আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো মিয়ানমারে মুসলমানদের রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে; সারা পৃথিবীর মুসলমান কি ঘুমায় নাকি!

Click This Link (১০ জুন ২০১২) : মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে মুসলিম-রাখাইন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে আটকে পড়া ৫৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৩৯ বাংলাদেশি নাগরিক মংডু টাউনশিপ থেকে ১০ জুন দুপুর ২টায় টেকনাফ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরে এসেছে। আরও ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক এখনও মিয়ানমারে রয়ে গেছে বলে জানায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আটকে পড়া ২৭১ মিয়ানমারে নাগরিকদের মধ্যে ১০ মিয়ানমার নাগরিক সেদেশে ফিরে গেছে। ফিরে আসা ব্যক্তিরা টেকনাফ স্থলবন্দরে ট্রানজিট ঘাটে ফিরে এসে মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতন ও লুটপাটের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। ফিরে আসার পথে গতকাল রোববার সকালেও রাহাজান বিবি নামের এক মুসলিম কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার পুলিশ।

সে ঘাট এলাকায় পিঠা-পায়েস বিক্রি করত। আটকে পড়া বাংলাদেশিরা গত শুক্রবার থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছে। গত ৩ দিন ধরে তারা হোটেল থেকে বের হতে পারেনি এবং টিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারেনি। তাদের বর্ণনামতে, সে দেশে মুসলমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে রাখাইন ও মিয়ানমার প্রশাসন। তারা জেনেছে মুসলমানদের হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হচ্ছে, আবার মুসলমানদের লাশের মাথা ন্যাড়া করে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বলেও চালানোর চেষ্টা চলছে।

লুটপাট চালানো হচ্ছে মংডু শহরে মুসলমানদের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। পুলিশ পাহারায় রাখাইনরা হামলা চালাচ্ছে মুসলমানদের ওপর । এ ছাড়া রাস্তায় মুসলমানরা বের হতে না পারলেও রাখাইনরা দা-চুরিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে বলে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিক টেকনাফের গুরা মিয়া, সিদ্দিক কক্সবাজারের আব্দুর রহমান, চট্টগ্রামের মাহমুদা খাতুন, কামাল ও আনোয়ারার জুয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছে। এদিকে শুক্রবারের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ কালা হোসন (৫০) নামে এক মিয়ানমার নাগরিক ১০ জুন সীমান্ত অতিক্রম করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার করে।

পুলিশ সদস্যরা তাকে প্রহরায় রেখেছে। মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে মুসলিম-রাখাইন সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে মংডু টাউনশিপ ও এর আশপাশের এলাকা সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। দাঙ্গা এখনও অব্যাহত আছে। এদিকে বিজিবি তাদের টহল জোরদার করেছে। জানা যায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মংডু এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি বলবৎ রেখেছে।

এর মাঝেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেনাবাহিনী ওয়েস্টার্ন জোন কমান্ডার মেজর জেনারেল টোন নে লিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তারা মংডু এলাকা সফর করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তারা উত্তেজিত মুসলমান ও রাখাইন গ্রামগুলো পরিদর্শন করে জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে তারা মুসলমানদের বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সিকদারপাড়া মারকাজ মসজিদ পরিদর্শন করে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসলমান, রাখাইন ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গ্রামে গ্রামে শান্তি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে মুসলিমদের পক্ষে শাহনেওয়াজ, মাস্টার জমিল আহমদ, মাস্টার জাহাঙ্গীর, মাওলানা আব্দুল্লাহ, হাজি কলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন বলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে একজন নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফে বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. শফিকুর রহমান জানান, যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে। মুসলমান কি বাজারের সস্তা মাছ লাগে? যখন-তখন স্লাইস করে ফ্রাই করবি? শুধু অপেক্ষায় আছি একটা গর্জনের... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।