আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিড়ম্বনাঃ একজন আইনজীবী ও তাঁর পরিবার যখন সার্জেন্ট এর খপ্পরে -১

নারী ও শিশু আমার ভাল লাগার বিষয়। এদের নিয়ে কাজ করতে ভাললাগে। কিন্তু এখন আমার কর্মক্ষেত্র সকল জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। আজকের লেখাটি একটু ভিন্ন রকমের। বিশেষ ভাবে তাঁদের জন্য যাঁরা আমার লেখাটি অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন এবং পরবর্তীতে আমার কি হলো তা নিয়ে ভাবছেন।

আজকে আমার ড্রাইভারের লাইসেন্স এর শুনানির তারিখ ছিল। কিছুদিন থেকেই আমার ড্রাইভার বেশ ধানাই পানাই করছিল। আমি ৭ দিনের জন্য দেশের বাহিরে গিয়েছিলাম ড্রাইভার আকাশকে বলে গিয়েছিলাম যে ও যেন ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম এ গিয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু ফিরে এসে ওর কাজ কারবার দেখে আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে ওর লাইসেন্স হয়ত অরিজিনাল না। আমাদের পক্ষেও বোঝা সম্ভব ছিল না কোনটা অরিজিন্যাল আর কোনটা ফ্লস।

যাইহোক আজকে সকালে কাগজ পত্র নিয়ে ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম অফিসে গিয়ে হাজির হলাম। সাথে আমার বড় মেয়ে ছিল। ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম জনাব একরামুল হাবীব অনেক সমাদর করলেন। বেশ কিছুক্ষন কথা বললেন। আমার গাড়ীর R/C ফেরত দিলেন আর ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ২০০ টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হলো কারন ড্রাইভারের লাইসেন্স অরিজিন্যাল ছিল না।

একরামুল হাবীব সাহেব আমাকে যা বললেন ড্রাইভার রাখলে তার লাইসেন্স যেন অরিজিনাল কিনা তা ভাল ভাবে জেনে নেই। যদি আমাদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় তবে তাঁর অফিসে গিয়ে যেন পরীক্ষা করে নেই। কারন first party insurance করা থাকলে যদি ড্রাইভাবের লাইসেন্স ফ্লস থাকে তাহলে কোনো বেনিফিট পাওয়া যাবে না। আমি আমার ব্লগে এই বিষয় নিয়ে লিখেছি সেটা ওনাকে জানালাম । সার্জেন্ট জহুরুল সাহেবের ব্যবহারে আঘাত পেয়েছি সেই বিষয়ে জানালাম।

ঊনি অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন গাড়ীর মালিকদের ড্রাইভার নেওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। আমি একরামুল সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে বেড়িয়ে আসলাম। আমার ড্রাইভার আকাশকে নিয়ে খুব শীগ্রই একটা লেখা লেখার ইচ্ছে আছে যা অনেককে ড্রাইভার রাখার ব্যপারে সহায়তা করবে আশা করি। সবাইকে শুভ রাত্রি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।