আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়াবার ভয়াবহতায় হারিয়ে যাচ্ছি আমরা ! কবে নজর দেব ? সব শেষ হয়ে গেলে ?

টিনএজ ছেলেমেয়ে এখন ইয়াবা আগ্রাসনের শিকার। জানা যায় ডাক্তার, প্রকৌশলী তরুণ ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের কাছেও ইয়াবা ভীষণ প্রিয়। এই উত্তেজক দ্রব্য শরীরে আনে পরিবর্তন, মন করে অস্থির, যার ফলে সামাজিক অবক্ষয় প্রকট আকার ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী ঢাকার প্রতি ওয়ার্ডে ২০০'র বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন নাকি ইয়াবার চাহিদা ১৪ লাখ।

ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। ইয়াবার প্রচ- উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন-উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে সিস্নম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন। কিন্তু এই সব সাময়িক - আর এক ক্ষতি এক সময় ফুসফুস, কিডনি বিকল হতে হতে শরীর অকার্যকর হয়ে ধাবিত হয় মৃত্যুর দিকে।

ইয়াবা থাই শব্দ; অর্থ পাগলা ওষুধ। অনেকে একে বলে 'ক্রেজি মেডিসিন'। অনেকের কাছে তা নাজি স্পিড বা শুধু স্পিড। ১৯৭০ এ থাইল্যান্ডে ইয়াবা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো, কিন্তু দেখা গেল এটা বিরাট ভুল । '৯০-এর দশকের শেষ দিকে থাইল্যান্ডের তরুণ-তরুণীদের কাছে ইয়াবা সিগারেট বা চুইংগামের মতো সস্তা ছিল।

থাই সরকার ইয়াবাকে দেশটির উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে । ঢাকায় তিন ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়। প্রথম ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের বেশির ভাগ সবুজ বা গোলাপি রঙের হয়। এর গন্ধ অনেকটা বিস্কুটের মতো হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে কম।

কিন্তু এটিও নেশাসৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তৃতীয় ধরনের ট্যাবলেটি আরও সস্তা এবং নেশায় আসক্তদের নিকট এটি ভেজাল বলে পরিচিত। উচ্চমানের ইয়াবাকে 'পিল' ও নিম্নমানের ইয়াবাকে 'চিতা' বলা হয়। মরণের কাছে যেতে এই যেন এক অভিলাস যা শুরু হয় ক্ষনিকের অন্ধের নীল হাতছানিতে , আর শেষ হয় করুন ভাবে । একবার ইয়াবা নেয়ার কয়েক ঘণ্টা বা নির্দিষ্ট সময় পর আবার না নিলে শরীরে ও মনে নানা উপসর্গ দেখা দেয়, ফলে বাধ্য হয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা আবার ফিরে যায় নেশার জগতে।

রাত কাটে নির্ঘুম, ইয়াবা প্রতিক্রিয়ায় টানা ৭ থেকে ১০ দিনও জেগে থাকতে বাধ্য হয় অনেকে। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে, মেজাজ হয় খিটখিটে, গলা-মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে অনবরত। প্রচ- ঘাম আর গরমের অসহ্য অনুভূতি বাড়তে থাকে। বাড়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা আর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি। দীর্ঘদিনের আসক্ত ব্যক্তিরা উচ্চরক্তচাপের রোগীই হয়ে পড়ে।

মস্তিষ্কের ভেতরকার ছোট রক্তনালিগুলো ক্ষয় হতে থাকে এগুলো ছিঁড়ে অনেকের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানসিক নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়, এমন কি বদ্ধ পাগল হয়ে যায়। পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বা পিছিয়ে পড়তে থাকায় আসক্ত ব্যক্তিরা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।

দৃষ্টিবিভ্রম, সামাজিক রুচিশীলতা হারিয়ে ফেলে , শ্রুতিবিভ্রম আর অস্বাভাবিক সন্দেহ প্রভৃতি উপসর্গ থেকে একসময় সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল মানসিক ব্যাধিও দেখা দেয়। আর যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেহে ইয়াবা প্রবেশ করায়, তারা হেপাটাইটিস বি,সি ও এইডসের মতো মারাত্মক রক্তবাহিত রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয় । বেশি পরিমাণে নেয়া ইয়াবা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে । ইয়াবা শুধু শরীরের ক্ষতি সাধন করেই ক্ষান্ত হয় না। চড়া দামে নিয়মিত কেনার টাকা না পেয়ে ইয়াবাসেবীরা খুন-অপহরণ, হত্যা, ছিনতাই, ধর্ষণ, গুম, চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, পরিবাবের সব কিছু শেষ করে ফেলে ।

ফলে পারিবারিক শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। ইয়াবা গ্রহণের কারণে অনেক নারীর সংসার ভেঙে গেছে, অনেকে এখন রাস্তার যাযাবর । অনেকে সুন্দর জীবন ছেড়ে নীল জগৎ বেছে নিয়েছে। পড়ালেখা ছেড়ে জড়িয়ে পড়েছে অপরাধে। তাদের কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনেক মেধা আর সাজানো স্বপ্ন -- টিনএজ ছেলেমেয়ে এখন ইয়াবা আগ্রাসনের শিকার।

