আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দেখা সেরা ১০ টি মুভি রিভিউ ।।। পর্ব - ২ ।।। (ভালো মুভি দেখার ইচ্ছা বা অভ্যাস থাকলে এটা মাষ্ট সি আপনার জন্য)

I always tell the truth. Even whn I lie. প্রথম পর্ব দেখতে এখানে কিল্ক করুন। Incendies ২০১০ সালে কানাডিয়ান মুভি কাহিনি ও পরিচালনা করেছেন Denis Villeneuve । অস্কার নোমিনেশন পেলেও In a Better World মুভির কাছে হেরে যায়। কিন্তু আরও বেশ কয়েক জায়গায় সেরা মুভির পুরষ্কার জিতে নিয়েছে এই মুভি। এই মুভি একটু অসামাজিক মুভি, মানে যারা নিজেদের ভদ্রলোক এবং গতিময় ভাবতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই মুভি না।

কারন এই জন্যে যে এটা অবশ্যই বিতর্কিত মুভিগুলোর মাঝে অন্যতম। শুরুতেই আমরা দেখতে পাব এক মৃত মহিলার দুই সন্তানকে। তাদের মা মারা যাবার আগে তাদের জন্য দুট শর্ত রেখে গেছে, সেগুলো পুরন করতে হবে। তাকে কিভাবে দাফন করা হবে ( বলছিনা,মুভিতেই জেনে নেবেন ) এটা একটা। আরেকটা হলো, দুটো খাম, যা তাদের বাবা এবং ভাইকে দিতে হবে।

ভাইয়ের অমতে বোন বাবা ও ভাইকে খোজা শুরু করে। মুভিতে দেখা যাবে প্যারালাল কাহিনি, একদিকে মেয়ে খুজছে,অন্যদিকে মায়ের যুবতী বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন অধ্যায়ে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে কাহিনী ঘোলা হতে শুরু করে। তখন ভাই এসে যোগ দেয়। ওদের অচেনা ভাইয়ের খবর জানা যায়।

আর ধীরে ধীরে কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসে ( এই কথাটা অনেক শুনেছেন, এই মুভিতে দেখবেন এর সার্থক ব্যবহার) মুভিটি দেখার পর নিজেকে নিস্ব মনে হচ্ছিল। কিছু বলার জন্য ভাষা এবং ভাবার জন্য চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলাম। নিজেকে যতটা অসহায় মনে হচ্ছিল মুভির চরিত্রগুলোও এতটা ভেঙ্গে পরেনি। এখানেই পরিচালকের স্বার্থকতা। অনেকটা প্রেম বিচ্ছেদের পরবর্তি সময়ের অনুভুতির মতো।

একপক্ষের দৃড়তা ও শক্ত থাকার প্রবনতা অন্যপক্ষকে যেমন মৌন ও বিষন্ন করে তোলে, আমি ঠিক সেভাবেই রুপান্তর হয়েছিলাম। The White Balloon এটা ১৯৯৫ সালের ইরানী ড্রামা মুভি । পরিচালনা করেছেন জাফর পানাহি আর কাহিনি লিখেছেন সম্মানিত Abbas Kiarostami । মুভির গল্প যেমন তেমন কিন্তু বাচ্চা দুইটার অভিনয় একদম চোখে লেগে থাকার মতো। যেমন তেমন গল্প মানে বাজে গল্প না, শিশুযুগলের অভিনয় কাছে সত্যি গল্প যেমন তেমন।

ইদানিং ইরানী মুভি দেখার নেশা বেড়েছে, ইরানী মুভিগুলো দেখার পর মানবিক দিক দিয়ে খুব তাড়িত হই। তাড়িত হতে ভালোলাগে। মৌনতা সবার ভালোলাগে। ইরানী বর্ষপুর্তি দিনের গল্প। দুই ভাই বোনকে আখড়ে ধরে এই মুভি কথা বলবে।

