আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্প্রতকি প্রচেষ্টা

বিস্ময় মুছে দিও না... গোপন চোরের বড়ো গলা চুরি সবাই করে- কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে। ভেবোনা শুদ্ধ নিজেকে? আয়নায় রাখলে মুখ ধরতে পারবে ঠিক, কোনটা তোমার অসুখ! আহ্ অসুখ কী অসুখ মন তা জানে। হুম, জেনে নিও... শুভ বিদায় গোপন কী আর গোপন আছে? ফাঁস হয়েছে ভুল রহস্য। জনে জনে বলে দেয়া আমার স্বভাব। হোক সিঁদুরের ভুল ব্যবহার অথবা সে গোপন পলক, গুপ্ত শ্বসন, সবই দিলাম প্রকাশ কলায়।

ফায়দা আমার? কার সুবিধা? যারই হোক ভরাডুবি, তাই বলে কি পুষে রাখবো শোকের অসুখ? অতো বোকা আমিতো নই! তুমি নিলে নিতে পারো নীল সমুদ্র। আমার আবার দম্ভ আরো বেশি, এতো কমে পোষাবে না। পোষ মানি না কোনো খাঁচায়, যখন ইচ্ছে পাড়ি দেবো জনস্রোত। ঘরহারা মন সঙ্গি সাথী না চিনেই পার পেতে চাই। এ বড়ো ভুল ভ্রান্তি বলবো কতো? জানি না আর সৌরমন্ত্র, আমি কেবল দিচ্ছি বলে গোপন কথা লোকালয়ে।

এমন হলে পার পাবো না? জানি আমি। তবে আবার কী সুর আছে নিয়ে যাবে অচীন দেশে; অচীন পাখি রোজ ডেকে কয় লোক আড়ালে পালিয়ে বাঁচো। আমি তবু ভেবেই মরি, ভাষা বদলে কথা বলার মাধ্যম যদি বোমা হতো ভালো হতো বেশ। স্বরযন্ত্রের কুশল কর্মে হাজার হাজার বোমারু বিমান পাঠিয়ে দিতাম; চুকে যেতো সব রহস্য। ফাঁস হওয়া সব ভুল-ভ্রান্তি ফিরে পেতো স্বাধীনতা।

গোপন কথা রাখবো বলে গোপন করে মন্ত্র চাইছি। দিলে কী আর? কোথায় দিলে? পাইনি বুঝে। থাক পড়ে থাক গোপন কথা কেউ নিয়ে যাক ভালোবেসে। আর না নিলে? কী আর করা, বলছি বিদায় শুভমিতা, ভালো থেকো! হারের পরে বুঝেছি তো হেরে গেছি, আর কী নেবে? তোমার বুঝি মন ভরে না? ঠিক আছে মন তুলে নিও জমানো শোধ। ঋণের ধনে জুয়া খেলে ফতুর আমি! হারানোর ভয় আর কী পাবো? ঠিক আছে মন ভালো থেকো, জয়ের নেশায় কাটুক তোমার স্বর্ণ সময়।

আমি কেবল বেঁচে থাকি দুঃখের ছলে। যে কোনো দিন পাই যদি ঠিক জয়ের মন্ত্র, তিন টেক্কার রূপের আশীষ, অহংকারকে পরাস্ত করে নেবো চিনে আপনালয়। তা না হলে কথা কিন্তু আগের মতো ঠিকই রইলো, স্বর্গবাসে থাকবে তুমি। আমি অশেষ নরকবাসে জ্বালবো কেবল কষ্টজ্বালা আগুনমন্ত্রে। মন বাসনা আঁকা বাঁকা আলপথ সোজা হচ্ছে না।

তেরে না গেলে ওর কী ক্ষতি বুঝি না কখনো। আমার মনে এই বাসনা, সোজা হলে কমে যেতো কিছুটাদূর। লক্ষ্যে আমার পৌঁছে যেতাম ক্ষাণিক আগে, যেখানে মন চাইছে যেতে সেখানে এক যজ্ঞ আছে। সবাই সাধুর বসন ধারী গাইছে কেবল ভজন গীতি। মুদ্রা অচল দাম কি দেবে? বিজ্ঞাপনের আঁচ পেলেও যাবৎজীবন কারাদণ্ড।

এখানে এক সাধক থাকে, নাম নিয়েছে বাদশাহ ফকির। নিজেকেই বলছে নাকি সয়ং ঈশ্বর। জ্বীণ-ভূত কী জিজ্ঞেস করলে বলে ওসব অশরীরি। আপনার মতো? হেসে বলে, ঠিক বলেছো। সাধক জীবন কেমন লাগে? প্রশ্নে রাগে গুমড়ে ওঠে এক মুহুর্তে।

চাস কীরে বল ও অভাগা? আমি কেবল ভেতর বাহির খেলার মতো দুলতে থাকলাম! ঠিক কী আছে সঙ্গী সাথী আমার পাশে, কার আছে শোক এমনতরো মধু খেয়েও মাধুরীকে যে চেনে না। তা হলে মন পোড়া কপাল মেনে নিয়ে মাথা লুটা আমার পায়ে। ওরে পাগল! এই কি ছিলো তোমার মনে! দাসী করবে আমায় বেঁধে এই অরণ্যে? কী অপরাধ? পোশাক পরেই করছি বুঝি সেই অপরাধ? ভণ্ডামীতে ভাব না মেলে, আমার সাধু মন না বোঝে। তার আছে শোক রাশিরাশি, কেমনে করবে সুচিকিৎসা? সাধু থাকুক সাধুর ভাবে, আমি কেবল বলছি ডেকে, অমাবশ্যা রাত্রি জেগে হালুম হুলুম ভয়ঙ্করী আঁধার চিরে আলো আনি। আলো জ্বালার মন্ত্র শিখি।