জানা যায় ডাক্তার, প্রকৌশলী তরুণ ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের কাছেও ইয়াবা ভীষণ প্রিয়। এই উত্তেজক দ্রব্য শরীরে আনে পরিবর্তন, মন করে অস্থির, যার ফলে সামাজিক অবক্ষয় প্রকট আকার ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী ঢাকার প্রতি ওয়ার্ডে ২০০'র বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন নাকি ইয়াবার চাহিদা ১৪ লাখ। ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা।

তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। ইয়াবার প্রচ- উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন-উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে সিস্নম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন। কিন্তু এই সব সাময়িক - আর এক ক্ষতি এক সময় ফুসফুস, কিডনি বিকল হতে হতে শরীর অকার্যকর হয়ে ধাবিত হয় মৃত্যুর দিকে। ইয়াবা থাই শব্দ; অর্থ পাগলা ওষুধ।

অনেকে একে বলে 'ক্রেজি মেডিসিন'। অনেকের কাছে তা নাজি স্পিড বা শুধু স্পিড। ১৯৭০ এ থাইল্যান্ডে ইয়াবা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো, কিন্তু দেখা গেল এটা বিরাট ভুল । '৯০-এর দশকের শেষ দিকে থাইল্যান্ডের তরুণ-তরুণীদের কাছে ইয়াবা সিগারেট বা চুইংগামের মতো সস্তা ছিল। থাই সরকার ইয়াবাকে দেশটির উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ।

ঢাকায় তিন ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়। প্রথম ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের বেশির ভাগ সবুজ বা গোলাপি রঙের হয়। এর গন্ধ অনেকটা বিস্কুটের মতো হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু এটিও নেশাসৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

তৃতীয় ধরনের ট্যাবলেটি আরও সস্তা এবং নেশায় আসক্তদের নিকট এটি ভেজাল বলে পরিচিত। উচ্চমানের ইয়াবাকে 'পিল' ও নিম্নমানের ইয়াবাকে 'চিতা' বলা হয়। মরণের কাছে যেতে এই যেন এক অভিলাস যা শুরু হয় ক্ষনিকের অন্ধের নীল হাতছানিতে , আর শেষ হয় করুন ভাবে । একবার ইয়াবা নেয়ার কয়েক ঘণ্টা বা নির্দিষ্ট সময় পর আবার না নিলে শরীরে ও মনে নানা উপসর্গ দেখা দেয়, ফলে বাধ্য হয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা আবার ফিরে যায় নেশার জগতে। রাত কাটে নির্ঘুম, ইয়াবা প্রতিক্রিয়ায় টানা ৭ থেকে ১০ দিনও জেগে থাকতে বাধ্য হয় অনেকে।

শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে, মেজাজ হয় খিটখিটে, গলা-মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে অনবরত। প্রচ- ঘাম আর গরমের অসহ্য অনুভূতি বাড়তে থাকে। বাড়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা আর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি। দীর্ঘদিনের আসক্ত ব্যক্তিরা উচ্চরক্তচাপের রোগীই হয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের ভেতরকার ছোট রক্তনালিগুলো ক্ষয় হতে থাকে এগুলো ছিঁড়ে অনেকের রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানসিক নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়, এমন কি বদ্ধ পাগল হয়ে যায়। পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বা পিছিয়ে পড়তে থাকায় আসক্ত ব্যক্তিরা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। দৃষ্টিবিভ্রম, সামাজিক রুচিশীলতা হারিয়ে ফেলে , শ্রুতিবিভ্রম আর অস্বাভাবিক সন্দেহ প্রভৃতি উপসর্গ থেকে একসময় সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল মানসিক ব্যাধিও দেখা দেয়।

আর যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেহে ইয়াবা প্রবেশ করায়, তারা হেপাটাইটিস বি,সি ও এইডসের মতো মারাত্মক রক্তবাহিত রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয় । বেশি পরিমাণে নেয়া ইয়াবা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে । ইয়াবা শুধু শরীরের ক্ষতি সাধন করেই ক্ষান্ত হয় না। চড়া দামে নিয়মিত কেনার টাকা না পেয়ে ইয়াবাসেবীরা খুন-অপহরণ, হত্যা, ছিনতাই, ধর্ষণ, গুম, চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, পরিবাবের সব কিছু শেষ করে ফেলে । ফলে পারিবারিক শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়।

ইয়াবা গ্রহণের কারণে অনেক নারীর সংসার ভেঙে গেছে, অনেকে এখন রাস্তার যাযাবর । অনেকে সুন্দর জীবন ছেড়ে নীল জগৎ বেছে নিয়েছে। পড়ালেখা ছেড়ে জড়িয়ে পড়েছে অপরাধে। তাদের কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনেক মেধা আর সাজানো স্বপ্ন -- (স্বাম) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।