আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো ইউল্যাব ছাত্রদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন: প্রতিবাদকারীকে মারধর!!

" কেউ তোমার দিকে পাথর ছুড়ে মারলে , তুমি তার দিকে ফুল ছুড়ে মারো...তবে ফুলের সাথে সাথে ফুলের টবটাও ছুড়ে মারতে যেন ভুল না হয় " আবারো ইউল্যাব ছাত্রদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন: প্রতিবাদকারীকে মারধর!! ঘটনা-০৩.... >>> ইউল্যাব (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস) এর একদল ছাত্র ১০মে ২০১২ তারিখ রাতে ইউল্যাব-এর পাশে ধানমন্ডী ৫/এ রোডে একজন মহিলাকে যৌন নিপীড়ন করেছ । পাশেই পুলিশের চেকপোষ্ট । তারা এগিয়ে আসেনি । হয়তো তারা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল । দেখতে পায়নি ।

তবে আশেপাশের দোকানদার ও ছাত্র শিক্ষকদের গাড়ি চালকগণ দেখেছে । কিন্তু তারা কোন প্রতিবাদ করেনি । একজন সদাশয় ব্যক্তি এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন । আর সঙ্গে সঙ্গে ঐ ছাত্ররা তাকে ইউল্যাবের দিকে টেনে নিয়ে বেদম মার দিয়েছে । পরবর্তিতে বিভিন্নজনের জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষদর্শী আশেপাশের দোকানদার ও উপস্থিত গাড়ি চালকগণ বয়ান দিয়েছে যে, রাস্তাঘাটে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে, তিনি কেন প্রতিবাদ করতে গেলেন? এতে বুঝা যায় যে, তারাও যৌন নিপীড়নকারী ।

অপরাধী ছাত্রদের সাথে তারাও অপরাধী এবং তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ । ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ খবরের কাগজকে জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত ছাত্ররা ইউল্যাবের ছাত্র কিনা সে বিষয়ে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি । তাদের এ বক্তব্য ঠিক নয় । প্রত্যক্ষদর্শী আশেপাশের দোকানদার ও উপস্থিত গাড়ি চালকগণকে পেদানী দিলেই অভিযুক্ত ছাত্রদের সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব । ঘটনা-০২... >>> একজন শিক্ষক ফেসবুকে জানিয়েছেন যে, ০৫ মে ইউল্যাবের পাশ থেকে ইউল্যাবের ছাত্ররা তার মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে ।

ঘটনা-০১... >>> মাস খানেক আগে শাহবাগ ট্রাফিক আইল্যান্ডের পাশে ফুল দোকানগুলির সামনে একটি লোকাল বাসে ইউল্যাবেরই একদল ছাত্র একটি মেয়েকে যৌন নিপীড়ন করছিল । ঐ বাসটি মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরা বনশ্রী যাতায়ত করে থাকে । ঐদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের একজন ছাত্র বনশ্রী যাওয়ার জন্য শাহবাগ মোড়ে ঐ বাসে ওঠে । ওঠার পর সে দেখলো যে, ইউল্যাবের ছাত্ররা মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করছে । তখন সে বিবেকের তাড়নায় প্রতিবাদ করে ।

সঙ্গে সঙ্গে ঐ ছাত্ররা তাকে নানাভাবে বেদম মারপিট করে । তার মাথায়, বুকে, পিঠে, পেটে মারাত্মক আঘাত করে, মাথা থেতলে দেয় । তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে থাকে । তারপর আধ মরা অবস্থায় বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় । বাসটি চলে যায় ।

একজন ফুল দোকানী তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । ৩/৪দিন সে সিসিইউতে অজ্ঞান ছিল । বাঁচার কথা ছিল না । তার একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায় । যাহোক আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, তাদের ছাত্ররাই এ কাজ করেছে । তারা ঐ সব ছাত্রের নামধাম গোপন রেখে বলেছিল যে, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং চিকিৎসা খরচ বহন করবে । কিন্তু তারা কিছুই করেনি । তারাই ঐ সব অপরাধী ছাত্রদেরকে লালন পালন করছে । ইউল্যাব একটি থার্ড ক্লাস বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ।

সরকারী বা ভাল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে এখানে কিছু সংখ্যক মধ্যমানের ছাত্র ভর্তি হয় । বাকী যারা ভর্তি হয় তারা সবাই পঁচা গান্ধা নষ্ট মেধাহীন । টাকার জোরে ভর্তি হয়, টাকার জোরে সনদ কেনে । নষ্ট অভিভাবকদের নষ্ট ছেলেরাই দিনের পর দিন নষ্টামি করে যাচ্ছে এবং ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা দিচ্ছে, আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে । তারা জানে কারা এ সব করছে ।

কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না । বিবেকবানদের নিকট আহবান জানাই, দয়া করে আসুন, সোচ্চার হই, প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেই । তাদের গ্রাস থেকে মা বোন বউ ছেলেমেয়েদের রক্ষা করি । সূত্রঃ "অপ্রকাশিত সত্য"  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।