আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেয়ামত-পূর্ববর্তী পৃথিবী ও ইলুমিনাতি (ILLUMINATI) এজেন্ডা ৫

মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে। ইমাম মাহাদী আঃ আগমনকালীন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আলামতের কথা হাদীছ শরীফে এসেছে। তার প্রথমটি হচ্ছে - রমজান মাসের শুরুতে চন্দ্রগ্রহণ এবং অপরটি হচ্ছে - ঐ একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে সূর্যগ্রহণ। অর্থাৎ রমজানের কোন এক মাসে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ঘটনা ঘটবে। (Ibn Hajar al-Haythami, Al-Qawl al-Mukhtasar fi `Alamat al-Mahdi al-Muntazar, p. 47) রমজানের শুরুতে চন্দ্রগ্রহণ এবং মাঝামাঝি সময়ে সূর্যগ্রহণ হবে।

. (Muhammad ibn `Abd al-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li-Ashrat as-Sa`ah, p. 199) মাহাদী আঃ আগমনকালীন রমজানের ১৪/১৫ তারিখে সূর্যগ্রহণ এবং ১ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ হবে। (Imam Rabbani, Letters of Rabbani, p. 380; Letters of Rabbani, vol. 2, p. 1163) মাহাদী আঃ আগমনের আগেআগে রমজানের কোন এক মাসে দু’টি সূর্যগ্রহণের ঘটনা ঘটবে। (Mukhtasar Tazkirah al-Qurtubi, p. 440) রমজানের মাঝামাঝি সূর্যগ্রহণ এবং শেষে চন্দ্রগ্রহণ হবে। (Al-Muttaqi al-Hindi, Al-Burhan fi `Alamat al-Mahdi Akhir az-Zaman, p. 37) রমজান মাসে দু’টি চন্দ্রগ্রহণ হবে। (Ibn Hajar Haythami, Al-Qawl al-Mukhtasar fi `Alamat al-Mahdi al-Muntazar, p. 53 মাহাদী আঃ আগমনের পূর্বে দু’টি চন্দ্রগ্রহণ হবে।

(Muhammad ibn `Abd al-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li-Ashrat as-Sa`ah, p. 200) তাহলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো এই যে - রমজানের মাঝামাঝি সময়ে সূর্যগ্রহণের ঘটনা ঘটবে। এবং উক্ত হাদীছগুলোর প্রেক্ষিতে বলা যায় যে - এক রমজান মাসেই দু’টি চন্দ্রগ্রহণ এবং দু’টি সূর্যগ্রহণ হবে। প্রথম ৩টি হাদীছের আলোকে বলা যায় যে - রমজান মাসের শুরুতে চন্দ্রগ্রহণ হবে এবং পঞ্চম হাদীছ বলছে - রমজানের শেষ দিনে ঘটবে। তবে উক্ত হাদীছগুলো পর্যালোচনা শেষে যে সাধারণ চিত্র (Common result) ফুটে উঠে তা’ হলো - ১. কেয়ামত পূর্ববর্তী রমজান মাসে ইমাম মাহাদী আঃ আগমনপূর্বে চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ হবে। ২. ঐ ঘটনা ঘটবে ১৪/১৫ দিন অন্তর অন্তর।

৩ এবং “গ্রহণ”পুণরাবৃত্তি হবে। ঐ হিসেবের সমান্তরালে দেখা যায় - ১৯৮১ খৃষ্টীয় সালে (১৪০১ হিজরি সালে) রমজানের ১৫ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ এবং ২৯ তারিখে সূর্যগ্রহণের ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিক পরবর্তী বছরে অথাৎ ১৯৮২ সালে (১৪০২ হিজরিতে) দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটে রমজানের ১৪ তারিখে এবং সূর্যগ্রহণ ঘটে রমজানের ২৮ তারিখে। এটিও সমভাবে তাৎপর্যপূর্ণ যে - রমজানের মাঝামাঝিতে ঐ চন্দ্রগ্রহণ হয় “পূর্ণ গ্রহণ”। হাদীছের চমকপ্রদ ভবিষ্যৎবাণী।