ছোট বোন মায়ের হাত-পাও ধরে তাকে একটা গোল্ড ফিশ কিনে দেবার জন্য। কিন্তু গতিময়তা রক্ষা করে আর হাজারো মধ্যবৃত্ত অভাবী মায়েদের মতো এই মা ও তার শিশুর আবদার পাশ কেটে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় বাচ্চটি যেমনটি হওয়া উচিত। কিন্তু মাকে অনেক কষ্টে পটিয়ে মেয়েটার বড় ভাই তাকে মাছে কেনার টাকা এনে দেয় । একটা ৫০০ টাকার নোট দেওয়া হয়, মাছের মুল্যবাবদ ১০০ টাকা রেখে তাকে বাকি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়।

বারবার স্মরন করিয়ে দেওয়া হয়, তার টাকা যেন না হারায়। কিন্তু মেয়েটা হারিয়ে ফেলে, টাকা, খুজেও পায়। মুল গল্প এই। কিন্তু মুভি দেখতে দেখতে যে আপনি কতো দর্শনের সাথে পরিচিত হবেন, তা বোধহয় আচ করতে পারেননি। কতটা মানবিকভাবে আগ্রহী হয়ে পরবেন, হয়তো শিশুদের দিকে একটু আদর মাখা দৃষ্টিতে তাকাবেন তা অনুধাবন করার জন্য এই মুভি ।

La Strada আরেকটা জার্নি। ফেলিনি জার্নি। আমার প্রথম ফেলিনি চলচিত্র। ১৯৪৭ সালের মুভি যে কতটা গঠনমুলক আর আশ্চর্য সৌন্দর্যে গড়ে উঠতে পারে তার প্রমান এটা। আমি অবাক হতাম সত্যজিত দেখে, ফিলিনি দেখেও আমার একই অনুভুতি।

যদিও মিউজিকে সত্যজিত ফেলিনির থেকে অনেক এগিয়ে বলে আমার মনেহয় ( একটা মুভি দেখে মন্তব্য করা, নিশ্চিত অন্যায়)। আমার এটাও মনেহয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেসব সংগীতজ্ঞ জনপ্রিয় বা সম্মানিত তারা সকলেই রবীশংকর এবং আলী আকবরের কাছে শিশু। এই মুভি আমরা দেখতে পাব একটা সরলা মেয়ে গেলসোমিনা যাকে তার মা জাম্পানোর কাছে বিক্রি করে দেয়। জামপানো সার্কাস প্রদর্শন করে জীবীকা নির্বাহ করে। সহকারী ভাড় হিসেবে সে গালসোমিনাকে ব্যবহার করে।

একসাথে থাকতে থাকতে গেলসোমিনা প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে পরে জাম্পানোর উপর। কিন্তু জাম্পানোর জীবন ভোলা মানুষ। তার জীবন নারী প্রয়োজন শুধু বিছানায়। তাছাড়া গেলসোমিনার উপরে তার সেন্স অন্যরকম। অনেক ঝাপটা আসলেও গেলসোমিনা জামপানোকে ত্যাগ করে না।

সুখে দুক্ষে তার সাথেই থাকবে বলে সীধান্ত নেয়। কিন্তু ?? নায়িকাকে দেখে কেমন যেন লর্ড অফ দ্যা রিং এর হবিটের মতো লাগছিল। অভিনয় ও কাজ সব সুন্দর। এই মুভি না দেখা উচিত নয় একদম। সকল প্রকার সিনেমাখোরদের জন্য এই মুভি দেখা উচিত।

শেষটা সত্যি করুন। Life of Brian ভয়ানক মুভি কেন বলছি ? কারন এটা একটা ধর্মভিত্তিক স্যাটায়ার। কাহিনি লিখেছেন Monty Python's টিম। কয়েকজন মিলে গড়া একটি সংস্থা। এরা সাধারনত স্যাটায়ার নির্মান করে থাকেন।

ব্যপক কমেডি বলে যদি কিছু থাকে তাহলে এটা একটা। সেন্স অফ হিউমার ব্যবহার সুক্ষ ব্যবস্থা আছে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট এবং ম্যাগাযিন এটাকে সেরা কমেডি বলে আখ্যায়িত করে থাকে। কোন কোন দেশে এটাকে ব্যান করা হলেও আমেরিকায় এটা বেশ ভালো ব্যবসা করেছিল। ব্রেইন নামের একজন সাদাসিধে লোক যাকে ক্রুশিফাইড করা হয়।

