আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতি কোন দিকে যাচ্ছে ।

্যা হয় কপালে-কি হবে আর ভেবে । নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমূলবাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম আরাজী শিমুল বাড়ী। এখানে একটি ছোট বাজার রয়েছে নাম ডিয়াবাড়ী বাজার । এখানে শিমুলবাড়ী বংঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ নামে একটি কলেজও রয়েছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতীক অবস্হায় এখানে হরতাল পালন করা হচ্ছে ।

দেশ স্বাধীনের পর থেকে এখানে কখনো হরতাল পালন করা হয়েছে কি না তা এখান কার বয়োবৃদ্ধরাও বলতে পারে না । তাই এখান কার মানুষ জন হরতাল সর্ম্পকে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই । এখানকার হরতাল কারী দল হচ্ছে জামাত শিবীর। এরাই এখান কার বি,এন পি এবং হেফাজতে ইসলাম। সাঈদী সাহেবের ফাসির রায় হলো জামাতের দুই দিন এবং বি,এন,পি একদিন সহ মোট তিন দিন হরতাল ।

এরা প্রথম দিন যে ভাবে হরতাল করল তাতে জনমনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে দিল। রাস্তায় আগুন জ্বালালো,রাস্তার গাছ কেটে রাস্তায় বেড়িকেট দিল বাজারের ভিতর কোন মানুষকে পর্যন্ত ঢুকতে দিলো না। লাঠি মিছিল করে তারা বুঝিয়ে দিল আমরা সবাই জঙ্গি! সাবধান। ঐ দিন ওরা ডিয়াবাড়ী বাজার থেকে পাশ্ববর্তি স্বপন বাজার লাঠি মিছিল নিয়ে গেল এবং ফেরার পথে রাস্তার ধারের হিন্দুদের উপর হঠাৎ আত্রমন চালাল মাথা ফাটালো বাড়ীতে আত্রমন করল দোকান ভাংগল এবং ওখান থেকে ফিরে এসে পরের দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করে সবাই চলে গেল। ঘটনা টি প্রথম দিনের বিকালের ঘটনা।

সংখ্যালঘু হিন্দুরা মামলা করলেও পুলিশ কাউকে ধরলো না উপরন্ত শিবীর কর্মিরা কোট থেকে আগাম জামিন নিল এবং বীরদপে তারা হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে আসিতেছে নতুন বর্ষ বৈশাখ । একানকার স্হানিয় একটি কে,জি স্কুলের উদ্দেগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ১লা বৈশাখ পালনের সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখ উদযাপন কমিটি । আলোচনা করে ঠিক করা হলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার হবেন প্রধান অতিথি, এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিষেশ অতিথি । সেই মত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন অতিথি দের মতামত নেওয়া হলো সবাইকে আমন্ত্রন করা হলো ডেকোরেশন কন্ট্রাক করা হল বৈশাখি মেলায় কি কি স্টল থাকবে সেটা ঠিক হলো সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।

এমতঃ অবস্হায় গত কালের হরতালে (১১ই এপ্রিল) পাশ্ববর্তি বাজার কালিগন্জ বঙ্গবন্ধু বাজারে হরতাল সমর্থক ও আওয়ামীলিগ এর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া মারপিট হলো তিন জন সরকার দলিও কর্মি গুরুতর আহত হয়ে এখন তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। এরই রেশ এসে পরল বৈশাখ উৎযাপন কমিটির উপর । কে বা কারা হুমকি দিল ১লা বৈশাখ এখানে হলে সব ভেংঙ্গে দেওয়া হবে এবং আপনাদের উপর আক্রমন হবে। খবরটা আমি শুনার পর চেষ্টা করলাম উদযাপন কমিটির লোকজন কে বুঝার যে ১ লা বৈশাখ কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয় এটা বাংঙ্গালি সংস্কৃতির অংশ ও বাংঙ্গালির ধারক ও বাহক এখানে কোন সমস্যা হবার কথা নয় । অনেক পিড়া পিড়ির পর জানা গেল যে, ১লা বৈশাখ হল হিন্দুদের অনুষ্টান এটা করা না জায়েজ এটা কখনো জামাত এবং শিবীর নেতারা মানবে না ।

আমার মনে পড়ে গেল ফেসবুকের একটি পোষ্ট এর কথা সেখানে বলা ছিলো ১লা বৈশাখ হল হিন্দুয়ানী অনুস্ঠান এটা থেকে বিরত থাকুন এখানে খরচ না করে ঐ টাকা গরিব দের মাঝে দান করুন। ভাই আপনারা বলুন এখন বাংঙ্গালী সংস্কৃতি নিয়েও টানা টানি শুরু হয়েছে । পাঠক আপনারা বলুন দেশ কোন দিকে যাচ্ছে , এখানে আর ১লা বৈশাখ হচ্ছে না সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছে বৈশাখ উদযাপন কমিটি । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.