মাহাদী আঃ আগমনপূর্বকালে বা সমসাময়িককালে ঐ সমস্ত ঘটনা ঘটবে। ১৪০০ হিজরি শতাব্দীর পর অর্থাৎ হিজরি ১৫০০ শতাব্দীতে (১৪০১ ও ১৪০২ হিজরি সনে) পরপর দু’টি বছরে ঘটে যাওয়া উল্লিখিত ঐ সব ঘটনা হাদীছের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী কেয়ামতের প্রকৃষ্ট আলামত। উপরন্তু, আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্য যে - রমজান মাসে একই ধরণের এবং সময় ব্যবধানে পরপর কয়েকটি সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ রেকর্ড হয়েছে ২০০২ (হিজরি ১৪২৩) ও ২০০৩ (হিজরি ১৪২৪) সালে। ঐ হিসেবের সমান্তরালে দেখা যায় - ১৯৮১ খৃষ্টীয় সালে (১৪০১ হিজরি সালে) রমজানের ১৫ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ এবং ২৯ তারিখে সূর্যগ্রহণের ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিক পরবর্তী বছরে অথাৎ ১৯৮২ সালে (১৪০২ হিজরিতে) দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটে রমজানের ১৪ তারিখে এবং সূর্যগ্রহণ ঘটে রমজানের ২৮ তারিখে।

এটিও সমভাবে তাৎপর্যপূর্ণ যে - রমজানের মাঝামাঝিতে ঐ চন্দ্রগ্রহণ হয় “পূর্ণ গ্রহণ”। হাদীছের চমকপ্রদ ভবিষ্যৎবাণী। মাহাদী আঃ আগমনপূর্বকালে বা সমসাময়িককালে ঐ সমস্ত ঘটনা ঘটবে। ১৪০০ হিজরি শতাব্দীর পর অর্থাৎ হিজরি ১৫০০ শতাব্দীতে (১৪০১ ও ১৪০২ হিজরি সনে) পরপর দু’টি বছরে ঘটে যাওয়া উল্লিখিত ঐ সব ঘটনা হাদীছের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী কেয়ামতের প্রকৃষ্ট আলামত। উপরন্তু, আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্য যে - রমজান মাসে একই ধরণের এবং সময় ব্যবধানে পরপর কয়েকটি সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ রেকর্ড হয়েছে ২০০২ (হিজরি ১৪২৩) ও ২০০৩ (হিজরি ১৪২৪) সালে।

হাদীছে বলা হয়েছে - এ সময় মূর্খতাসূলভ আড্ডাবাজী ও মানুষের একে অপরের চরিত্র হনন, ঠাট্টা-বিদ্রুপ - এসব বেড়ে যাবে। (Increased level of gossip and mockery of other people: )। যুগের সম্মানিত হিসেবে পরিচিত লোকেরা পর্যন্ত এ সময় ক্ষমতাসীনদের মিথ্যে প্রশংসা ও তোষামোদে লিপ্ত হবে, অথচ এ-বদভ্যাস সচরাচর নিম্নস্তরের সাধারণ মতলবী লোকেদের মধ্যে দেখা যেত। (at-Tabarani ) সমালোচক, গাল-গল্পবাজ, মানুষকে উত্যক্তকারী ও খোঁচাদানকারী এবং চোগলখোর মানুষের সংখ্যা এ সময় সমাজে বেড়ে যাবে। .(Al-Muttaqi al-Hindi, Muntakhab Kanz al-`Ummaal) অথচ, পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা মানুষকে আড্ডাবাজী ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ, উপহাস - এসব থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ।

যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। (11) মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে।

তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (12) (Surat al-Hujurat, 49:11-12) হাদীছে আরও এসেছে - এ সময় লেনদেনে জালিয়াতি ও ঘুষগ্রহণ ইত্যাদি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। এবং এটি চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে এবং তা’ সমাজে অতি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়াবে।

(Mukhtasar Tazkirah al-Qurtubi, p. 454) ঐ ব্যাপারটি হাদিছে এসেছে এভাবে - “নিশ্চয় এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ উপার্জনে হালাল-হারাম বিবেচনায় আনবে না”। (Ibn Ahmad Hanbal) আরও এসেছে - মানুষ এ সময় ওজন ও পরিমাপে প্রতারণা করবে। অর্থাৎ কম দেবে। (Muhammad ibn `Abd ar-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 139) হাদীছে এসেছে - এ সময় তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং তালাক একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হবে। বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সন্তানের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