কিন্তু করার কথাতো জেসাস কে ? হিম, এটা শেষের দিকের গল্প। শুরুতেই দেখতে পাবো আসমান থেকে কয়েকজন ফেরেস্তা নেমে ব্রেইনের মাকে প্রচুর জান্নাতি জিনিষ উপহার দিলেন, এবং ব্রেইনকে নবী বলে আখ্যায়িত করলেন। কিছুক্ষন পরে বোঝা গেল আসলে এই উপহার জেসাসের জন্য, ব্রেইন তার পাশের বাড়িতে জন্ম গ্রহন করায় ভুল করে তাকে দেয়া হয়েছে। ফিরিয়ে নেওয়া হলো, ব্রেইন বড় হয়ে উঠলেন, কিন্তু একটা বিব্রতকর অবস্থায় পরে লোকসমাজে জেসাসের আগেই একটা জমপেশ ভাষন দিয়ে ফেললেন। সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ তাকে ফলো করা শুরু করলো।

শেষমেশ...... দেখা যাক। অতিরিক্ত মাত্রার কমেডি। কিছু কিছু জায়গা আছে পজ করে হাসবেন। এলাকা কাপিয়ে হাসবেন, বিশেষ করে জেসাসের উধাও হয়ে যাওয়ার জায়গাটাতে এত অসাধারন। আর শেষে একটা গান, খুব খোটা দেওয়া গান।

আমন্ত্রন রইলো আনন্দময় কিছুসময় পাস করার জন্য। About Elly এটা কিন্তু আমার প্রথম ইরানী মিষ্ট্রি মুভি। এর আগে ইরানী মুভি বলতেই ড্রামা বুঝতাম। এইটা দিয়ে বোঝা গেল রহস্য আর ড্রামার মিশেল মুভি যদি একটা হয়ে থাকে তবে এটাই পাবে সে সম্মান। ২০০৯ সালের মুভিটি পরিচালনা করেছেন Asghar Farhadi ।

২০১১ সালে তিনি A Separation মুভির জন্য তিনি অস্কার পেয়েছেন। এটা সাধারনত ইরানী মধ্যবৃত্ত পরিবারগুলোর সম্পর্ক সম্পর্কিত। তিনদিনের ছুটি কাটাতে Caspian Sea তে গেল কয়েকটা ইরানী মধ্যবৃত্ত পরিবার। । পিকনিকের আয়োজন করেছে Sepideh ।

আর এখানের সকলে তার বন্ধু। আলাদা ভাবে এল,Sepideh এর মেয়ের স্কুল টিচার আর বিদেশী বন্ধু যে কিনা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে এসেছে। আড্ডা-গান এগিয়ে চলে গাড়ি। ওরা পৌছায়, কিন্তু যেখানে থাকার কথা ওখানে আর থাকা হয় না। কারন যে মহিলাকে শহর থেকে বাসা ভাড়ার জন্য ঠিক করা সে বাসা চেঞ্জ করে চলে যাবে সমস্যাজনিত কারনে।

তাই ওরা সকলে আশ্র্য় সাগর ঘেষা একটা নষ্ট বাড়িতে। আর এখান থেকেই মূল গল্প। ভুত-টুত কিছু না। পিওর ড্রামার সাথে মধ্যভাগে চমৎকার মিষ্ট্রির মিশেল। মুভিটি দেখা শেষ, আপনি হতবাক ভাবছেন ঘটনার মারপ্যাচ আপনাকে কোথায় নিয়ে এল।

ইতিমিধ্য আপনি বেশ উপভোগ করেছেন প্রেম,গল্প,আড্ডা, সন্তান ভালোবাসা , ঝগড়া , তর্ক , কষ্ট , দুক্ষ ,চিন্তা,চেতনা। এরকম আরও অনেকগুলো অনুভুতিময় শব্দের সাথে পরিচিত হতে হতেই এটা হয়ে যাবে আপনার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটা। Witness for the Prosecution ১৯৫৭ সালের সাদাকালো একটা কোর্টরুম ড্রামা মুভি। পরিচালনা করেছেন বিলি উইল্ডার। আগাথা ক্রিষ্টির কাহিনি অনুসারে নির্মিত।

