আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ রোমাঞ্চকর! ভাগ্য বিরম্বনাও বটে!!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ স্পেনের জয়োল্লাস !!! যারা গতকালকের স্পেন-পর্তুগালের খেলা দেখেনি, সম্ভবত এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সেরা খেলাটি মিস করেছেন। এমন উত্তেজনাপূর্ণ আর রোমাঞ্চকর খেলা এবারে অন্তত এখনো দেখা যায় নি! ১২০ মিনিট সারা স্টেডিয়াম ছিল উত্তেজনায় মাতোয়ারা! আর টিভি সেটের সামনে বসে যারা খেলা দেখেছেন, নিশ্চয়ই সারাক্ষণ দাঁত দিয়ে নখ খুঁটেছেন! এদেশে মেসির কল্যাণে স্পেনের দর্শকের অভাব নেই। আর্র ক্রিস্টিয়ানা রোনাল্ডোর কল্যাণে পর্তুগালের সমর্থকও কম নেই! খেলার ধারায় যে কোন দল জয়ী হতে পারতো ফিল্ড গোলেই! কিন্তু ভাগ্য বিড়ম্বনায় একজন কে তো পরাজয় মেনে নিতেই হবে! আর তাতে রোনাল্ডোর দলকেই বিদায় নিতে হল! খেলার প্রথম মিনিট থেকেই হামলে পড়েছিল পর্তুগিজরা। ২ মিনিটের সময় আল্ভারো রাইটব্যাক থেকে মিগুয়েলকে বল ঠেলে দেন, মিগুয়েল ৩০ গজ দূর থেকে গোলে শর্ট নিলে পিকের গায়ে বল বাঁধা পেয়ে গোল লাইনের বাহিরে চলে যায়। প্রথম যাত্রায় স্পেন গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায়।

স্পেন ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেয় নিজেদের। আর আক্রমণে যাবার চেষ্টা করে। ৫ম মিনিটে ইনিয়েস্তার একটি চেষ্টা পেপে প্রতিহত করে। সময় যত গড়ায়, টেনশন তত বেড়ে যায়। কোন দলই পরিষ্কার গোল করার পথ খুঁজে পায় না।

ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেশ কয়েকবার স্প্যানিশ রক্ষণে কাঁপন ধরিয়েছিলেন। পর্তুগাল প্রথম থেকেই স্পেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলার কৌশল অবলম্বন করে। রোনালদো ও কোয়েনত্রাও দ্রুত গতিতে বেশ কয়েকবার স্প্যানিশ সীমানায় ঢুকেও পড়েন। কিন্তু তাঁদের সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান আরবেলোয়া। খেলার প্রথমার্ধে স্পেন তৈরি করে দুটো সুযোগ।

কিন্তু আরবোলোয়া ও ইনিয়েস্তার প্রচেষ্টা দুটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এই সময় রোনালদোর একটি স্প্যানিশ গোলপোস্টের অল্প বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে রোনালদোর পাশাপাশি স্পেনের রক্ষণ-ব্যূহে সমস্যা তৈরি করছিলেন আলমেইদা। দ্বিতীয়ার্ধে যেন দুই দলই ঝিমিয়ে পড়েছিল। তাই এই অর্ধে তেমন জোরালো কোন আক্রমণ দেখা যায় নি।

গোল শূন্য থাকায় খেলা অতিরিক্ত সময় গড়ায়। আর সে সময় স্পেন পর্তুগালকে খুব চেপে ধরে। বেস কয়েকটা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডরা গোল করতে ব্যর্থ হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ১২০ মিনিট শেষে পেনাল্টি শুট আউটের বিকল্প আর কিছু নেই।

আর খেলা রোমাঞ্চকর রঙ্গমঞ্চ এখানেই আলোকিত বেশী! শুট আউটে প্রথম কিক নিতে আসে স্পেনের জাবি আলন্সো, কিন্তু বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে Patricio low দুর্দান্ত ভাবে রুখে দেয় আলোন্সর কিক! শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে স্পেন আর উচ্ছ্বাসে নেচে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম (পরতুগিজ সমর্থকের গলা বাজিতে মনে হচ্ছিল স্পেন দর্শক শূন্য!)। এগিয়ে থাকার সংকল্পে পর্তুগিজের Joao Moutinho কিক নিতে এগিয়ে যায়! কিন্তু এ কী! ক্যাসিলাস Joao Moutinho'র দুর্বল শর্ট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন! প্রাণ সঞ্চার ঘটে স্পেন দলে! খেলায় সমতা! এরপর একে একে Gerard Piqué, Pepe, Andrés Iniesta Luján নিজ নিজ দলের পক্ষে গোল করতে সমর্থ হয়। তখন স্পেন ২-১ এ অগ্রগামী। খেলায় নাটকের শেষাংক এখানেই শুরু! পর্তুগালের ব্রুনো আল্ভেস কিক নিতে এলে ন্যানী এসে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজেই কিক নেয় আর গোলও করে! আবার সমতা (২-২)। সারগিও রামোস ইটালির পিরলোর সেই কিক নিয়ে স্পেন কে এগিয়ে দেয় আবার (৩-২)।

পর্তুগালের ব্রুনো আল্ভেস কিক নিতে ফিরে আসে আবার। কিন্তু এ কি! বার কাঁপিয়ে তার বল প্রতিহত! তবে কি ন্যানী কুফা এঁকে দিয়ে গেলেন! স্পেনের হয়ে সেস ফেব্রিগ্যাস শেষ কিক নিতে আসে, ভাগ্য তার সুপ্রসন্নই বলতে হবে। ১ম গোলবারে বল বাঁধা পেলেও বল ঠিক ঠিক জালে ঢুকে যায়। আর তাতেই জয়োল্লাশে মেতে ওঠে স্প্যানিশরা। সেস ফেব্রিগ্যাস গোল করে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাসিলাসের ওপর।

শুধু সেই কেন! পুরো দল ক্যাসিলাসের ওপর! ফল ৪-২ হবার ফলে পর্তুগালের হয়ে আর পঞ্চম শটটি নিতে হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হতভম্ব হয়ে স্পেনের জয়োল্লাস দেখছে! তার যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না পর্তুগালের বিদায়ের।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।