আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গলদ কোথায়,রাজনৈতিক দলে না নেতাদের মাঝে?।রাজনৈতিক দল্ গুলু হারিয়েছে তাদের ধর্ম।

সেই সৃষ্টির সময় হতে রাজনৈতিক দল্ গুলুর প্রতিষ্ঠাতাদের হাত ধরে অনেক রাজনৈতিক নেতারা যোগ দিয়েছিলেন ,কিন্তু পরবর্তীকালে সেই নেতাদের অধিকাংশই দলচ্যুত হয়েছেন অথবা দল ত্যাগ করেছেন। কেন এমন হচ্ছে ? দোষটা কার ? সমস্যা কোথায় সৃষ্টি হচ্ছে ? বাংলাদেশের যেই বড় দুই রাজনৈতিক দল রয়েছে বি এন পি এবং আওয়ামিলিগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা যারা ছিলেন তাদের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে ,অনুপ্রানিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন বাংলাদেশের প্রবীন সব নেতারা যাদের ভিতর বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ,ডক্টর কামাল হোসেন চৌধুরী , তোফায়েল আহমেদ , আব্দুল জলিল ,বঙ্গবির কাদের চৌধুরী , প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বি . চৌধুরী , নাজমুল হুদা , কর্নেল অলি সহ প্রমুখ বর্ষিয়ান নেতারা । তাছাড়া আছেন মরহুম সাইফুর রহমান এবং আব্দুর রাজ্জাক যাদের নাম না নিলেই নয় । কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন তাদের বেশির ভাগই আজ আর দলের সাথে নেই কিংবা থাকলেও কোনঠাসা অবস্থায় আছেন । আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই বর্ষিয়ান নেতা যেমন জলিল ,তোফায়েল ,রাজ্জাক ,মায়া সাহেব সহ প্রমুখ সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে রাখলেন এবং অনেকটাই একইরকম হওয়া বিল বিরোধী বি এন পি শিবিরেও সেখানেও নতুন দের জয় জয়কার দেখা গেল পুরাতনরা একটু কমই পেলেন ।

এই হলো দলের মনভাব যাতে স্পষ্ঠ যে তারা কিছুটা বিব্রত বোধ করছে বর্ষীয়ান নেতাদের নিয়ে । কিন্তু নেতাদের দিকে তাকালে আমরা দেখব তারা সন্তুষ্ঠ নন দলের কার্যকলাপে কেননা তারা দেখে শিখেছেন মুজিবকে এবং জিয়াকে । ডক্টর কামাল হোসেন ,অনেক আগেই দল ছেড়েছেন যেমনটা ছেড়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক সাহেবও যদিও পরে তিনি আবার আওয়ামীলীগে ফিরেন এবং মৃত্যর আগদিন পর্যন্তও দলের একজন একনিষ্ঠ সেবক্ ছিলেন । একই ভাবে বি এন পি তে ছিলেন সাইফুর রহমান ,বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী ,ইনারা দুই জনই দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন দলের একনিষ্ঠ কর্মী কিন্তু দল থেকে প্রতিত্তরে পাননি ভালো সম্পর্ক কেননা দলের বিশৃঙ্খলা রোধে ছিলেন এরা সোচ্চার । তোফায়েল আহমেদ , আব্দুল জলিল এনাদেরকে আগেই সরকার থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে যেমনটা করা হয়েছে নাজমুল হুদার সাথেও কেননা তারা তত্তাবধায়কের সময় আন্দোলন থেকে বিরত ছিলেন এবং সংস্কারপন্থী মনভাভ পোষণ করেছিলেন ।

বি চৌধুরী এবং কর্নেল অলি উনারা আগে থেকেই বি এন পির সংস্কার এবং জামাতের সাথে আতাতের কারণে দল ছেড়েছেন । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে একটা ব্যাপার লক্ষনিত এদের সবার কথায় প্রায় একই যে রাজনৈতিক দলগুলু তাদের লক্ষ্য ও ধর্ম থেকে বিচ্চ্যুত দেশ গড়ার যেই লক্ষ্য নিয়ে মুজিব ও জিয়া তৈরী করেছিলেন এই দল্গুলু সেগুলু আর সেই লক্ষে নেই বরং তাদের দেশের মানুষদের লুটেপুটে খাচ্ছে এরা । আজকে এই দল্গুলুর ভিতর গণতন্ত্রের অনেক অভাব সাথে সাথে এরা কখনো জোট করে রাষ্ট্র বিরোধী রাজাকারদের সাথে কিংবা কখনো জোট করে গণতন্ত্রের হত্যাকারী সৈরাচারির সাথে । এক মুজিব সেনা কিংবা জিয়ার সৈনিক এটা কিভাবে সয্য করে বলুনতো ? ওই নেতারা দেখেছেন যে সেই মহান নেতারা কখনই প্রয়োজনের জন্য অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি । সেই সময় তারা রাজনীতি করতেন মানুষের মুক্তির জন্ ।

আর এখনকার নেতারা রাজনীতি করেন নিজেদের মুক্তির জন্য এখন রাজনীতি হয়ে গেছে ব্যবসা যা খুবই লাভজনক তার সাথে যোগ হয়েছে ক্ষমতার অন্ধ লোভ । একের পর এক যে আমরা পদত্যাগ দেখতে পাই প্রবীন নেতাদের তা আমাদের রাজনীতির জন্য সুখকর নয় আমাদের তাদেরকে প্রয়োজন । এভাবে যদি তারা পদত্যাগ করতে থাকেন দলছুট হতে থাকেন হতে থাকেন তাহলে দল হারাবে মেধা এবং ঐখানে জায়গা করে নিবে অদক্ষজনেরা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।