ভাবতেও পারিনি মুভিটি এতটা অসাধারন। শুরু থেকেই চোখ লেগেছিল মুভিটিতে। ১ সেকেন্ডেও এদিক সেদিক হয় নি, কারন বোধহয় রহস্যের উত্তেজনা। সাদাকালোর সাথে বরাবর মিষ্ট্রির একটা মিল রয়েছে। সাদাকালো যেন রহস্যের ওপিঠ।

ভোল একজন খুনের আসামী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু ভোল প্রচুর আন্তবিশ্বাসের সাথে বলছে সে খুনটা করেনি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্ট উকিল Wilfrid Robarts । তিনি প্রচন্ড অসুস্থ থাকা সত্তেও কেসটা নিলেন নিজের শেষ কেস হিসেবে এবং অনেকটা মানবিকতার দায়ে পরে। একজন নিষ্পাপ মানুষকে শাস্তি থেকে বাচাতে তিনি সামনে পা বাড়ালেন।

কিন্তু আদালত মানেই ঝামেলাতো জায়গা। অনেকটা কঠিন হয়ে পরলো ভোলকে বাচানোর কাজটা। Wilfrid Robarts এর প্রতিপক্ষও কম যায় না। কিন্তু শেষ মেষ কি হবে, ভোল কি বাচবে ? Wilfrid Robarts কি হেরে যাবে তার শেষ কেসটা ? দেখে নিবেন মুভিতে। আপনি হয়তো ভেবে ফেলেছেন এর শেষে কি হতে যাচ্ছে, মনে রাখুন এটা অস্কার প্রাপ্ত একটা মুভি, পরিচালনা করেছে বিলি উইল্ডার।

আর কাহিনি যেহেতু আগাথা ক্রিষ্টির। গারান্টি নিয়ে দেখতে বসুন আপনি যা ভাবছেন তা তো হবেই না বরঞ্চ কতটা অবাক হলেন সেটা দেখার ব্যাপার। Central Station ১৯৯৮ সালের ব্রাজিলের একটা ড্রামা মুভি। পরিচালনা করেছেন Walter Salles । অস্কারে দুটো শাখায় নোমিনেশন পেলেও জিততে পারিনি।

ভালো পুরষ্কারের ঝুড়ি শুন্য হলেও এটা যে একটা অসাধারন ড্রামা মুভি তা আমি হলপ করে বলতে পারি। ডোরা নামক একজন জেদী,একগুয়ে বৃদ্ধা মহিলা যে শিক্ষকতা থেকে বিদায় নিয়ে বর্তমানে Rio de Janeiro সেন্ট্রাল স্টেশনে চিঠি লেখা এবং তা পাঠানোর কাজ করছেন। কিন্তু কি এক অজানা কারনে তিনি চিঠিগুলো কখনোই পাঠাননা, নিজের কাছে রেখে দেন। ছিড়ে ফেলেন। সম্ভবত তার কাছে চিঠিপত্র আদান প্রদানকে এক প্রকারের বোকামী মনে হয়।

একদিন গল্পের মূল চরিত্র Josue ও তার মা ডোরা কাছে চিঠি নিয়ে আসে, Josue এর বাবার কাছে একটা চিঠি পাঠানোর জন্য, Josue তার বাবাকে আগে পরে কখনোই দেখেনি। কিন্তু ডোরা সেই চিঠিও পাঠায় না। ২য় বার চিঠি পাঠিয়ে ফিরে যাবার সময় Josue এর মা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। Josue একা হয়ে যায়। ডোরা তাকে তার বাবার কাছে পৌছে দেবার জন্য তাকে নিয়ে রহনা হয়।

এখান থেকে শুরু হয় মুভির মূল ড্রামা। অসাধারন মুভি বিশেষ করে এন্ডিং। পাষানদের জন্য নির্মিত এই মুভি দেখে না কেদে কেউ থাকতে পারবেন বলে মনে হয়না। কতসুন্দর করে সাজানো প্রতিটি সিন। Der Siebente Kontinent পরিচালকের নাম মাইকেল হেনেক।

