আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলিয়াস আলীর পর জামান

নিরাপত্তাহীনতার অতল গহ্বরে এখন বাংলাদেশ. রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার রাজনীতিকে রাজনীতিকরা অবহেলা করে এসেছেন রাষ্ট্রের সূচনা কাল হতেই. তারই জের ধরে রাজনীতিকরাও এখন সম্পুর্ন নিরাপত্তাহীন এদেশে.যার সম্পুর্ণ দায় রাজনীতিকদের.প্রসঙ্গ সিলেট: সিলেটকে সামরিক কৌশলগত যুদ্ধক্ষেত্র করা হয়েছে. আসাম-সিলেট সীমান্ত ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দাদের নজরে নজরে.বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ল্যান্ডফোর্স যাতায়তের উত্তম প্রবেশ-দূয়ার এই সীমান্ত.ভারতীয় যুদ্ধকৌশল সম্পর্কে বাংলাদেশী রাজনীতিক ও শিক্ষিত শ্রেনী এখনো উদাসীন থাকলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী “সিলেট সীমান্তের আলী” ইলিয়াস আলীকে গুম এবং হত্যা করেছে.বিশ্ব ব্যাপী ঝড় উঠেছে যার প্রতিবাদে. এই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে অদ্ভুত এক অজুহাতে এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে. তাকে পঙ্গু অথবা খুন করে ফেলার পরিকল্পনা আছে.যদিও তিনি এখন ও জেলখানায় বেচেঁ আছেন.সিলেটে যুবনেতাদের জন্য ভয়ানক দু:সংবাদ অপেক্ষা করছে,যদি না তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ শক্তি থাকে, যদি না তারা বুঝে যে সিলেট এখন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র.ব্যক্তিগতভাবে তারা কেউই নিরাপদ নয়. সিলেট অঞ্চলের উপর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর নজর বহুদিনের. সীমান্ত গোয়েন্দারা সার্বক্ষনিক পেছনে লেগে আছে তাদের. এমন কোন ঘটনা এখনো ঘটেনি,যাতে এসব গোয়েন্দারা বাড়াবাড়ি করতে ভয় পাবে. স্থানীয় যুবকরা এখনো কোন শত্রু নিধন করেনি. তবে সিআইএর ওস্তাদরা মনে হয় ওসব ইতরগুলোর হাঁচি কাশির ব্যাপারে হুবহু অবগত হয়েছেন এবং ভারতীয়দের বিছানা বালিশের তথ্যাবলীও নিয়ে রেখেছেন. তবে বাংলাদেশ সরকারের নিজের কোন গরজ থাকার খবর এখনো কেউ বলছেন না. উল্লেখ্য; ভারতীয় সেনাবাহিনী মিজোরাম অঙ্গরাজ্যে কোন সামর্থ্যবান যুবক এবং যুবতী জীবিত রাখেনি এক নৃশংস দমন অভিযানে. যার ফলে সেখানে সামাজিক দুর্র্গতি চলছে এখনো. আমি নিজে দেখে এসেছি. বিএনপির লড়াকু যুবশক্তি ইলিয়াস এবং জামানের পর আরো আসছে গুম,গ্রেফতার,খুন,গাড়ীর ধাক্কায় জীবন নাশ, পারস্পরিক বিবাদ লাগিয়ে খুন, টাকার বিনিময়ে দলীয় কোন্দল বাড়িয়ে বিএনপিকে দ্রুত “নাম কা ওয়াস্ত” এবং “হিজরা রাজনীতিকের দলে” রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে.মিয়ানমার সীমান্তে অশান্তির কারণে দুনিয়ার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ওখানে. ঐ প্রান্তের অস্থিতিশীলতায় সবাইকে ব্যস্ত রেখে ভারতের আসাম সীমান্ত দিয়ে ঘেরা সিলেটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র তাই এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে. সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার নিখোঁজ হওয়ার মামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান জেল হাজতে। এ মামলায় উচ্চ আদালতে খন্ড কালীন জামিনে থাকা জামান ১৮ জুন ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এই ঘটনাটিকে আপাতত: একটি সাধারণ আইনগত ব্যাপার মনে হতে পারে এবং ওটাই স্বাভাবিক.বাংলাদেশী রাজনীতিক বুদ্ধিজীবীগণ এভাবেই অভ্যস্থ. কিন্তু ভেতরের রহস্য অন্যরকম. বাস্তবতা অনেক কঠিন. বাংলাদেশের জন্মের সাথে ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে এই দুই দেশের ভবিষ্যত গতি প্রকৃতি মূল্যায়ন করতে হবে. পাকিস্থান হতে স্বাধীনতার কালে পাকিস্থানীদের আত্নসমর্পণের দলিল বাংলাদেশী স্বাধীনতা যোদ্ধাদের সাথে করতে দেয়া হয়নি. ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্ন সমর্পণ করানো হয়েছিলো. ভারত কি কোন সামরিক স্বার্থ ছাড়াই তা করেছিল? সোভিয়েত ইউনিয়ন কি কোন স্বার্থ ছাড়াই আমেরিকান মিত্র পাকিস্থান ভেঙ্গে বাংলাদেশকে ভারতের অধীনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো? ভারত কি এমনি এমনি তার দখলদার বাহিনী তুলে নিয়ে সাধুর প্রমাণ রাখতে গেছে? কেন তারা সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করেও সিলেটের সীমান্তের ভেতরে বি এস এফ ক্যাম্প করে ২০০১ সন পর্যন্ত থেকে যায়? বিডি আর প্রতিরোধ করে তাদেরকে তাড়াতে হয়েছিল? কেন দুই প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব ও জিয়াকে একের পর এক হত্যা হতে হয়? কেন তাহের,মঞ্জুর,খালেদরা বেচেঁ থাকতে পারলোনা নিজের বীরত্বের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে? এসব প্রশ্নের জবাব জটিল করা হয়ে এসেছে বছরের পর বছর যাবত. বিভ্রান্ত করা হয়েছে জনগনকে.কিন্তু প্রকাশ্যে গনতন্ত্রের পোষাক পরিয়ে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সরকারে বসানো হলো গণতন্ত্রখেকো এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব খেকো রাক্ষসীদের. ক্ষমতায় বসেই পিলখানায় হত্যা করা হলো সেই বিডিআর অফিসারদেরকে যাদের নেতৃত্বে ২০০১ সনে ভারতীয় বাহিনী পরাজিত হয়েছিলো.বিডিআর নামটা পর্যন্ত বাতিল করা হলো. নিশ্চিন্ন করা হয়ে গেলো পরাক্রমশালী বিডিআর.এই ছদ্মবেশী সরকার জনগনের মতামতের তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোষাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ডিউটি করাচ্ছে. ঘটনা মনে করার জন্যই কৌশল নেয়া হয়েছে.শত্রুকে গোয়েন্দারা একই কৌশলে বার বার আক্রমণ করেনা,করতে দেখি নাই. তবে আমেরিকা বৃটেন এবং ইওরোপীয়ান ইউনিয়নের খোলামেলা চাপের যুদ্ধংদেহি হাবভাব থেকে. ফলে ভারতীয় গোয়েন্দারা নাকি কচ্ছপের কৌশল নিয়েছে, চালাকির আশ্রয় নিয়েছে. সম্ভাব্য প্রতিরোধ শক্তিগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে সরিয়ে ফেলা বা নিশ্চিন্ন করার ধারা তারা ছাড়েনি. তবে জানা গেছে বিএনপির উপরের অনেক নেতাকে গোপনে কিনে ফেলা হয়েছে টাকা এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা প্লাস নির্বাচনে জিতানোর ভাইটামিন ভরসা চুক্তিতে. এমতাবস্থায় সাহসী ও লড়াকু রাজনীতিকদের বাছাই করা তালিকা অনুযায়ী তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা বা খুন করা আর কঠিন নয়. সরকার বিএনপির ভেতরের ভদ্রলোক ও লোভী, হিংসুটে ও প্রতারক, গোবেচারা ও দালাল জাতের সকল প্রানীগুলোকে ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে তথ্য় দিয়েছেন গোয়েন্দারা. পর্যবেক্ষকরা দাবী করছেন,সব কিছুই ওলট পালট করে দেবে মার্র্কিন মুরুব্বী.দ্রুত বেগে আসছে ৭ম এবং ৮ম যুদ্ধ জাহাজের বহর. বাংলাদেশীরা কোমর সোজা করে মাথা তুলে থাকতে পারলেই যথেষ্ঠ. ভারতীয় বড়ি গিলে থাকা উম্মাদগণ বমি করে পেট পরিস্কারের সময় ও পাবেন না বলে তাদের ধারণা.তারা বলছেন,উপরতলার কয়েকশত পেটওয়ালাদের দেখে বিভ্রান্ত হবার কাজ নেই.ঝড়ের দাপটে এসব “মাহফুজ বেলুনরা” কোথায় হারিয়ে যাবে তার কোন চিহ্নই পাওয়া যাবেনা. অস্তিত্বের উপর ঝড়ের তান্ডবে সর্দার্নীরা নিজে নিজে পালাবেন? নাকি যৌন-দাস দাসী আর পিম্পের বোঝা নিয়ে টানা টানি করবে? নিশ্চয়ই ১৬কোটি বাংলাদেশীরা ছদ্মবেশী শত্রুদের পালাতে দেবেনা. নিজের কৌশল নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা মুরুব্বীরা বাংলাদেশী সাধারণ নাগরিকদের মতামত যাচাই করে নিচ্ছেন সরে জামিনে.সাধারণ নাগরিকরা সম্ভবত: নিজেরাই এবার ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তাদের চিন্নিতজনদের উপর. নতুন নেত্রিত্ব ঘোষণা দেবেন নিজেরাই. উত্থান হবে এক বিস্ময়কর নতুন পরিস্থিতি.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.