আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্র্রশ্নঃ রাত জাগার কারনে সূর্য উঠার পর নামায আদায় করলে কবুল হবে কি? অন্যান্য নামায সে সময়মতই আদায় করে। সেগুলোর বিধান কি?

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। প্র্রশ্নঃ রাত জাগার কারনে সূর্য উঠার পর নামায আদায় করলে কবুল হবে কি? অন্যান্য নামায সে সময়মতই আদায় করে। সেগুলোর বিধান কি? উত্তরঃ ইচ্ছাকৃত ভাবে সময় পার করে সূর্য উঠার পর ফজর নামায আদায় করলে তা আদায় হবে না। কেননা রাত না জেগে আগেভাগে নিদ্রা গেলে সময়মত উত্ত নামায আদায় করা তার পে সম্ভব ছিল। সুতারাং বিনা ওযরে সময় অতিবাহিত করে নামায আদায় করলে উত্ত নামায কবুল হবে না।

কেননা নবী (সাঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি এমন আমল করল, যার পে আমাদের কোন নির্দেশ নেই। তবে উহা প্রত্যাখাত। ” আর যে ব্যক্তি বিনা ওযরে সময় অতিবাহিত করে নামায আদায় করে, সে তো এমল আমল করল, যার অনুমতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল দেননি। সুতারাং উহা প্রত্যাখাত। কিন্তু সে বলতে পারে আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম।

আর নবী (সাঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি নামায আদায় করতে ভূলে যায় অথবা নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে, তার কাফফারা হচ্ছে যখনই স্বরণ হবে তখনই সে উহা আদায় করে নিবে। ” আমরা তাকে বলব, যখন তার জন্য সম্ভব ছিল যে, সময়মত ঘুম থেকে জাগার জন্য আগে ভাগে ঘুমিয়ে পড়বে বা এলার্ম ঘড়ি প্রস্তত করবে বা কাউকে অনুরোধ করবে তাকে জাগিয়ে দেয়ার জন্য। তখন এগুলো না করে সময় অতিবাহিত করে ঘুমের অজুহাত খাড়া করা, ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায পরিত্যাগ করারই অন্তভুক্ত বলে গন্য হবে। সুতারাং পরবর্তীতে আদায় করলে উহা আদায় হবে না। আর অন্যান্য নামায সময়মত আদায় করা হলে তা গ্রহনযোগ্য হবে।

================================== প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামায বিলম্বে আদায় করে , এমনকি তার সময় পার হয়ে যায়। তার বিধান কি? উত্তরঃ যারা ফজর নামায বিলম্ব করে আদায় করে এমন কি তার সময় পার হয়ে যায়-যদি বিশ্বাস করে, এরূপ করা বৈধ, তবে তা আল্লাহর সাথে কুফরী হল। কেননা বিনা কারনে নামাযের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করা হালাল বা জায়েয, যে ব্যক্তি এ কথা অন্তর থেকে বিশ্বাস করবে সে কাফের। এই কারনে যে, সে কুরআন, সুন্নাহ ও মুসলমানদের ইজমার বিরোধীতা করেছে। কিন্তু তা যদি হালাল না ভেবে বিশ্বাস করে যে, দেরী করে নামায আদায় করলে গুনাহগার হতে হবে।

তারপরেও প্রবৃত্তির তাড়নায় বা ঘুমের কারনে ইচ্ছাকৃত ভাবে সময় পার করে দেয়। তবে সে সাধারণ পাপী বলে গন্য হবে। তাকে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। অন্যায় হতে বিরত হতে হবে। বড় বড় কাফেরদের জন্য ও তওবার দরজা উম্মুক্ত।

আল্লাহ বলেন, “বলুন! হে আমার বান্দাগন যারা নিজেদেও উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মা করেন। তিনি মাশীল,অতি দয়ালু। ” (সুরা যুমার-৫৩) সুত্রঃ ফতোয়ায় আরকানুল ইসলাম, পৃষ্টা ২২৬, নামায অধ্যায়  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।