হয়তো অনেকেই চেনেন অনেকে আবার আমার মতো চেনেননা। এবার আমি বলি ইনি হচ্ছে একজন জার্মানি পরিচালক। আমি তার একটা মুভি পুরাটা না দেখেই তার সব মুভি এক সাথে ডাউনলোড দিয়েছি। এবং যে মুভিটার কথা আমি বলছি সেটা অবশ্যি তার সেরা কাজ নয়। কিন্তু এই কাচা হাতের কাজ দেখে আমি যতটা অবাক হয়েছি, অপেক্ষায় আছি দেখতে, আমার উপর দিয়ে কি যাবে যখন আমি তার প্রধান,সেরা ও জনপ্রিয় মুভিগুলো দর্শন করবো।

১৯৮৭ সালের এই মুভিতে আমরা দেখতে পারবো একটা পরিবারের কাহিনি। তাদের নিত্যদিনের আচার-আচরন। স্বামীর নিয়মিত অফিস বাচ্চার স্কুল আর স্ত্রির অফিস ফেরত, ডিনার,লাঞ্চ আর ছাদের নিচের জীবন যাপন। পরিচালক আমাদের একটু একটু করে তাদের দৈনন্দিন সকল কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে সে এক অদ্ভুদ স্টাইলে। কিন্তু পরিচালক কখনোই বলেনি সত্যি কি হয়েছিল এই পরিবারের সাথে।

হয়তো কিছু ক্রু রেখে গেছেন, সেগুলো বোধহয় সিনেমাতেই দেখা ভালো হবে। তো আপনি প্রস্তুত আপনার সেন্স অফ হিউমারটাকে ঝালিয়ে নিতে ? Das Experiment যারা এই মুভিটি দেখেনি তারা জানেইনা কি জিনিষ মিস করে গেল। মনে অজান্তেই কত বড় ভুল করে বসে আছেন মুভিখোরেরা। আর যারা দেখেছে, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আমি একটা মুভির কথা বলছি না। বলছি একটা জলজ্যন্ত পেইনের (ব্যাথা) কথা।

Oliver Hirschbiegel পরিচালিত এই জার্মানি মুভিটাকে মুভি বলার থেকে পেইন বলা ভালো, যতটা আপনাকে আনন্দ দেবে এই মুভি তার থেকে বেশী দেবে যন্ত্রনা। প্রচুর পরিমানে ব্রেনে চাপ দেওয়া মুভি। হঠাত হঠাত পিসি অফ করে দিতে মন চাবে। ইচ্ছা করবে ভার্চুয়ালিটির বিভেদ ভেঙ্গে দিয়ে মুভির প্লটে গিয়ে সব উলটে পালটে দিতে। অতি সাধারন একটা গল্পকে কতটা সুন্দর উপস্থাপন।

একটা গবেষনার কাজে কিছু মানুষকে ভাড়া করা হয়। তাদের যা করতে বলা হবে তাই করে দিতে হবে, বিনিয়মে পাবে টাকা। গবেষনা শুরু হয়, ভাড়াটে মানুষগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একদলকে করা হয় পুলিশ। আরেক জল আসামী। জেলে বন্দি করা হয় আসামীদের, পুলিশদের তাদের গার্ডে রাখা হয়।

শুরু হয় গেম, একটু একটু করে পুলিশ আসামীদের মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, এগিয়ে যেতে থাকে গবেষনা। বাড়ে টেনশন। চাপের মুখে উলটে যায় মন্সতাত্তিক সীধান্ত। খুব অল্পসময়ে আসামীদের সাথে গার্ডেদের একটা বিবাদ লেগে যায়। এইখানে ফিল্মের মুল টার্ন।

আর এখনি শুরু পেইন। প্রচুর অসাধারন কিছু ক্লালারের ব্যবহার দেখা যাবে এই মুভিতে। জোড়ালো মেসেজ দিয়ে শেষ হয়ে যাই এই অসাধারন ব্যথাবল জিনিষ বা সাইকোলজিকাল থ্রিলার। বিঃদ্যঃ মুভিটি আর রেটেড তাই নিজ দ্বায়িত্তে দেখুন। Turtles Can Fly ইরানী চলচিত্র।

