আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাম তেল তত্ত্ব এবং গিনিপিগ কৃষক

হাজারো প্রলোভনে পড়ে ৪ বছর আগে পাম চাষ শুরু করেছিলেন যশোরের চাষিরা। তাদের গাছে এখন থোকা থোকা ফল ধরেছে। কিন্তু সেই ফল তাদের খুশির বদলে হতাশা নিয়ে এসেছে। কেননা পাম ফলের কোন ক্রেতা নেই আবার চাষিরাও জানেন না কি ভাবে ফল থেকে তেল বের করতে হয়। পাম চাষের প্রলোভনে আটকে তাদের চোখেমুখে এখন শুধুই হতাশা।

হাজারো প্রলোভনে পড়ে ৪ বছর আগে পাম চাষ শুরু করেছিলেন যশোরের চাষিরা। তাদের গাছে এখন থোকা থোকা ফল ধরেছে। কিন্তু সেই ফল তাদের খুশির বদলে হতাশা নিয়ে এসেছে। কেননা পাম ফলের কোন ক্রেতা নেই আবার চাষিরাও জানেন না কি ভাবে ফল থেকে তেল বের করতে হয়। পাম চাষের প্রলোভনে আটকে তাদের চোখেমুখে এখন শুধুই হতাশা।

খবরটি ইত্তেফাকের। সাধারণ কৃষকদের ঘাড়ে ভর দিয়ে সে সময়ের সেনাবাহিনী প্রধান পাম তেল চাষ তত্ত্ব আবিস্কার করেন। আর সেই তত্ত্বে তেল দিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মরীয়া হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বিখ্যাত গণমাধ্যম কর্মীরাও সেদিন তেল মারার সাথে ছিল। সেনাপ্রধানের সাথে হেলিকপ্টারে চড়ে পাম চাষ সম্প্রসারণে নেমেছিলেন এক চ্যানেলের সংবাদ পরিচালক।

সেনাপ্রধানের তেল চাষ তত্ত্ব সেদিন কেউ বিরোধীতা করেন নি। বরং নিরব থেকেছেন। আর কেউ কেউ পালে বাতাস দিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করেছেন। পুরো প্রক্রিয়া শুরু না করে কৃষকদের গিনিপিগ বানিয়েছেন। সাধারণ কৃষক, তারা কিন্তু সেই আগের অবস্থাতেই।

নির্যাতিত, প্রতারিত। আলু মুলোর লোভ দেখিয়ে গাছে তুলে দিয়ে মই নামিয়ে নিয়েছে তারা। যারা সেদিন এই তত্ত্বে ছিলেন তারা কি এর দায় নেবেন। মইন সাহেবকে এখন আর পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাদের চেলা চামুন্ডারাতো আছেন, তারা এখন কি করছেন।

আমি নিজে একবার এক সভায় বলেছিলাম, প্রায়োগিক গবেষণা ছাড়া এটি করা ঠিক হবে না। অবশ্য তারপর থেকে আমাকে আর ডাকা হয়নি। আমি বলেছিলাম, বড়জোড় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা করলেও অতি উতসাহী কিছু ব্যক্তি সেনাপ্রধানের আনুকূল্য পাওয়ার জন্য কোথায় কোথায় পাম গাছ আছে, কোথায় চারা তৈরি হচ্ছে এগুলো নিয়ে মহাকাব্য রচনা করতে থাকেন। আজ যশোরের কৃষকরা প্রতারিত।

আমরা জানি আরো অনেকেই প্রতারিত হবেন। যারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এই অবস্থা সৃষ্টি করেছে তাদের প্রতারণার অভিযোগে আদালতে দাড় করানো হোক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।