আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এপিএস এর গাড়ীতে টাকা, মন্ত্রীর বক্তব্য এবং মন্তব্যের উগ্রতা

রেলমন্ত্রীর এপিএস এর গাড়ীতে টাকা পাওয়া, বিজিবির সদর দপ্তরে সেই টাকা নিয়ে নাটক এবং সাম্প্রতিক সংবাদগুলো মানুষ অত্যন্ত মন দিয়ে পড়ছেন। ডালমে কুচ কালা হায় এটা সবাই বুঝতে পারছেন এবং মন্ত্রীর দিকেই সন্দেহের তির। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। সন্দেহ তো মন্ত্রীর দিকেই থাকবে কারণ টাকা নিয়ে ওরা মন্ত্রীর বাড়ীতেই যাচ্ছিলেন। মন্ত্রী বলেছেন এটা ষড়যন্ত্র।

টাকাটা আলগোছে তার বাড়ীতে গেলে তো আর কেউ জানতো না। বিজিবির সদর দপ্তরে ঢোকাটা তো ষড়যন্ত্রই বটে। ড্রাইভার এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অতএব আমরা রেলমন্ত্রীর কথাটা মেনে নিতে পারি। তবে তিনি যে ফেসে গেছেন এটা ঠিক এবং এই ফেসে যাওয়ার কারণেই তার পদত্যাগ করা উচিত।

কম্ম অকম্ম সবাই করে কিন্তু তিনি ধরা পড়ে সরকারের ভাবমূর্ত্তি বিনষ্ট করেছেন এজন্য তার পদত্যাগ সবারই কাম্য। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে বিভিন্ন জন্য আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। যেমন কেউ বলছেন রেলমন্ত্রীর ভারত যাওয়া উচিত, উনার ধুতি নাকি খুলে গেছে, যেন হিন্দু হওয়াটাই ওনার অপরাধ, দুর্নীতিটা উপলক্ষ মাত্র। আবুল হোসেন সম্পর্কে যখন কথা উঠলো তখন তার প্যান্ট কি কেউ খুলেছিল? বা তাকে অন্য কোনো দেশে কেউ পাঠিয়েছিলেন? দুর্নীতি ছাড়াই (?) খন্দকার দেলোয়ারের পাজামা কেন খুলে পড়েছিল প্রকাশ্যে? ব্যরিষ্টার নজমুল হুদাকে কে কোথায় পাঠিয়েছিল? বক্তব্যের স্বাধীনতা থাকা ভাল কিন্তু এরকম উগ্র মন্তব্যের কারণ আসল অপরাধ আড়াল হয়ে যায়। হাওয়া ভবনের দুর্নীতি তো এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিচয় পেয়েছে।

দুনীতির বিচার প্রয়োজন, শক্ত হাতেই তা করা দরকার কিন্তু উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা, প্রশ্রয় পাওয়া উচিত নয়। আমার কথাতে অনেকে নাখোঁশ হতে পারেন কিন্তু এই কথাটা অত্যন্ত সত্য যে আমরা মনোজগতে এখনো দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পারিনি। যা ইচ্ছা বলার মাধ্যমে আসল বিষয় যেন চাপা পড়ে না যায় সে দিকটা দেখা ভীষণ জরুরী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.