দেখার আগেও জানতাম যে আমি একটা মুভি দেখতে চলেছি, দেখার পর অনুধাবন করলাম আমি কোনো মুভি দেখিনি । স্রেফ একটা ভ্রমন করে আসলাম। কিন্তু কোথায় সে ভ্রমন স্থান ? সেটা না হয় আপনিও অনুধাবন করে নেবেন। যাই হোক এর পরিচালক Bahman Ghobadi । অসাধারন পরিচালনা করেছেন তিনি।

এক কথায় যে কেউ মেনে নেবে। কাহিনি আবর্তিত হয়ে কুদরিশ রিফিউজি ক্যাম্প ঘিরে, ক্যাম্পের অবস্থান ইরাক-কুদরিশের বর্ডারে। আমেরিকা-ইরাক ঝামেলা এখনো লাগেনি। লাগু লাগু অবস্থা। বর্ডারঞ্চলের মেধাবী কিশোর ছেলে যাকে গ্রামবাসী স্যাটেলাইট বলে ডাকে কেননা সে টিভি,রেডিও,ডিশ সর্বোপরী ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় পারদর্শী।

শুধু তাইনা সে একটু সেকটু ইংরেজিও জানে। সেই সুবাদে সাদ্দাম-বুশের ভালো সংবাদ তার কাছে থেকে পাওয়া যায়। সেই ছেলে মোটামুটি কিশোর এবং বুড়ো সমাজকে লিড করে। কিশোর সমাজকে নিয়ে বর্ডার অন্তর্গত খনিগুলো দেখাশুনা করছে। ভয়ংকর খনির বিষ্মরনে এখানের অনেকেই হাত- পা হারিয়েছে।

ফলাফলে দেখা যায় অধিকাংশ শিশুই পঙ্গু। কাহিনিতে গুরুত্ত্বপুর্ন চরিত্র একটা মেয়ে। আমরা পোষ্টারে যাকে দেখতে পারছি। তার সাথে একটা বাচ্চা ও ভাই। খুব রহস্যময় এই চরিত্র তিনটি।

চরিত্রগুলো বিশ্লেষন করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে মুভি। ইতিমধ্যে আপনি অনেক কিছু দেখে ফেলেছেন। ভেঙ্গে ফেলেছেন অনেক রহস্য। শিওর শেষের দিকে আপনার চোখ ছলছল করছিল। যখন ফিল্ম শেষ হয়ে গেল গারান্টি তখন আপনি ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিকে আটকে আছেন আচানক একটা মোহে।

ভাসছেন কোনো এক অমিমাংশিত চিন্তায়। আহবান রইলো এই অসাধারন ভ্রমনে। It was the first film to be made in Iraq after the fall of Saddam Hussein. @@@@@ টরেন্ট ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন । তারপর নাম দিয়ে সার্চ করুন। যেটা খুশি সেটা ডাউনলোড করুন।

ডাইরেক্ট ডাউনলোড করার জন্য এখানে সার্চ করুন । @@@@@ এই ১০ টা মুভি আমাকে ব্লগার হাসান মাহবুব ফেসবুকে রেকমেন্ড করেন। প্রতিটি মুভি এতোই সুন্দর যে দেখামাত্রই এগুলো আমার দেখা সেরা এবং পছন্দের তালিকার উপরের দিকের আসন দখল করে বসে আছে। একটু সময় ভেবে-চিন্তে লিখতে বসলাম। মুভিগুলো প্রচুর ব্যপ্তি নিয়ে, সেক্ষেত্রে হয়তো আমার রিভিউ তাদের সঠিক ভাব প্রকাশ করতে পারিনি।

অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থনা করছি। রিভিউয়ের বিচারে মুভিগুলোকে হেলা করবেন না। সেটা হয়তো একজন মুভিখোর হিসেবে অনেক বড় ভুল বৈকী আর কিছুই হবেনা। @@@@ যদি পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যি আমাকে এরকম বা এর থেকে ভালো অতন্ত্য একটা মুভি রেকমেন্ড করুন কমেন্টে। @@@@ আমার মুভি বিষয় ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন আপডেটিত  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.