আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জৈনক সাবেক মন্ত্রীর মেয়ে ও আমার কথোপোকথ

অদ্ভুত পৃথিবী স্থানঃ মাইনকার চিপা কালঃ কাল রাত পাত্রঃ আমি ও সাবেক মন্ত্রীর মেয়ে আমিঃ কেমন আছ ? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ ভালো না । আমিঃ কেন? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ গত রাতে পুলিশ আব্বাকে ধরে নিয়ে গেছে । আমিঃ কেন? তোমার বাবা কি চোর ? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ না । আমিঃ তাহলে সন্ত্রাসী ? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ আরে না । আমিঃ তাহলে নিশ্চয় চোরাকারবারি? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ ধুত! না আমিঃ এবার বুঝতে পেরেছি নিশ্চই নারীঘটিত ব্যাপার ।

সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ বলছি না না (চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে)। আমিঃ কিন্তু বল্লানাতো না কি? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ মানে গতকাল গাড়ি পুড়ানো মামলায় পুলিশ বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে (ইতস্ত্বত ভাবে) আমিঃ ছি!!! তোমার বাবা একজন সন্ত্রাসী । সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ না আমাকে ভুল বুইঝ না । আমার বাবা একজন রাজনিতীবিদ ও সাবেক মন্ত্রী । মিথ্যা মামলায় তাকে ফাসানো হয়েছে , শুনেছি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাম খাম জালমগীরের নির্দেশে বাবাকে ধরা হয়েছে ।

আমিঃ হুম বুঝলাম , কিন্তু তোমার বাবার সাথে খাম খাম জালমগীরের সাথে শ্ত্রুতা কেন? সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ শ্ত্রুতা শুরু সেই ১৯৭১ সাল থেকে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার বাবা পাকিস্থান সরকারের চাকুরি থেকে রিজাইন দেন কিন্তু খাম খাম জালমগীর পাকিস্থান সরকারে চাকুরিতে ছিল সে রিজাইন দেয় নাই। আমিঃ কিন্তু শ্ত্রুতা কেন? এটা পরিষ্কার না । সাবেক মন্ত্রীর মেয়েঃ যুদ্ধের সময় এই খাম খাম জালমগীর ময়মনসিংহ জেলার মুক্তি বাহিনির গোপন তথ্য পাকিস্থান সরকারের কাছে সরবারহ করত , আমার বাবা মুজিবনগর সরকারের চাকূরি করত যুদ্ধের পর বাবা এই খাম খাম জালমগীরকে রাজাকার হিসাবে চিহ্নিত করে ,অবশ্য সরকার আমালা সল্পতায় এই খাম খাম জালমগীর কে স্বপদে বহাল রাখে । সেই থেকে এই শ্ত্রুতা । আমিঃ এবার বুঝলাম ।

শোন মন খারাপ কইরো না তোমার এই শোক কে শক্তিতে পরিনত কর যাতে তোমার বাবা ক্ষমতায় আসলে এরে জেলের চৌদ্দশিকের ভাত খাওয়াইতে পার । তার পর যা হয়েছে তা আপনাদের বলা যাবে না শতর্কীকরনঃ উপরে উল্লেখিত ঘটনা সম্পুর্ন কাল্পনিক ও অবাস্তব, বাস্তবতার সাথে মিল খুজিতে যাবেননা । যদি কেউ খুজেন তা হলে নিজ দ্বায়িত্বে খুজবেন । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।