আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতবর্ষ ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে প্রথম আলো কেন বার বার দুই বাংলা বলে?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা কাঁটাতারের বেড়ার এপারে প্রায় অর্ধ লাখ বাংলাদেশি। ওপারে কয়েক হাজার ভারতীয় বাঙালি। তারা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন, বিনিময় করছেন। কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিস্কুট চানাচুর আর সিগারেটের প্যাকেট ছুঁড়ে দিচ্ছেন একে অপরকে। কেউবা আত্মীয় স্বজনদের দেওয়ার জন্য ঠান্ডা পানীয় বোতল ছুঁড়ে মারছেন।

স্বজন ও পরিচিতদের দেখে অনেকে আবেগ ধরের না রাখতে কেঁদে ফেলেন। এ কান্না বিরহের নয়, মধুর মিলনের। পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তের আন্তজাতিক সীমানা পিলারের মাঝে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে আজ শনিবার দুপুরে এভাবেই শুরু হয় দুই বাংলার মানুষের অনানুষ্ঠানিক মিলন মেলা। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে এ মেলা চলে বিকেলে পাঁচটা পর্যন্ত। সীমান্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উভয় দেশের সাধারণ লোকজন যাঁরা অর্থাভাবে পাসপোর্ট-ভিসা করতে পারে না, তারা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে।

এদিন তারা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত্ করেন। সীমান্ত এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আজ ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এসে জড়ো হন। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ করে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দুই দেশের লোকজন একে অপরের সঙ্গে মিলিত হন। স্বজনদের মিলনে আর দুই দেশের অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে এখানে এক বিরল দৃশ্যের অবতারণা হয়। এখানে কেউ মায়ের সঙ্গে, কেউবা বোনের অথবা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা এবং কথা বলার সুযোগ পান।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তাদের এদেশের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতীয় অংশে পড়ে। ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে তারা উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষাকারীর বাহিনী অলিখিত সম্মতিতে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে দেখা সাক্ষাত্ করার সুযোগ পায়। ভারতের শিলিগুড়িতে থাকা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা পঞ্চগড়ের আয়ূব আলী জানান, বাংলা নববর্ষে ওপার বাংলায় থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করি, তাদের খোঁজ খবর নিই। জহিরুল ইসলাম জানান, এদিনে আমরা সীমান্তের জিরো লাইনে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাত্ করি।

টাকার অভাবে পাসপোর্ট-ভিসা করতে না পেরে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। জলপাইগুড়ির তানজিনা এসেছেন পঞ্চগড়ের বোন তাসলিমা বেগমের সঙ্গে দেখা করতে। যখন দেখা হলো দু’জনের চোখে বেয়ে গড়িয়ে এলো জল। তারপর ছেলে-মেয়েসহ নানা বিষয়ে দু’জন দু’জনার খোঁজ খবর নিলেন। দিনাজপুরের দলুয়া থেকে চঞ্চলা রানী এসেছেন মেয়ে-জামাইকে দেখতে।

মা বাবাকে দেখতে ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি¬ থেকে এসেছেন চম্পা। দেখা করতে পেরে সবাই খুশি। কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি মিঠু রায় প্রথম আলোকে জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির কারণে আমার মতো অনেকেরই আত্মীয়-স্বজন দুই দেশে থেকে গেছে। তিনি প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা ও কুশল বিনিময়ের এ সুযোগ অব্যাহত রাখার জন্য বিএসএফ ও বিজিবির প্রতি আহ্বান জানান। তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি খগেশ্বর রায় জানান, এ সুযোগ অব্যাহত থাকা উচিত।

ভারতের খালাপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য রামকরণ ও সোলানাকি বলেন, আমরা স্থানীয় মানুষের অনুরোধে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে এ উদ্যোগ নিয়েছি। পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর আহমেদ হোসেন জানান, স্থানীয় মানুষের অনুরোধে জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে জিরো লাইনে স্বল্প সময়ের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। Click This Link ****************************** আজ থেকে প্রায় ৭/৮ বছর আগে ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গের স্যাটেলাইট চ্যানেল তারা বাংলা ১লা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করে। একটি অনুষ্ঠানে দেখায় ১লা বৈশাখের দিন কোলকাতার কিছু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পার্কে তরুণ-তরুণী যারা পাশ্চাত্য কায়দায় পোশাক পরিধান করে আছে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় আজকে যে ১লা বৈশাখ তারা জানে কি? এই প্রশ্নের সন্তষ্টজনক উত্তরতো দূর তারা যে বাঙালী সেটার পরিচয় দিতেই তারা ইতস্ততা করছে।

তখন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা জৈনক ক্যালকেশিয়ান বুদ্ধিজীবিকে জিজ্ঞাসা করলেন বাংলাদেশে যেভাবে ১লা বৈশাখ পালনে স্বতঃস্ফূর্ততা সেটা পশ্চিমবঙ্গে নেই কেন? জবাবে বুদ্ধিজীবি বললেন দেখুন ওটা বাংলাদেশ আর এটা ভারতবর্ষ। তারপরেও আমাদের দেশের আওয়ামী ঘরাণা ও তথাকথিত সুশীল কোলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ বলতে অজ্ঞান। যারা আদৌ বাংলাদেশকে ঐ ভাবে আপন মনে করে না। কারণ এই দেশের ৯০% জনগণ মুসলমান। স্রেফ ১৯৪৭ সালের বিভাজনের জন্যই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মুসলমানগণ তাদের বাঙালী পরিচয় একটা ভিত পেয়েছে।

আর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়াতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশী-বাঙালী একটি স্বতন্ত্র রুপ পেয়েছে। আজও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের বাঙালী বলে না। আর বাংলাদেশের সাথে ভারতের কি কেন্দ্র কি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার সবাই বিমাতা সুলভ আচরণ করে। নদ-নদীর পানি, বাণিজ্য, সীমান্তে বিএসএফের হত্যা-নির্যাতন সহ অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারত স্রেফ একতরফা নিতেই জানে বাংলাদেশকে কিছু দিতে চর কার্পণ্য! তিস্তার পানি বন্টন নিয়েই মমতার যে আচরণ তা একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। একজন পাঠকের মন্তব্য তুলে ধরলাম; Aminul Islam ২০১২.০৪.১৪ ২০:৫৫ একই দিনে একই সময়ে পঞ্চগড়ে দুই বাংলার মিলন মেলা আর অন্ন দিকে পাশের জেলাই চাপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফ গুলি করে বাঙলাদেশী যুবক মারলো।

মিলন মেলা দেখে খুশি লাগতেছে কারো ? আর আমাদের হাসিনা মমতাকে ট্রাকের পর ট্রাক ইলিশ মাছ বোঝাই করে উপহার দেয়। এই কারণেই প্রআলো গোষ্ঠীদের পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অহেতুক অতিরিক্ত দরদ উথলে পড়ে। তারা যে নিজেদেরকে ভারতীয় তথা হিন্দী ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অংশ বলতে গর্ব করে সে বিষয়ে প্রআলো গং জেনেও না জানার ভান করে। তাই আমাদের দুই-বাংলার তথাকথিত কুম্ভীরাশ্রুর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.