আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদৃস্য শ্রেনীপ্রথার অভিশাপ আজও বিদ্যমান এই বাংলায়

“আমি মুক্ত মতে বিশ্বাসি ” এই উপমহাদেশে একসময় বর্ন প্রথা চালু ছিল। যখন এই উপমহাদেশে বিদেশি বণিক গন ব্যবসা করত তারা তখন এই উপমহাদেশের কালো চামরার মানুষ গুলোকে তুচ্ছ করত। যা এখনো বিদ্যমান। এর পরবর্তীতে হিন্দু সমাজে শ্রেনী প্রথা বর্ণ প্রথার মতই কিছু শ্রেনীর মানুষকে লাঞ্চিত করে এসেছে বার বার। পাদ্রিগন সব সময় উচু জাত আর বাকিরা নিচু , শুদ্র এতই নিচু যে তাদের দেওয়া হত নিকৃষ্ট কাজ গুলো।

মুলকথায় আশি আমি হিন্দু ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি- হিন্দু ধর্মে শ্রেনী প্রথা একটি বড় ধরনের যন্ত্রনা (বর্তমান শিক্ষিত হিন্দু সমাজ হয়ত আমার সাথে একমত হবেন) এখন হয়ত বর্ণ প্রথা অনেকটা উঠে গেছে। আমি এমন ও দেখেছি একজন ব্যাক্তির নামের পিছনে পদবি শীল, বা কর্মকার বা ঘোষ, সে ব্যাক্তি যতই শিক্ষিত হোক না কেন যাত সে দত্ত পরিবারের বিয়ে করতে পারবেনা। উদাহরন দিতে গেলে আমার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে মনে পরে সর্বপ্রথম। এই শ্রেনী প্রথা যে হিন্দু ধর্মে বিদ্যমান তাই নয় তা মুসলিম ধর্মেও আছে। তবে এই প্রথার কথা মুসলিম ধর্মে কোথায় উল্লেখ করা নেই।

মুসলিম ধর্ম অবলম্বি কিছু মানুষ তাদের সুবির্ধার্থে এই প্রথা চালু করে রেখেছেন। ধরুন আপনি একজন ইঞ্জিনিয়ার বা একজন ব্যবসায়ি বা একজন সরকারি চাকুরিজীবি। কিছু শ্রেনীর মানুষ আপনাকে এই পরিচয়ে পরিচিত হতে দেবেনা। কেন ? তার কারন তার যানতে চাইবে আপনার পরিবার কি ছিল। হতে পারে আপনার বাবা একজন মুদিমালের ব্যবসায়ি ছিল।

হতে পারে একজন রিক্সা চালক ছিল। এমন ও হতে পারে আপনার বাবা খুনি ছিল। তাই বলে কি আপনি সেই অপরাধের অপরাধি। আর তাছাড়া আপনি তো জানতেন না আপানি যে পরিবারে জন্ম নিচ্ছেন সে পরিবার সমাজের চোখে বৃত্তমান নাকি নিম্ন শ্রেনী। আমি কি বা আমার অবস্থান কি এটাইকি যথেষ্ঠ নয় ? আমার লেখায় যদি কোন জাতি কোন গোষ্টি বা কোন ব্যক্তি কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি আন্তরিক ভাবে দুক্ষিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.