ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত আত্মারাও তাদের চুলছেঁড়া যন্ত্রণা দেখে শান্তি পায়। তখন বোঝা যায় যে ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’ কথাটা ফেলনা নয়। টাকা ছড়িয়ে বুদ্ধিজীবী কেনাটা হলো জুয়াখেলার মতো। জুয়ায় যেভাবে অপ্রত্যাশিতভাবেই হঠাৎ করে হারতে হয়, ঠিক সেভাবেই জামাতিদের টাকার কাছে প্রায়শই আনন্দবাজারি পুরষ্কারের লোভ ফিকে হয়ে যায়।

জুয়াড়িদের মতো নীতিহীন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও গতানুগতিক আনন্দবাজারি লোভ ছেড়ে ফরহাদ মজহারদের খাতায় নাম লেখায়। কুকুরের মতো যখন যেখানে হাড্ডি পায় সেখানেই মুখ দেয়। এরাই আবার নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। যেভাবে হেফাজতিদের নিকট ধর্ম ,ঠিক সেভাবেই বামপন্থীদের নিকট মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো ব্যবসার উপকরণ। ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের এসব সোল এজেন্টদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট।

গ্রেফতারকৃত সুব্রত শুভর মত শিবলিঙ্গপূজারীরা মুসলিমদের ব্যঙ্গ করে ‘ইমানদন্ড কেবল মুছলমানদেরই আছে’(নাউযুবিল্লাহ) নামক সাম্প্রদায়িক পোস্ট লিখে যাবে আর মুসলিমরাই বারবার অপমানিত হবে, তা হবেনা তা হবেনা! এক মাঘে যেভাবে শীত যায় না, ঠিক সেভাবেই তাদের পার্টিঅফিসে কোন মফস্বলের সিটপ্রত্যাশী কলেজছাত্রীর চোখের পানির দাগও প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কাগজের বুকে ফুটে উঠবে। যাকে তারা চাইলেও মুছে ফেলতে পারবে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।