আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগ্নির পর স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে ভারত

পরীক্ষার এক পর্যায়ে অগ্নি মিসাইল মহাশূন্যের ৬০০ কিলোমিটার ভিতর প্রবেশ করেছিলো। অধি বৃত্তাকার গতিপথে অগ্নি-V মহাশূন্যে প্রবেশ করেছিলো। এ ঘটনাকে পুঁজি করেই ডিআরডিও(DRDO) বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র(ASAT) তৈরি করা কথা ভাবছেন। DRDO বিজ্ঞানী ভিকে স্বারস্বত এ কথা জানান। তিনি বর্তমানে স্বংস্থাটির প্রধান।

তিনি বলেন অগ্নি-৫ এর সফলতা নতুন নূতন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দুয়ার খুলে দিয়েছে। ভিকে স্বারস্বাত বলেন, স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে মহাশূন্যের ৮০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রবেশ করতে হয়। অগ্নি-৫ আমাদেরকে সে সক্ষমতায় নিয়ে যাবে। বর্তমানে এটি মহাশূন্যে ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। ৮০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রবেশ করলে ঘরে বসে আমরা পৃথিবীর যেকোনো স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ধ্বংস করে দিতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, অগ্নি-৫ এর সাথে ইচ্ছে করলে ব্যালেস্টিক মিসাইলের(BMD) প্রযুক্তি যুক্ত করে এর ক্ষমতা বাড়ানো যায়। বর্তমানে ভারত প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিলও। এখন এর সাথে যদি অগ্নি-৫ এর ক্ষমতা যুক্ত করা হয়। তবে শত্রু দেশের স্যাটেলাইট কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে দিয়ে আসলেও ধ্বংস করা যাবে আবার বায়ুমণ্ডলের ভিতর দিয়ে আসলেও ধ্বংস করা যাবে। ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এসব করা হবে।

তিনি বলেন, যদিও ভারত সরকার স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র(ASAT) বানানোর অনুমতি দেয়নি। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। কারণ ভারত মহাশূণ্যেকে অস্ত্রায়ন করতে চায় না। আমরা শুধু আমাদের সামর্থ্যর কথাটাই বলছি। মহাশূন্যে আমাদের আক্রমণাত্মক কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০০৭ সালে চীন মহাশূন্যে তার একটি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। সে ঘটনা আমাদেরকে নতুন করে সবকিছু ভাবায়। মহাশূন্যে ভারতীয় স্যাটেলাইট গুলোর নিরাপত্তায় কি করা যায় সেদিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা নজর দিচ্ছেন। ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা অগ্নি-৫ দিয়ে মিনি স্যাটেলাইট কক্ষ পথে স্থাপনের কথা ভাবছেন। এ ধরনের স্যাটেলাইট যুদ্ধক্ষেত্র ব্যবহার করা হতে পারে।

তিনি বলেন, যদি এ মুহূর্তে ভারতের স্যাটেলাইট কেউ ধ্বংস করে দেয়। তখন এই মিনি স্যাটেলাইট গুলো ভারতকে সাহায্যে করবে। মিনি স্যাটেলাইট গুলো স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করবে। সৈন্যদের মাঝে যোগাযোগ, ন্যাভিগেশন ও জিপিএস ক্ষমতার সুবিধা এসব স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আগামীতে অগ্নি-৫ এর মত আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রর পরীক্ষা চালানো হবে।

যেটি (MIRV) ক্লাসের। মিরভ হচ্ছে মাল্টিপল ইনডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি এন্ট্রি ভেহিকল। এটি দিয়ে এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করা যায়। এর নাম অগ্নি-৬ হবে। এটি এখন পরীক্ষা জন্য পাইপ লাইনে আছে।

তিনি বলেন ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা নিয়ে সরকারের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। বর্তমানে যে হুমকি আছে তা অগ্নি-৫ দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব। সূত্র টাইমস অব ইণ্ডিয়া। খবরের লিংক এই খানে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।