আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল দেশ এবং ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল চিন্তাভাবনার ভবিষ্যৎ-টা কি? একটু চিন্তা করে দেখেছেন কি?

জনতার মুখ চেপে ধরতে নেই,তাহলে পরিনতি হয় ভয়ঙ্কর ! ডিজিটাল দেশ এবং ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল চিন্তাভাবনার ভবিষ্যৎ-টা কি? একটু চিন্তা করে দেখেছেন কি? একটু সময় নিয়ে পড়ুন, নিজের বিবেক-কে প্রশ্ন করুন। >>>>>>> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নীলক্ষেতের পাশে নীলক্ষেত হাই স্কুলে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে পর্নোভিডিও পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এ সপ্তাহের প্রথমদিকে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিষয়টি শিক্ষকের নজরে এলে তিনি এগিয়ে যান শিক্ষার্থীদের কাছে। গিয়ে দেখেন তারা মোবাইলে পর্নোভিডিও দেখছে।

তারা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিষয়টি জানানো হয় অধ্যক্ষকে। কৌশলে অনেকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৫৬ জন শিক্ষার্থীর মোবাইলে পাওয়া যায় পর্নোভিডিও। একই ঘটনা ঘটেছে নীলক্ষেত হাইস্কুলে।

সেখানে ৭০ জন শিক্ষার্থীর মোবাইলে পর্ণোভিডিও পাওয়া যায় (পর্ণোভিডিও পাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মেয়ে)। ওইসব শিক্ষার্থীর মোবাইল আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। আর এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ২৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আবার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, একজন শিক্ষার্থী বহিষ্কারের করা হয়েছে। ভিসি অধ্যাপক ড. আমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘কি হয়েছে আমি জানি না।

প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলি। ” আর সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। পর্ণো ছবির বিক্রেতা হিসেবে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে শিশুরা। বড় একটি চক্র শিশুদের এ কাজে ব্যবহার করছে। এ চক্রটি পুলিশের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনে বাধাহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পর্নো ছবি বিক্রি।

স্কুল ফাঁকি কিংবা প্রাইভেট পড়ার নামে সাইবার ক্যাফে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর্ণো ছবি দেখা বছর পাঁচেক আগে থেকেই রপ্ত করেছে শিশুরা। এবার কোমলমতি শিশুদের একটা অংশ রাজধানীতে পর্নো সিডির ব্যবসা করছে। ব্যাপারটা আমাদের জন্য মোটেই ভাল নয়। বাচ্চাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করাটা কোন সমাধান নয় বরং এদেরকে হেয় করে হতাশার মধ্যে ফেলে আরও বেশি বিপথগামী করে দেওয়া হল। এরচেয়ে শিক্ষকরা এদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এই বাচ্চাগুলোর নৈতিকতার একটু উন্মেষ ঘটানোর চেষ্টা করলে ভালো করতেন।

এটা কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও বাহিনীগুলোর দোষ। শিক্ষামন্ত্রনালয়কে বোধহয় এর সাথে জড়ানো ঠিক হবে না। তবে একটা এ্যাকশন কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নেওয়া উচিত ঐ স্কুলের হেড মাস্টার আর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। উনারা ছাত্রদের কি শিক্ষা দিচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। আর ঐ স্কুলের ধরাপরা শিক্ষার্থীদের আচ্ছা করে পেদানী আর সেই সাথে তাদের মা-বাবাদের লিগ্যাল নোটিশ দিলেই চলবে।

দেখবেন, পুরা বাংলাদেশের স্কুল-কলেজগুলোর তেড়া-বেয়ারা বদমাশ ছেলে-পেলেগুলো একদম আলিফ হয়ে গেছে। ইংল্যান্ড-এ কয়েক মাস আগে রায়ট হয়েছিলো। আর এর মূলে ছিলো এখানকার ইয়াং পোলাপান। এখানকার সরকার করলো কি, সিসি ক্যামেরাগুলো্তে যেসব অরাজকতা সৃষ্টিকারী ছেলে-পেলেদের ছবি উঠেছিলো, তাদের মা-বাবাদের পেনশন আর সরকারী সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিলো। ব্যস! আর কিছু লাগেনি।

