আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার থামুন-ফিরে আসুন বাস্তবতায়

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি । ১. সুন্দর তুমি কেন আসো-কেন আসো মনের অরণ্যে-যেখানে নির্জন অন্ধকার বাসা বাঁধে চড়ুই পাখির যেখানে উপচে পড়া ভীড় নেই, কালো ধোঁয়া নেই, রক্তপাত-হানাহানি নেই; নেই গালিগালাজ। সেখানে আমি থাকি। অ-সম্ভব রকম হলেও সত্য পাশাপাশি কেউ থাকেনা। এখানে খুব বেশি প্রয়োজন আপাত নেনই তোমার।

২. সেদিন খুব বৃষ্টি হয়েছিল, যেদিন তুমি আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিলে... কথা এখানে শেষ হয়নি; যেখানে আমি বলব পথ সেখানে শেষ হবে কথা নয়। কথা শেষের সম্ভাব্য সময় তীর্যক ভাবে বীদ্ধ হবার পূর্বে দ্রাক্ষার রসে ধুয়ে-মুছে গ্যাছে ইতিহাস। লেজুড়বৃত্তির কারখানায় তৈরি হচ্ছে কথার বোমা। সাক্ষীরা সব পথের মাঝেই হারিয়ে যাবে। ৩. কাল্পনিক.কল্পনায় স্বপ্ন দেখুন।

আমরা সবাই...স্বপ্ন দেখছি আমাদের গ্রাম। শহর। সভ্যতা। সামন্ত সমাজ এবং ইতিহাস পারমাণবিক বোমার কারখানায় কাপড় খুলে ধুয়ে মুছে দিচ্ছি সব। দিচ্ছি সদ্য বিবাহিত কুমারি স্ত্রি লোকের মাংস...মদ আমাদের তো দিতেই হবে।

অসহায়! নির্বোধ! অথচ অভ্যস্থ। এবার থামুন-ফিরে আসুন বাস্তবতায় কি হচ্ছে দেখুন। ৪, এখানে চুপিচুপি বলার প্রয়োজন নেই। এখানে কেউ নেই। একান্তই ব্যক্তিগত কবিতার পাতা।

রাখ ঢাক রেখনা মনে। ভাবলেশহীন আক্ষেপ ঝেড়ে ফেল-মাস্তুল ভাঙার প্রতিবাদ তোমাদের মানায় না্ সত্যিই বলছি পাড়ার রংবাজ রূপেই মানায়-তোমরা তো সামন্ত সমাজ ধরে রাখতে পারোনি তোমরা ভূলে গ্যাছো তোমাদের পিতৃ-পুরুষ অনার্য সন্তান; তাদের পিঠে ছিল চাবুকের দাগ। তারা শ্রমিক ছিলেন শ্রম দিতেন অর্থের বিনিময়ে সিনেমা হলে যেতেন অর্থের বিনিময়ে খাদ্য ক্রয় করতেন অর্থের বিনিময়ে। নির্বাক থাকার চেয়ে কিছুই শ্রেয় মনে হয়নি পিতৃ-পুরুষের। অনেক হয়েছে সময়।

ওসব কথা এখন থাকনা। কালপুরুষ কেউ আসেনি এ জাহাজে-শক্ত হাতে মাস্তুল ভাঙার প্রতিক্ষায় বসে আছে ক্লান্ত কান্ডারি; যার যেখান যাবার সবাই চলে গ্যাছে। ৫. যে যার মত চলে গ্যাছে ইতিহাসের পাতায় অম্লাণ বিষন্ন শালিক জাগতিক পৃথিবীতে অ-পার্থিব কল্যাণ বিষন্ন সুরে বেজে ওঠে। অনেক হয়েছে লাটিম খেলা অবিশ্বাসী মন মেলে ধরেছে ক্ষত-বিক্ষত দলিল সাক্ষীদের নিয়ে ভেসে চলা কেয়া পাতার নৌকা নোঙর ফেলেছে বৃদ্ধ কৃষ্ণচূড়ার তলে; আমাদের সাথে তার সব বোঝাপড়া শেষ। সামগ্র্রিক কল্পনায় পন্ডিত রবী শংকর বেজে ওঠে আপন মনে।

ইথারের সুর-ডেকার্টের ভাবনা জ্বালিয়েছে বহুকাল। সাত্ত্বিক কল্পনা? হাসিও পায় বটে। নোংরা শব্দের জলে পা পিছলে আছাড় খেয়েছি এবং বলেছি ভাল থাকো পৃথিবী। ৬. তুমি সে পথে আসোনি যে পথ নির্জন-একাকী হেঁটে এসেছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম দূরত্ব নীল আকাশ, খোলা প্রান্তর, ছায়ায় ঘেরা বাগান, নদী-জল সব-সব ছেড়ে এসেছে। ৭. লাল.নীল.হলুদ আমি ভালোবাসি; আরও ভালোবাসি নদী, ছায়া, জল, ডাহুকের ডাক, শকুনের বীভৎস ঠোট, বৃদ্ধ কৃষ্ণচূড়া, লাল রক্তজবা, নগ্ন নর্তকী আর....আর ছায়ায় ঘেরা অথচ মরু প্রান্তর।

যেখানে কিছুই নেই। এতটু ভিটে মাটি ছাড়া সেখানে কেউ নেই। আমি ছাড়া ওখানে কারুর থাকতে নেই; কারণ আমি নির্জনতা ভালোবাসি। ৮. আমি যখন ছোট ছিলাম-হ্যা সেতো অনেক আগের কথা সে সময় একদিন কুকুরের বিচি দেখে আর্তনাদ করেছি তীব্র আর্তনাদ আজো মাঝরাতে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। আমি চিৎকার করি; শীৎকার তুলি; গর্জে ওঠি ঘুমের ভেতর এবং জাহাজের পাটাতনে একে দেই নগ্ন সময়।

সাইফুল ইসলাম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.