আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচ বাংলা ব্যাংক এর “খ্যাতির বিড়ম্বনা”

যখন স্কুল এ পড়তাম বাংলার টিচার বলেছিলেন যেই রচনাই হোক তার সূচনা আর উপসংহার হতে হবে খুব বলিষ্ঠ এবং পরিষ্কার। অর্থাৎ পাঠক যেন প্রথমেই পুরা রচনা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যায়। সুধী পাঠক, আমার এটা কোন রচনা নয় তাই প্রথমে পরিষ্কার ধারনা না পেলে কিছু মনে করবেন না। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ আমি কোন বড় মাপের লেখক বা সাংবাদিক নই।

আমার সূচনা-উপসংহার দুটিই দুর্বল প্রকৃতির হওয়া অবাঞ্ছিত নয়। অনেক সাধ করে ২০০৩ সালে ডাচ বাংলা ব্যাংক এ অ্যাকাউন্ট করেছিলাম। কারন ছিল একটাই। এ টি এম বুথ এবং বুথ এ কার্ড পাঞ্চ করে ১০০ টাকা তোলার সুবিধা তথকালীন সময়ে শুধু মাত্র ডাচ বাংলা ব্যাংক এর বুথ গুলতেই পাওয়া যেত। একে একে ৯ টি বছর পার হোয়ে গেল।

বিরক্তির শেষ সীমা বোধহয় এটাকেই বলে। অনেক কষ্ট করেও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ইচ্ছাটা আর চেপে রাখা গেলো না। কারন গুলো বলে শেষ করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কারন এদের এ টি এম বুথ বাবস্থাপনা। গত ১ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে উত্তরা ৭ নং সেক্টরের এ টি এম বুথে রাত ১০ টায় বরাবরের মতো কার্ড পাঞ্চ করে ব্যর্থ হলাম।

সিকিউরিটি গার্ডের পরামর্শ মতো ১১ নং এবং ১৩ নং সেক্টরের বুথ গুলতে subsequently কার্ড পাঞ্চ করে বারবার ব্যর্থ হলাম। কারন বুথগুলোর কোনটিতে হয় নেটওয়ার্ক প্রব্লেম নতুবা টাকা নাই। অবশেষে আমার কাছে প্রিমিয়ার ব্যাংক এর ডেবিট কার্ড ছিল। আমি সেই কার্ড টি ইস্টার্ন ব্যাংক এর এ টি এম বুথে পাঞ্চ করে টাকা তুলতে পারলাম (প্রিমিয়ার ব্যাংক এর ডেবিট কার্ড, ভিসা লোগো আছে এরূপ যে কোন এ টি এম বুথে পাঞ্চ করে টাকা তোলা যায়)। কথায় বলে ভাল জিনিস কমই ভাল।

জনসাধারনের সেবার নামে ডাচ বাংলা ব্যাংক মানুষের দোরগোড়ায় ডজন ডজন বুথের যে সমারোহ করেছে তাকে বাংলা ভাষায় “বেলাল্লাপনা” ছারা আর কি বলা যায় তা প্রিয় ব্লগার ভাই বোনেরাই বলুন। পাশাপাশি পূর্বের মতো এখন আর ১০০ টাকার নোটও বুথে পাওয়া যায় না। স্বল্প আয়ের মানুষ এবং স্টুডেন্টরা এই সুবিধা থেকে আজ পুরোপুরি বঞ্চিত। প্রাথমিক ভাবে এই সুবিধা দিয়ে পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেয়া আর এক নষ্টামি এবং প্রতারণা ছারা আর কিছুই হতে পারেনা। প্রথম প্রথম টাকা তোলার পরে যে receipt টা পাওয়া যেত সেটা ছিল ফ্রী।

এখন সেই receipt নিতে গ্রাহকদের ৩ টাকা করে গুনতে হয়। যে কাগজে mini statement টা print হয় তাতে কাগজ এবং কালি সহ সর্বমোট খরচ পরে ২৫-৩০ পয়সা। গ্রাহকদের কাছে থেকে yearly service charge নেয়ার পরেও কেন এই অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে তা কোন ভাবেই ঠাহর করা যায় না। আমার জানা মতে প্রতিটা Private Bank, yearly একবার Account Statement ফ্রী দেয়। কিন্ত এই Dutch Bangla Bank এই নিয়মের ধার ধারে না।

তারা Yearly minimum ১ টা Statement তো দেবেই না উপরন্তু Statement নিতে গেলে ১০০ টাকা + ১৫ % Vat= ১১৫/- টাকা charge করে। বস্তুত এই সকল বিষয় গুলোর মাঝে আমার কাছে সবচেয়ে বাজে মনে হয়েছে বুথ ব্যাবস্থাপনা এবং Statement এর বিষয় টা। যা হোক আমি সবশেষে Account Close করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত। আমি কাউকে অনুপ্রানিত করছিনা।

কারন সংশ্লিষ্টদের তাতে কিছু যাবে আসবেনা। কারন এভাবে বেলাল্লাপনা আর চোরামি করে অনেকেই পার পাচ্ছে। তাতে কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাতে কি? আমার কাজ আমি করলাম। “তুমি অধম, তাই বলে আমি উত্তম না হইব কেন?” ধন্যবাদ সবাইকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।