সব একদম সোজা!!! তবে আমরা এটা ভুলে যাই যে, সন্তানদের সবচেয়ে কাছের মানুষ হল বাবা-মা। বাবা-মা'ই যদি তার বাচ্চাদের ঠিক করতে না পারে, তবে শিক্ষক কিভাবে এতজন শিক্ষার্থীর খেয়াল রাখবে। একটু চিন্তা করে দেখুন, একটি পরিবারে সর্বোচ্চ কতজন সন্তান থাকতে পারে? মেনে নিলাম ৪জন। তাহলে পরিবারের সদস্য সংখ্যা হল ৬ জন। তার মানে ১জন সন্তানের দেখাশুনা করার জন্য আছে ৫ জন।

ছোট হলে যে বড়দের খেয়াল রাখতে পারবে না, এমন তো কথা না। ছোটরা হয়তো বড়দের কিছু বলতে পারবে না, কিন্তু বাবা-মা'কে তো জানাতে পারবে। তাহলে কিভাবে একজন মানুষ সহজে'ই খারাপ হবে? এতজন মানুষের চোখ ফাকি দেওয়া কিন্তু খুব কঠিন। বাবা-মা'কে বলব, আপনার সন্তান কি করছে একটু খেয়াল রাখুন। নিশ্চই আপনি চাবেন না, আপনার সন্তান কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হোক।

যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানের দূর-অবস্থা জানার পরও তাদের প্রশ্রয় দেন, তাদের বেপারে আমার কিছুই বলার নেই। আপনার সন্তানের বিপথে যাওয়ার প্রধান কারন আপনার বাসার টেলিভিশন। আপনি মানবেন আর না মানবেন, আমি এটাই বলব। আমার সাথে অনেকেই দ্বিমত প্রকাশ করবেন। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।

একটা উদাহরন দেই, তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার বাসায় যদি ডিস এ্যান্টেনার লাইন থাকে, তবে অবশ্যই ইটিভি বাংলা, জি বাংলা, স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও আরও অন্যান্য চ্যানেল আছে। এসব চ্যানেল গুলোতে যেসব নাটক গুলো দেখানো হয়, প্রায় সবগুলো নাটকেই দেখবেন, ছেলেরা বা মেয়েরা অন্য কোন মেয়ে বা ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক বা পরকিয়ায় লিপ্ত আছে। আবার এখানকার পোষাক, চলাফেরা মোটেই আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় না (সবগুলো একরকম না)। এসব নাটক গুলোর দর্শক কিন্তু আমাদের দেশের মা, মেয়ে ও বৌ'রা।

তাহলে তারা এসব নাটক দেখে কি শিখছে? একটু বলবেন কি? আপুদের কাছে বলছি, কিছু মনে করবেন না, আপনারা এসব নাটক দেখে কি পান? একটু বলবেন প্লিজ? এখানের অনেক পোস্ট মেয়েদের নিয়ে। তাদের কোন প্রকার হেয় করার জন্য পোস্ট গুলো করা হয় না। শুধুমাত্র তাদের সতর্ক করার জন্য। বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে খারাপ দিক গুলো বর্জন করে যদি ভাল দিক গুলো গ্রহন করি, তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না। কিন্তু আমরা এটা না করে তার উল্টো-টা করি।

যত খারাপ দিক গুলো গ্রহন করছি। বর্তমানে পরকিয়া, অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের জন্য দায়ী কি? এসব চ্যানেলের হাতে গোনা কয়েকটি অনুষ্ঠান। নিজের বিবেক-কে প্রশ্ন করুন। তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। সুপ্রিয় পাঠক, আপনার মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি।

-- সংগৃহীত  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.