আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনিরদের মাস্টার্স ডিগ্রী রিকশায়

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা আমাদের ঘুনে ধরা সমাজে আর কতো কি দেখবো? কেউ খায়ছে না আবার কেউ পাচ্ছে না। এক মুঠো অন্নের জন্য সবাই ছুটছে অগুন্ত আর অজানা পথে। পড়াশুনার জন্য এক বাবা তার সন্তানের পিছনে ৩/৪ জন গৃহ শিক্ষক রাখেন অথচ এই মনিরদের পড়াশুনা চলে এভাবে। আমাদের এই পড়াশুনা দিয়ে আমরা দেশের একটি উকৃষ্ট বিবেকবান হতে চাই। বিবেকে লালন করতে চাই।

অগ্নিস্ফুলঙ্গ এই পৃথিবীতে সহজ সরল ভাবে বেঁচে থাকলে অনেকেই করে উপহাস। আর সেই উপহাসকে আঙ্গুল দিয়েছে মনির। নিচের সংবাদটি লক্ষ্য করুন রাজশাহীতে প্রাইভেট টিউশনিতে পয়সা কম, তাই প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় এসে রিকশা চালাই। ’ রিকশার প্যাডেল ঘোরাতে ঘোরাতে খুব সহজেই এ কথাগুলো বললেন মো. মনিরুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত এই শিক্ষার্থী প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবেই নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশেনার খরচ যোগাড় করছেন।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে মগবাজার থেকে পরিবাগ যাওয়ার পথে তিনি আরোহী প্রতিবেদককে জীবন যুদ্ধের এই গল্প শোনান। মনির জানান, রাজশাহীতে নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট পড়ালেও মাসে দুইশ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। অথচ ঢাকায় প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে তিনি প্রায় হাজার টাকা আয় করেন। মনির বলেন, ‘এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমটা একটু বেশিই হয়। কিন্তু সৎ পথে থেকে কম সময়ে এত টাকা আয় করার অন্য কোনো উপায় আমি পাইনি।

’ এরপরও মনিরের আক্ষেপ যে তিনি শুধু টাকার অভাবে বোনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অনার্স’ পড়াতে পারেননি। বাধ্য হয়ে এখন তারা বাড়ির পাশের কলেজে ‘ডিগ্রি’ পড়ছেন। রাজশাহীর পুঠিয়ার কৃঞ্চকাঠী গ্রামের এক নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারে ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মনিরের জন্ম। মাওলানা আফছার ও মমতাজ বেগমের এই জেষ্ঠ্য সন্তান ২০০২ সালে অমৃতপাড়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং ২০০৪ সালে তায়েবপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। এরপর তিনি নাটোরের নবাব সিরাজদৌল্লাহ কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স করেন।

একইসঙ্গে শাখারীপাড়া দারূল হুদা মাদ্রাসা থেকে তিনি ফাজিল পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের পাশাপাশি দামুহুরিয়া বহুমুখী মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণীতে ভর্তি হন। এসএসসি পাশ করার পরই মনির প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় রিকশা চালানো শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি শুধু মিরপুর এক নম্বরের তাইজুল মিয়ার গ্যারেজের রিকশাই চালান এবং ওই গ্যারেজেই থাকেন। মনির বলেন, ‘এই কাজটি কখনোই আমার খারাপ লাগেনি।

কাজ তো কাজই। আমি তো আর চুরি-ছিনতাই করছি না। ’ কয়েক বছর আগে মাস তিনেকের জন্য চাকরিও করেছিলেন মনির। কিন্তু পরীক্ষার আগে ছুটি না পাওয়ায় তিনি সেটি ছেড়ে দেন। মনির আরো জানান, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে মাস্টার্স ও কামিল শেষ হওয়ার পর তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার প্রস্ত্ততি নেবেন।

সূত্র:http://www.barta24.net/?view=details&data=Visa&menu_id=71&news_type_id=1&news_id=50739 েআপনাদের কাছে অনুরোধ প্লিজ আমাদের মনিরদের পড়াশুনা করার জন্য উৎসাহ দিন। কখনো উপসাহ নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.