আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্তঃধর্ম বিবাহ আইন পাস করতে দেয়া হবে না : আলেম সমাজের হুঁশিয়ারি

আন্তঃধর্ম বিবাহ আইন পাস করতে দেয়া হবে না : আলেম সমাজের হুঁশিয়ারি ৩ মে (রেডিও তেহরান) : বাংলাদেশে আন্তঃধর্ম বিবাহ বা ধর্ম পরিবর্তন না করেই যেকোনো দুই ধর্মাবলম্বীর মধ্যে বিয়ে করার আইন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে ছেলে না থাকলে কন্যা সন্তানকে পুরো সম্পদের মালিকানা দিয়ে মুসলিম পারিবারিক আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইন দু'টি পাসের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে দেশের আলেম সমাজ একে ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা-বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তবে সরকার বলছে- প্রস্তাবিত আইনে ইসলামবিরোধী কিছু নেই। গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এ ধরনের আইন করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এ আইন পাস করার আগে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিবাহ আইন সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, "বিশেষ বিবাহ আইনটি ১৮৭২ সালে প্রণীত হয়েছে। এ আইন এখনো বর্তমান আছে। বর্তমান সরকারের সময় এ আইনের কোনো প্রকার সংশোধন হয়নি। আইনটি অপরিবর্তিত অবস্থায় বহাল আছে।

" এতে আরো বলা হয়েছে, "১৮৭২ সালের এ আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি কিংবা অন্য যেকোনো ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে। এজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মান্তরিত হতে হবে না। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। তারা ১৮ বছর বয়সের পর যেকোনো ধর্ম বেছে নিতে পারবে। " সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের আলেম সমাজ বলছে, এটি সরাসরি ইসলামের পরিপন্থী আইন।

ইসলাম ধর্ম মতে, অন্য কোনো ধর্মের কাউকে বিয়ে করা যায় না। তারা বলছেন, এই আইনের ফলে দেশে ধর্ম পরিচয়হীন একটি উচ্ছৃঙ্খল ও অসামাজিক প্রজন্ম গড়ে উঠবে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ঢাকা তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদিন রেডিও তেহরানকে বলেছেন, "সরকার কোরআন বিরোধী এই আইন করার উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশকে একটি নাস্তিক্যবাদী দেশে পরিণত করতে চাচ্ছে। এ আইন পাস করা হলে দেশ থেকে ইসলাম যেমন হারিয়ে যাবে, সেইসঙ্গে নৈতিকতাও বিদায় নেবে। " বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম রেডিও তেহরানকে বলেছেন, "এ ধরনের আইন অন্যান্য ধর্মের মধ্যেও নেই।

এ আইনের ফলে সমাজের সর্বস্তরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। সরকার যদি এ আইন করতে চায় তাহলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। " আলেমরা বলছেন, সরকার বিশেষ বিবাহ আইন করে আগামী প্রজন্মের মুসলিম পরিচয় বিলুপ্তির ষড়যন্ত্র করছে। সব ধর্মের লোকদের জন্য আন্তঃধর্ম বিবাহ চালুর মাধ্যমে দেশে ধর্মহীন প্রজন্ম তৈরির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।

# তেহরান রেডিও/এমএইচডি/এআর/৩.২০ ৩ মে (রেডিও তেহরান) : বাংলাদেশে আন্তঃধর্ম বিবাহ বা ধর্ম পরিবর্তন না করেই যেকোনো দুই ধর্মাবলম্বীর মধ্যে বিয়ে করার আইন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে ছেলে না থাকলে কন্যা সন্তানকে পুরো সম্পদের মালিকানা দিয়ে মুসলিম পারিবারিক আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইন দু'টি পাসের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে দেশের আলেম সমাজ একে ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা-বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তবে সরকার বলছে- প্রস্তাবিত আইনে ইসলামবিরোধী কিছু নেই। গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এ ধরনের আইন করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এ আইন পাস করার আগে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিবাহ আইন সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, "বিশেষ বিবাহ আইনটি ১৮৭২ সালে প্রণীত হয়েছে। এ আইন এখনো বর্তমান আছে। বর্তমান সরকারের সময় এ আইনের কোনো প্রকার সংশোধন হয়নি। আইনটি অপরিবর্তিত অবস্থায় বহাল আছে।

" এতে আরো বলা হয়েছে, "১৮৭২ সালের এ আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি কিংবা অন্য যেকোনো ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে। এজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মান্তরিত হতে হবে না। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। তারা ১৮ বছর বয়সের পর যেকোনো ধর্ম বেছে নিতে পারবে। " সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের আলেম সমাজ বলছে, এটি সরাসরি ইসলামের পরিপন্থী আইন।

ইসলাম ধর্ম মতে, অন্য কোনো ধর্মের কাউকে বিয়ে করা যায় না। তারা বলছেন, এই আইনের ফলে দেশে ধর্ম পরিচয়হীন একটি উচ্ছৃঙ্খল ও অসামাজিক প্রজন্ম গড়ে উঠবে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ঢাকা তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদিন রেডিও তেহরানকে বলেছেন, "সরকার কোরআন বিরোধী এই আইন করার উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশকে একটি নাস্তিক্যবাদী দেশে পরিণত করতে চাচ্ছে। এ আইন পাস করা হলে দেশ থেকে ইসলাম যেমন হারিয়ে যাবে, সেইসঙ্গে নৈতিকতাও বিদায় নেবে। " বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম রেডিও তেহরানকে বলেছেন, "এ ধরনের আইন অন্যান্য ধর্মের মধ্যেও নেই।

এ আইনের ফলে সমাজের সর্বস্তরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। সরকার যদি এ আইন করতে চায় তাহলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। " আলেমরা বলছেন, সরকার বিশেষ বিবাহ আইন করে আগামী প্রজন্মের মুসলিম পরিচয় বিলুপ্তির ষড়যন্ত্র করছে। সব ধর্মের লোকদের জন্য আন্তঃধর্ম বিবাহ চালুর মাধ্যমে দেশে ধর্মহীন প্রজন্ম তৈরির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।

# তেহরান রেডিও/এমএইচডি/এআর/৩.২০ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।