. (Allamah Safarini, Ahwal Yawm al-Qiyamah) . (Muntakhab Kanz al-`Ummaal হাদীছে এসেছে - এ সময় মানুষ পোষা কুকুর পালন (Pet Dogs/Puppies) করবে। এবং অবস্থা এমন হবে যে - মানুষ নিজের সন্তানের চাইতেও পোষা কুকুরকে বেশী প্রিয় মনে করবে। (al-Tabarani, al-Hakim) জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের সৌন্দর্য উপভোগ ধর্মে বা ইসলাম ধর্মে বৈধ। কিন্তু এখানে আপন সন্তানের চাইতেও বেশী প্রিয় মনে-করার-ব্যাপারটি বেশী হয়ে দেখা দেবে। তাই তা’ বিকৃত, অস্বাভাবিক ও অবৈধ ।

হাদীছে এসেছে - যখন পরবর্তী প্রজন্ম পূর্ববর্তী প্রজন্মের মানুষদের অসম্মান ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে তখন লাল আধিঁ (বায়ু), ভূমিধস এবং আকাশ থেকে পাথর-বর্ষণ ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করো। (Tirmidhi) কোন প্রাকৃতিক ঘটনাই ভূমিকম্পের মতো শক্তিশালী ও ভয়ংকর নয়। কারণ ভূমিকম্প যে-কোন মূহুর্ত্বে এবং যে-কোন স্থানে আঘাত হানতে পারে। এবং এর ক্ষয়ক্ষতিও তাৎক্ষণিক। ইতিহাসে দেখা যায় - ভূমিকম্প ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে এসেছে।

এজন্যই ভূমিকম্প এত ভয়ানক। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে তেমন বড় ধরণের সাফল্য দেখাতে পারেনি। যেটুকু দেখিয়েছে তা’ উল্লেখযোগ্য নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ জাপানের ‘কোবে’ শহরে ঘটে যাওয়া ১৯৯৫ সালের ভূমিকম্প এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের সূত্রমতে ২০ সেকেন্ডের ঐ ভূমিকম্প শহরের শিল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে, এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার।

হাদীছে এসেছে - কেয়ামত-পূর্ববর্তী কালে পৃথিবীতে ঘনঘন ভূমিকম্প হবে। (Sahih Bukhari) । ঐ কারণে থাকার জন্য আশ্রয় ও চলাচলের জন্য বাহক হিসেবে পশু পাওয়া যাবে না। কারণ ভূমিকম্প তা’ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। (Muhammad ibn `Abd al-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 146) লক্ষ্য করা গেছে - গত কয়েক দশক থেকে পৃথিবীতে ঘনঘন ভূমিকম্প সংগঠিত হচ্ছে এবং এই ভূমিকম্প এখন পৃথিবী জুড়ে বড় আতংকের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

আমেরিকার জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র ১৯৯৯ (American National Earthquake Information Center for 1999) কর্তৃক সংগৃহিত তথ্য মতে গত কয়েক বছরে প্রায় ২০, ৮৩২ টি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। এবং নিহত হয়েছে প্রায় ২২৭১১ জন। ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আমেরিকান ভূতত্ত্ব জরিপের (U.S. Geological Survey (USGS) reports) পরিসংখ্যান রিপোর্ট হিসেব করে দেখা গেছে - আগে ভূমিকম্পের সংখ্যা ছিল অনেক কম। দেখা গেছে গত ৪০০ বছরে (১৫৫৬ - ১৯৭৫) রিখটার স্কেলে ৫ বা তার কিছু বেশী ম্যাগটিউড মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে মাত্র ১১০ টি। অথচ ১৯৮০ - ২০০৩ সময়ের মধ্যে ৬.৫ বা তার বেশী মাত্রার ভূমিকম্পের সংখ্যা ছিলো ১৬৮৫ টি।

