আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত বনাম বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।ডিজিটাল বাঁশেরকেল্লা পেজের বাংলাদেশ নিয়ে গাজাসেবক হওয়ার নমুনা

এডিটেড পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত। পাকিস্তান আমলে এ উর্দূ গানটি আমাদের বাপচাচাদাদারা বন্দুকের নলের মুখে গাইতেন বাধ্যতামূলকভাবে তার অর্থ বুঝে হোক বা না বুঝে হোক। পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতটি হল: পাক সার জমিন সাদ বাদ কিশওয়ার এ হাসিন সাদ বাদ তু নিশান এ আজমী আলী শান আরজে পাকিস্তান মারকাজ-এ-ইয়াকিন সাদবাদ পাক সার জমীন কা নিজাম কূউয়াত এ উখুয়াত এ আওয়াম কুয়াম,মুলক,সুলতানাত, পা-ইনদা তাবিনদা বাদ! শাদ বাদ মনজিল এ মুরাদ পারচাম এ সিতারা ও হিলাল রেহবার এ তারাক্কি ও কামাল তারজুমান এ মাজি,শান এ হাল জান এ ইস্তাকবাল সায়াহ এ খুদা এ জুলজালাল। উর্দু বুঝিনা খুব একটা। এগানটির অর্থও তাই খুব একটা বুঝিনি।

তবে যতটুকু বুঝেছি তাতে তাদের নিজদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে চেয়েছে তা বুঝেছি। তবে তাই বলে ভিন্ন একটি জাতির উপর তাদের ভাষা আর সংস্কৃতি চাপিয়ে দেবে সে অধিকার তাদের নেই। পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানটি দেওয়াও সেআমলে বাধ্যতামূলক ছিল। দেশ স্বাধীন না হলে আমাদেরও হয়ত এগানটি বাধ্যতামূলকভাবে গাওয়ানো হত। কিন্তু আমাদের আগের জেনারেশন যেমন মেনে নেয়নি ঠিক তেমনি আমাদের জেনারেশনও নিজের মাতৃভাষার বাইরে এমন একটি সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নিতাম না।

পিতামাতা,আপনজনের সাথে যে বাংলা ভাষায় মনের মধুর ভাবটি প্রকাশ করি তা কেবল ঘরের ভেতরে সীমাবদ্ধ রেখে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে উর্দূ মেনে নেওয়ার মত মানসিক অত্যাচার আর দাসত্ব মানা ছিল অসম্ভব,এখনও সম্ভব নয়। ইংরেজী ভাষার ব্যাপার ভিন্ন। আসল কথা হল মুক্তিযুদ্ধ যুগে যুগে অনিবার্য যখনই বাঙ্গালীর উপর অন্য জাতির অনধিকারচর্চাগত আঘাত আসবে। বাঙ্গালী আর পাক জাতির মধ্যে যে যুদ্ধ তা মূলত জাতিগত দন্দ্ব। যদিও পাকিস্তানীদের কাছে তা ছিল ধর্মীয় দন্দ্ব।

মূলত এখানে একটি জাতির সাথে আরেকটি জাতির অধিকারগত দরকষাকষির দন্দ্ব। ওরা আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল,আমরা শক্তহাতে প্রতিরোধ করেছি। উর্দূ আমাদের ভাষা নয়। কোন বাঙ্গালীর উর্দূ ভাষা জানতে অথবা বলার দক্ষতাতে কোন অপরাধ নেই বরং তা ক্ষেত্রবিশেষে কাজে লাগে তবে আমরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের জন্য আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ব্যবহার করব আর সেখানে বন্দুকের নল দিয়ে কেউ অনধিকার চর্চা করবে তা ভাবা বোকার মত কাজ। আমরা আমাদের মাতৃভাষায় তৈরী জাতীয় সঙ্গীতকে ভালোবাসি।

তাই এটাই আমাদের শেষ ঠিকানা। বাঙ্গালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই আর আমার সোনার বাংলা গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই মূলত মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধারা জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। আমাদের জেনারেশনের অনেকেই মনে মনে ভাবেন,ইস যদি মুক্তিযুদ্ধ করতে পারতাম!!সেকারণেই আমার সোনার বাংলা গানটিই জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে যুগে যুগে আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠ। আর কোনটিই নয়। আর একটা কথা বলি,কোনদেশকে আমরা ঘৃণা করি?এধরণের ১০ টি দেশের নামও যদি আসে তবে সেখানে কি অপশন হিসেবে বাংলাদেশের নাম রাখা যায়?কিছু কিছু লোকের কাছে হয়ত তা রাখা যৌক্তিক।

ডিজিটাল বাঁশেরকেল্লা নামের এক ফেসবুক পেইজে এমনকান্ড ঘটালো তারা। পেইজটি ঘুরলাম। দেখে মনে হল ঐখানকার এডমিনরা গাজা খেয়ে ইন্টারনেট চালাতে বসে। এটি হল সেই পেইজের লিংক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.