আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলিয়াসের ফোন থেকে কল! ফোন পেয়েছেন বিশ্বনাথের যুবদল নেতা

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফের মোবাইল ফোনে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে ফোন এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে লতিফের মোবাইল ফোনে কল আসে। লতিফ ওই সময় অন্য একটি নম্বরে কথা বলায়, ইলিয়াসের মোবাইল ফোন থেকে আসা ফোন কলটি ধরতে পারেননি। এতে লতিফের মোবাইলে মিসডকল লেখা ওঠে। লতিফ মিসড কলের নম্বরটিতে ফোন দেন।

কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নম্বরটি ইলিয়াস আলীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আব্দুল লতিফের সঙ্গে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস কথা বলেছেন। আবরার ইলিয়াসের বরাত দিয়ে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই আশকির আলী আরও জানান, ০১৭৩২২৯৩৭৪৪ নম্বরটি তার নিখোঁজ বড় ভাই ইলিয়াস আলীর। এই নম্বরটি থেকেই আব্দুল লতিফের মোবাইল ফোনে ফোনটি আসে।

র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আলহাজ এম সোহায়েল বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়নি। তাঁর ফোন থেকে কোন ফোন হয়নি। বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে কেউ এমন গুজব ছড়াতে পারে। এমন গুজব ছড়ানোর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা যে গুজব তা উনি জানলেন কি করে ? মোবাইলের কল লিষ্ট গ্রামীন থেকে চেক করছে কি সরকার ? এতো সর্ষের মধ্যে ভূত মনে হচ্ছে ।

র‍্যাবের মিডীয়া উয়িং এর আলহাজ সাহেব কে ভালমত জিজ্ঞাসাবাদ করাদরকার মনে করি । পূরো নিউজটা হলঃ ইলিয়াসের ফোন থেকে কল! ফোন পেয়েছেন বিশ্বনাথের যুবদল নেতা গাফফার খান চৌধুরী ॥ নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এম ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে ফোন আসার খবরে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে কোন ফোন হয়নি বলে দাবি করেছে র‌্যাব। তবে ঘটনার ২৩ দিন পরেও হদিস মেলেনি ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীর।

নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই আশকির আলী জনকণ্ঠকে বলেন, শুনেছি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফের মোবাইল ফোনে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে ফোন এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে লতিফের মোবাইল ফোনে কল আসে। লতিফ ওই সময় অন্য একটি নম্বরে কথা বলায়, ইলিয়াসের মোবাইল ফোন থেকে আসা ফোন কলটি ধরতে পারেননি। এতে লতিফের মোবাইলে মিসডকল লেখা ওঠে। লতিফ মিসড কলের নম্বরটিতে ফোন দেন।

কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। নম্বরটি ইলিয়াস আলীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আব্দুল লতিফের সঙ্গে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস কথা বলেছেন। আবরার ইলিয়াসের বরাত দিয়ে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই আশকির আলী আরও জানান, ০১৭৩২২৯৩৭৪৪ নম্বরটি তার নিখোঁজ বড় ভাই ইলিয়াস আলীর। এই নম্বরটি থেকেই আব্দুল লতিফের মোবাইল ফোনে ফোনটি আসে।

তবে পুরো বিষয়টি বিস্ময়কর। তারপরও আমরা আশাবাদী। নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর ছোট ছেলে লাবিব সারার ইলিয়াস জনকণ্ঠকে জানান, আব্দুল লতিফের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এমন ঘটনাই আমাকে বর্ণনা করেছেন। এমন ঘটনা শোনার পর থেকেই আমরা সবাই আব্বুর মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

কিন্তু মোবাইল নম্বরটি বন্ধ। লাবিব সারার ইলিয়াস সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দিনের বরাত দিয়েও এমন কথা জানান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ইলিয়াসের মোবাইল নম্বরটি সচল ছিল। কয়েকবার রিং হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি আব্দুল লতিফ ও শামসুদ্দিন।

তারা দুজনই পলাতক। এদিকে আব্দুল লতিফের সঙ্গে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। আব্দুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আলহাজ এম সোহায়েল জনকণ্ঠকে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়নি। তাঁর ফোন থেকে কোন ফোন হয়নি।

বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে কেউ এমন গুজব ছড়াতে পারে। এমন গুজব ছড়ানোর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ১৭ এপ্রিল চালক আনসার আলীসহ ইলিয়াস আলী রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালীর আমতলীর কাছে ২/১ নম্বর বনানী সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের কাছ থেকে নিখোঁজ হন। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইলিয়াস আলীর ব্যবহার করা তাঁর স্ত্রীর প্রাইভেটাকারটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই ইলিয়াস আলীকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে র‌্যাব জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনকে পাঠানো ব্রিটিশ সাংসদ রিচার্ড ফুলারের ইমেল বার্তায়ও বলা হয়, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে র‌্যাব জড়িত থাকতে পারে। যদিও র‌্যাব এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামে। আন্দোলনে ৩ জনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

দুই দফায় সারাদেশে ৫ দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গত ২ মে বুধবার ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে ইলিয়াস আলীর পরিবারকে জানান। সর্বশেষ বুধবার বনানীর সিলেট হাউসে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ ইলিয়াস আলী রাজনীতি করায় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে।

ইলিয়াস আলীকে যারাই নিয়ে থাক তা সরকারের জানা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের এক সপ্তাহ পরেও ইলিয়াস আলী ও তাঁর চালক আলীর অবস্থান জানা না যাওয়ায় দুইটি পরিবারই রীতিমতো হতাশ। তেমন কোন অগ্রগতিও দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতেই নিখোঁজ দুইজনের পরিবারই চরম হতাশ। সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লুনা দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন।

তবে ইলিয়াস আলীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনি কোন দল বা ব্যক্তি বা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করেননি। তাঁরা ইলিয়াস আলীর খোঁজ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। আগামী ১৪ মে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র ইলিয়াস আলীর কারণে সিলেটে স্বাধীনতাবিরোধীরা রীতিমতো কোণঠাসা ছিল। এ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে।

এমন বিরোধের জেরধরে সিলেট বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক দূরত্ব রয়েছে। দিন দিন সেই দূরত্ব আরও বাড়ছিল। ইলিয়াস আলীর কারণে সিলেটকেন্দ্রিক স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের দূরত্ব রয়েছে। এমনকি দিন দিন রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়ছিল। যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সিলেটে সৃষ্ট আন্দোলনেও।

সিলেটে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে ইলিয়াস আলীর বিশেষ ভূমিকা ছিল। আন্দোলনে বিএনপি নিয়মিত অংশ নিলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের অংশ নিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হতো। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল, পূর্বশত্রুতা, হুন্ডি ব্যবসার টাকার ভাগবাটোয়ারা ছাড়াও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্পর্ক জোরদার এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতেও ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করা হতে পারে। স্বাধীনতাবিরোধীদের যোগসাজশেও পরিকল্পিতভাবে চালকসহ ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করা হতে পারে। তবে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.