অবিশ্বাস্য মনে হয়। ঐ পরিসংখ্যান বলে দেয় হিজরি ১৪০০ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই যেন হু হু করে ভূমিকম্পের সংখ্যা ও মাত্রা বেড়ে গেছে। কোরানে ‘সুরা যিলযাল’ - এ ভূমিকম্প ও কেয়ামত-পূর্ববর্তী সময়-কে সম্পর্কিত করে কিছু আয়াত রয়েছে। উল্লেখ্য আরবি শব্দ ‘যিলযাল’ এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো “ভূমিকম্প”। ৮ টি আয়াত বা বাক্য নিয়ে গঠিত কোরানের ঐ সুরায় তীব্র ভূমিকম্পের কথা বলা হয়েছে।

সুরায় বলা হয়েছে - ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে শেষ-বিচার-দিবস, পুনরুত্থান ও মানুষের সমস্ত কাজের হিসেব/কৈফিয়ত দেয়ার জন্য আল্লার সম্মুখে হাজির হতে বলা হবে। তারপর মানুষকে যারযার কর্মফল অনুযায়ী পুরষ্কার বা শাস্তি দেয়া হবে। যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে, (1) যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে। (2) এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? (3) সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, (4) কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন। (5) সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।

(6) অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে (7) এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। (8) Sura: Az-Zalzala বানিজ্য অবরোধ কেয়ামতের আগে আগে দেশ-রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হবে। বানিজ্য অবরোধ সৃষ্টি করা হবে। এতে জন মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হবে। (Al-Muttaqi al-Hindi, Al-Burhan fi `Alamat al-Mahdi Akhir az-Zaman, p.52) (Ibn Hajar al-Haythami, Al-Qawl al-Mukhtasar fi `Alamat al-Mahdi al-Muntazar, p. 39) আমরা ইরাকের কথা জানি।

খাদ্য, জীবন-রক্ষাকারী ওযুধ ও সরঞ্জামের অভাবে ইরাকের লক্ষ লক্ষ শিশুর নিহত হওয়ার ব্যাপারে জানি। বর্তমানে ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ইত্যাদির ব্যাপারেও এ অবরোধ আরোপের প্রচেষ্টার কথা জানি। ভবিষ্যতে আরো নজির দেখবো হয়তোবা। হাদীছে রয়েছে - দাজ্জালের আবির্ভাবের ৩ বছর পূর্বের প্রথম বছর আকাশ তার পানির এক তৃতীয়াংশ ধরে রাখবে। বর্ষণ করবে না।

ভূমি এক তৃতীয়াংশ ফল শস্যাদি ফলাবে না। দ্বিতীয় বছরে - আকাশ দুই তৃতীয়াংশ পানি বর্ষণ করবে না। ভূমি দুই তৃতীয়াংশ ফল ফলাদি ফলাবে না। তৃতীয় বছরে - ব্যাপক সংখ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর ধ্বংস হবে। . (Ibn Ahmad Hanbal) ঐ হাদীছ মতে - দাজ্জালের আবির্ভাবের আগে বিশ্বব্যাপী খরা ও অনাবৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য বিশ্বে বায়ুমন্ডলের উঞ্চতা (Global Warming) ও তা’ দ্বারা সৃষ্ট আতংক এখন বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে। ২০০১ সালে জাতিসংঘের রিপোর্টে এর চিত্র ফুটে উঠেছে। কোন কারণ ছাড়াই মানুষ মানুষকে হত্যা করবে। আবু হুরাইরা রাঃ হতে বর্ণিত - নবী করিম সাঃ বলেছেন - মানুষ এমন দিন দেখবে যখন হত্যাকারী কেন হত্যা করছে তা’ জানবে না, বুঝবে না। আর যাকে হত্যা করা হয়েছে সে-ও বুঝবে না তাকে কেন হত্যা করা হলো।

কিন্তু হত্যাকারী ও নিহত ব্যাক্তি উভয়ই দোষখের আগুনে জলবে। (মুসলিম) নিহত ব্যাক্তি কেন দোষখের আগুনে জলবে তা’ জিজ্ঞেস করা হলে, রসুল সাঃ বললেন, সে-ও অপরপক্ষকে হত্যা করার নিয়তে বের হয়েছিল। উল্লেখ্য ব্যাপক হারে হত্যাকান্ড হওয়া আখেরি জামানার অন্যতম নিদর্শন। সংবাদপত্রে দেখতে পাওয়া যায় - সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে, তুচ্ছ ঘটনা থেকে হত্যাকান্ড সংঘঠিত হচ্ছে। চলবে ………. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।