আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুল ধারণা দূর হোক

ভালো। চা বা ফল খাওয়ার পর পানি খাওয়া যাবে না অনেকে বলেন, ‘ফল খেয়ে জল খায়, যম বলে আয় আয়। ’ অনেকে আবার চা খাওয়ার পর পানি খেতে বারণ করেন। এগুলোর কোনটারই ভিত্তি নেই। বরং দাঁত সুস্থ রাখতে হলে যে কোন খাবারের পরই মুখ পরিষ্কার করা উচিত।

তা সম্ভব না হলে কমপক্ষে একটু পানি মুখে নিয়ে কুলকুচি করে গিলে ফেলা যায়। আর মিষ্টি জাতীয় খাবারের পর অবশ্যই পানি দিয়ে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। তা না হলে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারে। ফলে দাঁতের ক্যারিজ দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পুরো দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যাকে অনেকে বলেন পোকায় ধরা।

আমরা যেসব ফল খাই তার অধিকাংশই মিষ্টি, তেমনি চায়ের মধ্যেও থাকে চিনি। কাজেই ফল বা চা খাওয়ার পর পানি না খাওয়ার পক্ষে কোন যুক্তি নেই। বরং পানি খেয়ে দাঁতকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে টক জাতীয় ফল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলে অনেক সময় দাঁত শির শির করতে পারে। আবার বেশ গরম চা খাওয়ার পরপরই ঠাণ্ডা পানি না খেয়ে একটু পর পানি খাওয়া উচিত।

শসা খেলে ওজন কমে প্রচলিত আছে শসা, খিরাই, গাজর খেলে ওজন কমে। অনেকে মনে করেন এগুলো এক ধরনের ওষুধের মতো কাজ করে। তাই ভরপেট খাবার খেয়ে একটু শসা খেয়ে নেন। অনেকে আবার সালাদ তৈরি করে ভাতের সঙ্গে খান এবং মজা পেয়ে ভাতও একটু বেশি খেয়ে নেন। আসলে এসব সবজির মধ্যে বিশেষ কিছু নেই, যা দেহের চর্বি কমাতে পারে।

বরং এগুলো খুব কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। এতে বেশি পরিমাণে পানি থাকে আর থাকে কিছু আঁশ ও খনিজ। কেউ যদি সবজি বেশি খেয়ে ভাত কম খান তবেই তার ওজন কমতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভালো উপায় হল দুপুরে বা রাতে প্রধান খাবারের শুরুতেই কিছু লোক্যালরির খাবার খেয়ে নেয়া। সেটা হতে পারে শসা বা যে কোন সালাদ অথবা শাকসবজি।

এ ধরনের খাবার বেশি খেলে শুধু ওজনই কমবে না, পাওয়া যাবে আঁশ, দরকারি খনিজ এবং এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন। ডায়াবেটিক রোগীদের মাটির নিচের জিনিস খাওয়া নিষেধ যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যেন এই বিষয়টি বেশ মেনে চলেন। কিন্তু মাটির নিচের খাবার বলতে আমরা কী বুঝি? বেশ কিছু সবজি যেমন মুলা, গাজর, শালগম, আলু, কচু ইত্যাদি। ডায়াবেটিক রোগীদের সবজি খেতে নিষেধ নেই। তবে যে সব সবজিতে বেশি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা আছে (যেমন আলু) তা কম খাবেন।

তবে এ ক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে ১০০ গ্রাম ভাতে যে পরিমাণ শর্করা আছে ১০০ গ্রাম আলুতে তার চেয়ে কম শর্করা আছে। তাই ভাত কমিয়ে আলু খেলে অপেক্ষাকৃত কম শর্করা গৃহীত হবে। পাওয়া যাবে পানি এবং খনিজ। ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের ক্ষেত্রে মূল টার্গেটই থাকে সীমিত পরিমাণ শর্করা গ্রহণ। সে ক্ষেত্রে ক্ষুধা নিবারণের জন্য বেশি পরিমাণ সবজি খেতে বলা হয়।

কিন্তু মাটির নিচের সবজি হলে তা খাওয়া যাবে না এমন কথার পক্ষে কোন যুক্তি নেই। বরং মুলা, গাজর ইত্যাদি তো আরও বেশি করে খাওয়া উচিত।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।