আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক স্ত্রী‘র দুই স্বামী!!!! বরগুনা সরকারী কলেজ ছাত্রী লিন্থা এখন কার বউ ?

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) মাজারে ৩ দিনব্যাপী ওরশ মোবারক আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নেরর কাঠালতলী গ্রামের নিয়াজ মোর্শেদ অপু মোল্লা ও তার পরিবার মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রেম ও বিয়ে জনিত ঘটনা নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা উত্পত্তি। বরগুনা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) এর অস্থায়ী কার্যালয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অপু মোল্লা ও তার বাবা মোঃ নুরুজ্জামান বাবুল মোল্লা এ অভিযোগ করেছেন। এবং বলেন যে মামলা চলাকালীন আদালতের নির্দেশ ছাড়া বাদশা মিয়া তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আইনের প্রতি অসম্মান করেছেন ।

তাই আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে বাদশা মিয়ার মেয়ের বিবাহ দেয়ার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অপু তার পরিবারের অভিযোগ, বরগুনা কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বাবুল মিয়ার বাদশা (ঠিকাদার) এর মেয়ে সানজিদা আরেফিন লিনথার সাথে অপুর প্রেমের সম্পর্ক হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে না নেয়ায় গত ৭এপ্রীল এইচএসসি পরীক্ষার হল থেকে লিনথা অপুকে নিয়ে পালিয়ে যশোরে চলে যায়। সেখানে তারা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দেন মোহেরের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে তারা খুলনার ফুলতলায় নিকাহ রেজিস্টার কার্যালয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে।

এদিকে লিনথিয়া নিরুদ্দেশ হওয়ার পর তার বাবা বাবুল মিয়া (বাদশা) বরগুনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপু ,তার বাবা বাবুল মোল্লা, মা খাদিজা আক্তার ছবি ও মোঃ তাজকে আসামী করা হয়েছে মামলা করেন। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসিত হওয়ার শর্তে বরগুনা ফিরে আসে। এ নিয়ে উভয়পক্ষ সালিশ মিমাংসার জন্য বসলে অপুর বাবা নুরুজ্জামান বাবুল মোল্লা সালিশগনের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হওয়ার শর্তে লিনথাকে তার বাবা বাদশা ঠিকাদারের কাছে ফেরত্ দেন। লিনথার বাবা সালিশগনের কাছে মামলাটি তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য থানায় আবেদন করেছিলেন।

এ ঘটনার পর লিনথিয়ার বাবা মেয়েকে অপুর কাছে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মামলা প্রত্যাহার না করে উল্টো অপহরনের অভিযোগ আনেন। টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেন বাদশা মিয়া। সানজিদা আরিফিন (লিনথা) প্রথম শ্রেনীর বিচারকের কাছে তাকে কেউ অপহরণ করেনি, সে সেচ্ছায় অপুর সাথে চলে যায় মর্মে জবানবন্দি দেয়। এরপর বাবুল মিয়া মেয়েসহ পরিবারকে নিয়ে ঢাকা চলে যান। সংবাদ সম্মেলনে অপুর বাবা বাবুল মোল্লা আরও জানান, এর আগেও লিনথা দুইবার অপুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর লিনথার বাবা-মা লিনথাকে প্রায় তিনমাস তালাবদ্ধ করে রাখে। মামলার তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক বনি আমিন, তদন্ত প্রতিবেদনে অপু মোল্লা ও লিনথিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করলেও মামলার আসামী অপুর বিরুদ্ধে চার্জ শীট দেন। এ ব্যাপারে এসআই বনি আমিন জানান, মামলায় বয়স কম হওয়ায় লিনথিয়ার আদালতে দেয়া জবানবন্দি গ্রহনযোগ্য নয়। তাই আসামী অপুর বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে মামলাটি বরগুনা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বিচারাধীন। অপু তার বাবার দাবী, অপুর বিরুদ্ধে অপহরনের অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা। লিনথিয়াই অপুকে বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল। বিষয়টি গন্যমান্যদের মাধ্যমে মিমাংসা হলেও লিনথিয়ার বাবা হয়রানী করার অসত্ উদ্দেশ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করেননি। এদিকে আদালতে পর পর একটি দেওয়ানি মোর্কাদ্দমা ও একটি নারী শিশু মামলা বিচারাধিন অবস্থায় রহিয়াছে ।

মামলা চলাকালীন লিন্থাকে আদালত তার বাবার জিম্বায় রাখেন,কিন্তু অদালত বিবাহের অনুমতি দেয়নি এবং বিবাহের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়াও হয়নি। তথাপি বাদশা মিয়া আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে লিন্থাকে বিবাহ দিলেন এক পর্যায়ে যোর পূর্বোক একথা জানান তার প্রথম পক্ষের স্বামী অপু মোল্লা আরো জানায়,বর্তমানে মনিরুল ইসলাম নামের বরিশালের এক সরকারী চাকুরীজীবী‘র ঘড় করছে লিন্থা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।