আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীন ফোন কর্মীদের লিফলেট

‘গ্রামীণফোনের প্রহসনমূলক নীতি এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা’ ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে অদ্যবদি ৩৮ মিলিয়ন গ্রাহক ও ৫০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে গ্রামীণফোন তার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। প্রসঙ্গ সফলতার নয়। এই সফলতার পেছনে যাদের বিনিদ্র ও রক্তঝরা পরিশ্রম তাদের প্রতি অবিচারের কথা। অবিবেচনার অন্তরালে চাপা পড়ে আছে এই বিশাল কোম্পানির প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের আশা আকাঙ্খা। এখানে বিবেচনা করা হচ্ছে শুধু ব্যবসা।

এ যেন মনে করিয়ে দেয় ইংরেজ কোম্পানির শাসনামলে নীলকুঠির নিষ্ঠুরতার কথা। শুরুতেই আসে অমানবিক ইনক্রিমেন্ট পলিসির প্রসঙ্গ। সরকার ঘোষিত ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি) যেখানে ১১ শতাংশ সেখানে আজ আমরা শূণ্য থেকে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট নিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করছি। যা বাস্তবিকভাবে অসম্ভব। এখানেই শেষ নয়।

ঘটনার ক্রম বিবর্তনে এলো এমপ্লয়ী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া। অস্বচ্ছ ও বর্বর পন্থায় টরে (গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ও ভাট্টি (মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হারুণ ভাট্টি) গং তাদের অসাধু ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করলো ‘পি এন্ড ও’ ডিভিশন থেকে। ধীরে ধীরে তা কমার্শিয়াল বিভাগ পর্যন্ত বিস্তার করলো। শোনা যাচ্ছে তা টেকনোলজি, ফাইন্যান্স ও অন্যান্য বিভাগেও হবে। যেভাবে মিটিংয়ের নাম করে জোর করে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হলো এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ছুটিতে থাকা অবস্থায় অফিসে ডেকে এনে পদত্যাগপত্রে সই করতে বলা হলো তা একাত্তরের পাক হানাদারদের পাষণ্ডতা ও বর্বরতাকেও হার মানায়।

শুধুমাত্র মৌখিক আদেশের ভিত্তিতে এই ধরনের অমানবিক প্রক্রিয়া চালানো কর্তৃপক্ষের অসাধু মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এমতাবস্থায় আজ আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের শত আবেদন সত্ত্বেও স্বৈরাচারী ম্যানেজমেন্ট কোনো কথায় কর্নপাত করছে না। তারা তাদের অসাধু, ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করার নিমিত্তে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা আমাদের রক্তে গড়া এই প্রতিষ্ঠান একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের খেয়াল খুশির কারণে নষ্ট হতে দিতে পারি না।

হাজার হাজার নিষ্ঠাবান কর্মীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে গ্রামীণফোন ম্যানেজমেন্ট দিনের পর দিন যেসকল অন্যায় কার্যক্রম চালিয়েছে, সময় এসেছে সবাই একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানানোর। আমাদের দাবিগুলো নিম্নরূপ: অবিলম্বে অনৈতিক ছাটাই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে বর্তমান ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করে ন্যায্য ও যৌক্তিকহারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ঘোষণা করতে হবে। ছাঁটাই করা কর্মীদের যথাবিহিত সম্মানপ্রদর্শনপূর্বক যথাযথ সামাজিক/আর্থিক/মানসিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কোম্পানির কাছে ন্যায্য পাওনা বাবদ ৫ শতাংশ মুনাফা লভ্যাংশ বকেয়াসহ প্রদান করতে হবে। নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি, আর কতদিন আমরা এসব নির্যাতন মুখ বুঁজে সইবো।

উপরোক্ত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আসুন বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলি। --গ্রামীণফোনের সকল এমপ্লয়ি সূত্র: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.