আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর চাই না কোন ঝুলন্ত লাশ..........!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

................... . . . . . জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষ নতুন অনেক কিছু দেখে অনেক কিছু শেখে । তা হতে পারে সুখকর হতে পারে দুঃখজনক। মানুষকে সব কিছুই সহ্য করে যেতে হয় না হয় করতে হয়। আজ তিন দিন হল স্বপ্নার বড় ভাই মারা গেছে নদীতে নৌকা ডুবে। স্বপ্না তার ভাইয়ের কাছে চেয়েছিল একটা দামী জামার সেট, যেন সে তা পরতে পারে মামার বিয়েতে।

বোনের সেই ইচ্ছা পূরন করতে ভাই রওনা দিয়েছিল ঢাকায় নৌপথে। মধ্যপথে নৌ দূর্ঘটনায় নদীতে প্রান যায় তার ভাইয়ের । স্বপ্না এই ঘটনাটি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারল না। সে তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করতে লাগল। সে কাউকে কিছু বলত না চুপচাপ থাকত আর ভিতরে ভিতরে নিজেকে দোষারোপ করতে লাগল আমার জন্য আমার ভাইয়ের এমন হয়েছে।

নিজেকে প্রতিনিয়ত এভাবে দোষারোপ করতে করতে তার মানসিক অবস্থা খুব নাজুক হয়ে গিয়েছিল । সে বাহিরে সবাইকে দেখাত ঠিক আছে কিন্তু নীরবে কষ্ট দিত আর কান্না করত। আত্মীয় স্বজন কিছুটা আচ করতে পেরেছিল কিন্তু তারা ভাবল ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। ওদিকে স্বপ্না মানসিক ভাবে নিজেকে বির্পযস্ত করে তুলেছিল যে তার আর বেছে থাকর ইচ্ছা করত না। সে শুধু ভাবত কি লাভ বেচে থেকে শুধুই কষ্ট এছাড়া আর কিছুই নয়।

কিন্তু আত্মহত্যা যে মহাপাপ!!!! তাই সে লুকিয়ে কাউন্সিলিং করল একজন ডাক্তারের সাথে ডাক্তার তাকে ওষধ দিল এবং অনেক কিছু বুঝিয়ে দিল । তারপর সে কিছু দিন সুস্থ ছিল। কিন্তু যখনই কোন অশুভ কিংবা খারাপ কিছু হত সে নিজেকে দোষারোপ করত এভাবে কিছুদিন পরে আবার আগের মত হয়ে যায় , জীবন তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। ডাক্তারের কাছে আর যাওয়ার ইচ্ছা জাগে না। ....... বেশ কিছুদিন হল নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় সবকিছুই যেন অসহ্য লাগে স্বপ্নার ।

সবার সাথে অন্যরকম আচরন করে। তাই কেউ তাকে এত বেশি বিরক্ত করে না। একদিন বিকেল বেলা স্বপ্নার সবকিছু অসহ্য লাগছে সারা শরীরে যেন আগুন লেগে গেছে সে কোন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। নিঃশ্বাস নিতে যেন খুব কষ্ট হচ্ছে মাথাটা ঝিমঝিম করছে মনে হাত পা কাপতেছে । সে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছে না তখন ভাবল এত কষ্টের চেয়ে মরে যাওয়াটাই শ্রেয় ।

কথাটা মাথায় আসতে সে ভাবল আমি আর পারছি না এই বোঝা বইতে, আমায় মুক্তি দাও, বলে দরজা লাগিয়ে দিল. নিজের ওড়নাটুকু সিলিং ফ্যান এ লাগাল তার ভিতরে এতটু্কু ভয় করছে না সে বরং ভাবছে এই বুঝি সে শান্তি পেতে যাচ্ছে........................... ...................................................................... . . . . পরদিন সিলিং ফ্যান থেকে নামানো হল স্বপ্নাকে , যন্ত্রনামুক্ত এক স্বপ্নাকে যার আর কোন কষ্ট নেই, কোন বিমর্ষতা নেই, নেই কোন অশান্তি । . . বিশেষ দ্রষ্টব্য : { কষ্টের এই পৃথিবীতে শুধুই কষ্ট তবুও আমাদেরকে কষ্ট নিয়ে বাচতে হয়। বেচে থাকার জন্য। কিন্তু কেউ কেউ এই কষ্ট সহ্য করতে পারে কেউ পারে না। কষ্ট যখন মানসিক চাপ হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে তখন একজন মানুষের আর কিছুই করার থাকে না।

ঐ মুহূর্তে এগিয়ে আসতে হয় কাছের মানুষদেরকে । হতে পারে মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী যারা কাছের মানুষ। কাছের মানুষরা ঠিক ই জানে কার বৈশিষ্ট্য কেমন। তাই আমি সেই কাছের মানুষদেরকে অনুরোধ করব দয়া করে সেই মানুষগুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন যারা এমন মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। গল্পের স্বপ্নাও বাচতে চেয়েছিল কিন্তু হল না তার বাচা , কিন্তু কাছের কেউ যদি আজ তাকে একটু সহযোগীতা করত তাহলে হয়ত সেও আজ থাকত এই পৃথিবীর বুকে......... } আজকের খবরে পাপিয়া ভট্টাচার্যের খবরটা শুনে খুব কষ্ট লাগল , তাই এই রূপক গল্পের মাধ্যমে আমার কথাটুকু জানিয়ে গেলাম।

[link|http://eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2012-04-20#|[খবরের সূত্র]] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।