আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেডিকেল ছাত্রী জল্লাদ নাকি কসাই ?

দোয়া করি যেন ভাল থাকেন। দোয়া করবেন যেন ভাল থাকি দশ বছর বয়সী শিশু লিমা গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার কেবি ফজলুল কাদের রোডের বাসিন্দা একটি শিক্ষিত, অভিজাত পরিবারে। দুপুরের ভাত খাওয়ার পর গৃহকর্ত...ার মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে সিলভী দে তাকে নির্দেশ দেন পুরো বাসার ফ্লোর মোছার জন্য। কিন্তু ভাত খাওয়ার পর কিছুটা আলস্য ভর করায় আস্তে আস্তে মেঝে মুছতে থাকে লিমা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘুম থেকে উঠে ঘর মোছা হয়নি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সিলভী।

বেত নিয়ে হামলে পড়েন লিমা’র উপর। চলতে থাকে একের পর এক বেতের আঘাত আর অকথ্য নির্যাতন। সহ্য করতে না পেরে বাসা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে লিমা। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিয়ে যান পাঁচলাইশ থানায়। লিমা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ফেনুয়া এলাকার কর্ণফুলী চা বাগানের পাশের বাসিন্দা প্রয়াত হরিকমল রায় ঘাটুরিয়ার মেয়ে।

তার মা ঢাকায় এবং বড় বোন চট্টগ্রামে একটি বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে। লিমা জানায়, এক বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর তাদের সংসারের ভরণপোষণ মেটাতে তার মা নগরীর নালাপাড়ায় একটি বাসায় কাজ নেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তিনি ঢাকায় চলে যান। একমাস আগে ঢাকায় যাবার সময় লিমাকে চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত প্রিন্টিং ব্যবসায়ী শিখা দে’র বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ দিয়ে যান। শিখা দে’র মেয়ে সিলভী একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী বলে লিমা জানায়।

রোববারের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিমা জানায়, কাজে যোগ দেয়ার পর থেকে সিলভী কারণে, অকারণে তাকে বেত দিয়ে পেটাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে লিমা বলে, ‘এক গ্লাস পানি চাইলে, যদি দিতে একটু দেরি হতো তখন মারত। এক মাসে আমাকে ১০-১৫ বার মেরেছে। আজ যখন ঘর মোছার জন্য পেটাল তখন আর সহ্য করতে পারিনি। আমি বের হয়ে অলিখাঁ মসজিদের সামনে চলে যাই।

’ স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ খোকন জানান, অলি খাঁ মসজিদের সামনে লিমাকে কাঁদতে দেখে তিনি তাকে প্রথমে তার বাসায় নিয়ে যান। এরপর নগরীর নালাপাড়ায় তা মা যে বাসায় কাজ করত সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু ওই বাসার লোকজন তাকে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর খোকন তাকে পাঁচলাইশ থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে থানায় যান সিলভীর মা শিখা দে।

তিনি ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটনোর অঙ্গীকার করে এ বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের কোন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। পাঁচলাইশ থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার গৃহপরিচারিকার কোন অভিভাবককে আমরা এখনও পাইনি। অভিভাবককে থানায় আসার জন্য খবর দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের বিষয়ে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.