সব অপরাধ মাথায় নিয়ে মানব জাতির মুক্তি কিনি। দাম না জেনে ভীষণ বিপাক, এতো চড়া রাখলে মূল্য কেমন করে শোধ দিয়ে যাই। মহামূল্যের কাছে জীবন তুচ্ছ বুঝি? অবুঝ মনে সব মেনে নেই, মুক্তি চাইছি মানব সমাজ। ঈশ্বরতাত্ত্বিক জটিলতার হলো অবসান। ভাবনা ঘোরে যজ্ঞ চিনে অপরাধের চাইছি ক্ষমা।

চোর ধরেছি চোরা বাউল আড়াল করে সুখকোঠরী। মুক্তি আছে চুরিদণ্ডে আমি তবে কেমনে দোষী? চিনি না এর কানাগলি, কেবল ভুলের ফিকির করি ভুলমন্ত্রে। প্রাণের পূজা ব্যর্থ করে, আঁকা বাঁকা আলপথ হলো না তো আজো সোজা। মুখশের আড়ালে ঘাতক হাসে আমি জানি, তুমিই সেই পাষাণ ঘাতক যে পেয়েছো আমার খুনের গুরু দায়িত্ব। যতোই করো ভেলকিবাজী, আমি কী আর চোখ হারিয়ে লুটিয়ে পড়ি।

ধরা খেলে নাকি দিলে, না বুঝলেও তোমায় কিন্তু ঠিক চিনেছি। নদ নদি খাল জলশূন্য এ কী কারণ? কেউ জানে না, এই অরণ্যে একলা বসে বাজায় বাঁশি রাখাল বালক কার এ পূজা। গোপন কথা গোপন যদি রেখেই দিলে তবে আরো জনম কেনো দিলে নাকো? না দিলে সুখ অমরতা পারো তো দিতে সুস্থ বীজের একটি জীবন! আমি কেবল সময় দেহে ...বিষের ফোঁড়া। নষ্ট হাওয়ায় বুকের ভিতর বেহাল দশা। ধন কী আছে? নেই তো ঘরে এমন কিছু, আছে শুধু পেটের জ্বালা, মাথার জ্বালা, মশারী আর মশার জ্বালা।

দ্রুত কোনো গতির সাথে হয় না মিলন। বলে দিলাম সকল কথা আততায়ীর সাক্ষাৎকারে। ঠিক আছে যম যেমন খুশি তেমন সেজো, যতো ইচ্ছে নিতে পারো রঙের মুখশ। সেদিন খুনের সব রহস্য গোপন করলেও পার পাবে না, আমি ঠিকই চিনে নেবো তোমার সরূপ ত্রিশূল হাতে কালো রঙা ঘাতক দেবী। ভালোবাসতে না পারার যন্ত্রণা আছে মুহুর্তেই কেঁপে উঠতে পারে পৃথিবী, হতে পারে সুনামি তাইফুন।

বৃক্ষরা বেড়েই ওঠে, পাখিরা উড়ে বেড়ায় কিংবা শুকিয়ে যাওয়া নদির কখনো হয়না কোনো দুঃখকষ্ট। এই দুর্ভাগ্য মানুষেই আছে বহমান। মানুষই বহন করে যন্ত্রণার এ সতেজ অঙ্কুর। ভাব না জেনেই করিছ আবাদ সুখ-দুঃখের মিথ্যে মোহ। কোথায় আছে মুক্তি নামের গুপ্ত সম্পদ? মায়ার কাছে জীবনমন্ত্র যতোই কুড়াই শান্তি তবু মেলে না তো! শান্তি নামের সেবীকাকে পেয়েছিলেন জীবনানন্দ মৃত্যু পূর্বে, মানবী রূপে, শুনেছি বেশ সেবা-যত্নে দিয়েছিলো শুশ্রূষা বেশ।

লাভ কী হলো শেষাবধি মৃত্যুই সার। অসার সকল পরিকল্পনা এই আসরে। যে নিয়েছে জুয়ায় জয়ের তীব্র মাদক, সেই তো হচ্ছে পুরো ফতুর। তিন টেক্কার ছল চাতুরী বুঝে ওঠা, এ বড়ো দায়! জুয়া খেলার হারের মন্ত্র ভীষণ দামী। কতো নামের মানুষ আছে ভবপুরে, কতো রঙের পোশাক সাজে নিত্য গমন।

কিন্তু ভাবের একটি সূত্রে মিল না হলে, বেড়ে যায় এ জন্ম-অসুখ। ভালোবাসতে না পারার যন্ত্রণাতে যে পুরেছে সেই তো জানে ভালোবাসা কতো দামী! ভীষণ দামী ভালোবাসা দিতে পারলেই চুকে যেতো লেনা-দেনা, এমন ভাবি। অপেক্ষমান কালের সীমা কাটিয়ে দেয়ার আর কী মন্ত্র? কাঁপিয়ে হৃদয় ছন্দ তানে, অনুভূতির তীব্র টানে ভালোবেসেই কাটিয়ে দিতাম পেলে আপন আকাশ-মাটি-ফুল-বৃক্ষ-নদি-পাহাড় ঘোর অরণ্যের একটি জীবন, আহ্ চমৎকার! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।