আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কন্সটেবল ইন এ্যাকশন!

আমার বিদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে। দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত ২ কনস্টেবলকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। গণপিটুনির শিকার আরিফ নামে (নং-১৫৫৭০) এক কনস্টেবল পালিয়ে গেলেও ফখরুল ইসলাম সোহেল নামে (নং-১৫৫৪২) অপর কনস্টেবলকে ছিনতাইকৃত একটি ইজিবাইক ও নগদ ৮ হাজার টাকাসহ পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকের মালিক জুয়েল বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম সোহেল ও আরিফ ইতিপূর্বে ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়। গত ১৫ মে রাত ২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম সোহেল ও আরিফ স্থানীয় সোর্স ধর্মগঞ্জের ফাইজুলের সহায়তায় আলীগঞ্জ এলাকার ইজিবাইক চালক জুয়েলের ৪ মাসের সন্তান সুমাইয়াকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার ইজিবাইক ও ২টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ইজিবাইকটি সোর্স ফাইজুলের বাবা জসিমের কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যায় ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল। এদিকে ইজিবাইকের খবর পেয়ে এর চালক জুয়েল সেটি তার দাবি করে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় গতকাল সকালে একটি সালিশ বসায়।

এক পর্যায়ে সোর্স ফাইজুলের বাবা জসিম দাবি করে সে ইজিবাইকটি ২ জনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে এবং যাদের কাছ থেকে কিনেছে তারা সালিশে উপস্থিত হতে আসছে। পরে দুপুর দেড়টায় একটি মোটরসাইকেল যোগে কনস্টেবল ফখরুল ও আরিফ ধর্মগঞ্জে সালিশে উপস্থিত হয়। ওই সময় এরা সালিশে উপস্থিত ইজিবাইকের চালক জুয়েলকে মারধর শুরু করলে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে এরা দু’জনই পুলিশের এসআই বলে পরিচয় দেয়। ওই সময় তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা স্থানীয়দের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। একই সঙ্গে ইজিবাইক চালকের কাছ থেকে সালিশকারীরা জানতে পারে এই ২ জনই ইজিবাইকের ছিনতাইকারী।

তখন উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের ২ জনকে গণপিটুনি দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কনস্টেবল আরিফ মোটরসাইকেলটি নিয়ে কোন মতে চম্পট দিতে সমর্থ হলেও কনস্টেবল ফখরুলকে আটকে ইজিবাইকসহ পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় সালিশকারীরা। সুত্র: Click This Link একজন কমেন্ট করেছেন : এম. এইচ. রহমতউল্লাহ: ২ লাখ- ৩ লাখ টাকা দিয়ে কনস্টেবলের চাকরি নিতে হলে সেই টাকা উসুল করতে ছিনতাই ছাড়া আর কি উপায় আছে? রিক্রুটমেন্টের সময় টাকা নেয়া বন্ধ করতে পারলে পুলিশে ৮০% দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। - আমিও তার সাথে একমত। তবে আমি মনে করি রিক্রুটমেন্টের সময় টাকা নেয়া বন্ধ করতে পারলে শুধু পুলিশে নয় সমস্ত প্রশাসনে ৮০% দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.