আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালেয়শিয়া আমাগো সেকেন্ড হোম, সুইস ব্যাংক টাকার গুদাম- দেশ নিয়া আমাগো চিন্তা কি

আমরা রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী, পুজিপতি, আমলা, কামলা, চিকিৎসক, উকিল- আমাগো দ্বিতীয় বাড়ি, সেকেন্ড হোম মালেয়শিয়া। আমাগো টাকার গুদাম হইল সুইস ব্যাংক। আমাদের কোটি কোটি টাকা আছে, কিন্তু দেশে কি সেই টাকার কোন নিরাপত্তা আছে? এই দেশে কি মানুষ থাকতে পারে? লুটপাট কইরা এই দেশরে তো আমরা ময়লা ফেলার ভাগাড় বানায়া ফালাইছি যেইখানে উচ্ছিষ্ট নিয়া কাক কুকুরের লড়াই চলে। এইরকম একটা দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে কি মানুষ থাকতে পারে? তাছাড়া আমরা যেমন টাকা লুট করেছি, আমাদের কাছ থেকেও তো লুট করতে পারে আর কেউ। তাই আমাদের দরকার মালেয়শিয়ার সেকেন্ড হোম, সুইস ব্যাংকের নিরাপত্তা।

দেশ নিয়া আমাগো কোন চিন্তা নাই, দেশ জাহান্নামে যাক, যদি কখনো চিন্তা করি তাইলে করি লুটপাটের চিন্তা- দেশি বিদেশী কোম্পানি/গ্রুপ অব কোম্পানি/ কর্পোরেশনরে দিয়া কেমনে কেমনে দেশরে মারা খাওয়ানোর বিনিময়ে কত কমিশন পাইতে পারি- সেই দিকেই সবসময় নজর থাকে আমাগো। আর আমাগো যে এই দিকে নজর আছে,এই নিয়া যেন কেউ আর কেউ নজরদারি করতে না পারে সেই জন্য পাবলিকের নজর ঘোরানো কিংবা ঢাইকা রাখার জন্য আছে আমাগো মিডিয়া, তবু মাঝে মাঝে নিজেগো মাঝে গ্যাঞ্জামের কারণে আমাগো ধান্দার খবর মিডিয়ায় বাইর হয়া আসে। তবে চিন্তা নাই, এই গুলা আবার অচিরে হারায়াও যায়, এইগুলা নিয়া সুশীল-কুশীল কারোরই কোন মাথা ব্যাথা নাই। দেশের টাকা ডলারে রুপান্তর করে বিদেশে নেয়া অবৈধ হইলেও টাকা থাকলে সবই সম্ভব। নানান সিস্টেমে এই কাম করা যায়, যেমন: $ দেশের ভেতর থেকে হুন্ডি ব্যাবহার করে অর্থ পাচার $ পণ্য আমদানির সময় উচ্চমূল্য দেখিয়ে বা ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হয়েছে।

$ মানি এক্সচেঞ্জার ব্যবহার কইরা। ঢাকায় টাকা ডলারে রূপান্তরিত করলে একই মানি চেঞ্জারের মালয়েশিয়ার একটি নির্দিষ্ট শাখা থেকে ডলারের পরিবর্তে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত গ্রহণ করা সম্ভব। মাঝেই মাঝেই এইগুলা নিয়া পেপার পত্রিকায় খবর আসে কিন্তু কারও "খবর" হয় না তাতে, কারণ খবর যারা করবো তারাই তো "আমরা", হা হা হা। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের কোটি কোটি ফ্রাঁ! গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।