আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিচুতে কেমিক্যাল সারাদেশে ১৩ শিশুর মৃত্যু

গত ২০ দিনে এরা মারা গেছে : ফল খেয়ে এত মৃত্যু এই প্রথম সুত্র : ইত্তেফাক মৌসুমী ফল লিচু। আর তা যদি হয় দিনাজপুরের, তাহলে তো কথাই নেই। শুধু দেশের মানুষ নয়, বিদেশেও দিনাজপুরের লিচুর আলাদা কদর। এবার জানা গেল সেই দিনাজপুরের লিচু খেয়ে ১৩টি শিশুর মৃত্যুর কথা। তাদের সবার বয়স ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যে।

আম বা লিচুতে কেমিক্যাল দেয়া হয়, আর তা খেয়ে আমরা হজম করার শক্তি অর্জন করেছি। কিন্তু ছোট্ট শিশুরা তো সেই শক্তি অর্জন করতে পারেনি, তাই হয়ত তাদের জীবন দিতে হল। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগ তত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও আন্তর্জাতিক উদারময় গবেষণা কেন্দ্রর (আইসিডিডিআরবি) বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত লিচু খেয়েই এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে মৃত শিশুদের রক্ত ও অন্যান্য নমুনা আমেরিকার সিডিসি আটলান্টায় পাঠানো হয়েছে। গত পহেলা জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এসব শিশু লিচু বাগানে খেলার সময় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়। আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় শিশুরা মারা গেছে। আর তা লিচু থেকে বিষক্রিয়াই। জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি’র বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা দিনাজপুরে অবস্থান করে নানাবিধ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। কিডনি, লিভার, ক্যান্সার এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের খবর ভয়াবহ আতঙ্কের বিষয়।

গাছে কি এমন কেমিক্যাল দেয়া হল যে শিশুরা মারা গেল। তাদের মতে, যারা খাবারে কেমিক্যাল দিচ্ছে প্রচলিত আইনে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড ছাড়া বিকল্প নেই। চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে খাবারে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন রয়েছে। বাংলাদেশেও এই আইন এখন কার্যকর করার সময় এসেছে।

তা না হলে ঘরে ঘরে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হবে মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, সরেজমিন ঘুরে আসা বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফল খেয়ে একসঙ্গে এত শিশুর মারা যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। http://www.bdagromarket.com/  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।