আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাচেলর সিংগেল কমিটেড পুরুষের অনুপ্রেরণা ইমরান হাশমি(আপুমণিদের কাছে কিছু দাবী)

এডিটেড ইউনিভার্সিটির বুরুন্ডি(আফ্রিকার কেনিয়ার পাশের দেশ) থেকে আগত এক বন্ধু একবার প্রশ্ন করল,আচ্ছা তোদের উপমহাদেশের মেয়েরা এমন মেন্টালিটি নিয়ে চলে কেন?কোন ছেলে বা পুরুষকে সামনে যেতে দেখলেই ওড়না ঠিক করে,শাড়ি পরে থাকলে শাড়ির আঁচল ঠিক করে। বুঝলাম তোরা কিছুটা ধর্মীয় রক্ষণশীলতায় চলিস। তা খুব ভালোও। কিন্তু তাই বলে এমনটা কেন?আমি এখানে যতবারই রাস্তায় বেড়িয়েছি ততবারই এমন পরিস্হিতির স্বীকার হয়েছি। তারা এমন ভাব করে যেন আমি হা করে তাকিয়ে আছি আর তাকে গোগ্রাসে গেলার পরিকল্পনা করছি।

অথচ এমন ভাবনা আমার মনে সামান্যর জন্য হলেও আসেনি। প্রশ্ন শুনেই আমাদের হাসি। কথা কিন্তু সে ভুল বলে নাই। এই নির্ভূল প্রশ্নটা নিয়েই আমার আজকের পোস্ট। আপুমণিদের মেন্টালিটি সত্যিই বিচিত্র!এটা মানছি সমাজে ইভটিজারের অভাব নাই।

রাস্তায় রাস্তায় বিকালের হাওয়া খেতে দাঁড়িয়ে থাকা রোমিওরা কটুক্তি করে মজা পায়। পরে ঠেংগানি খাইলে আলাদা কথা কিন্তু তার আগে পর্যন্ত আপনাদের জীবন অতিষ্ঠ করে রাখে। তাদের জন্য আমরা ভদ্র পোলাপাইনরাও লজ্জিতও বলা যায়। এমনিতেই আমরা সাধারণ বাংগালী পোলাপাইন ভদ্রগোছেরই হই। আপনাদের ভয়ে তটস্হ থেকে মনের কথা সবসময় খোলাসা করে বলতে পারিনা।

কত রোমিওর যৌবনটাই নষ্ট হয়ে যায় এবং শেষপর্যন্ত বিয়ে নামক সামাজিক বাধাবাধ্যগত নিয়মের বেড়াজালে পরে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেনা। কিন্তু বয়সের দোষ বলে একটা কথা তো আছেই। বায়োলজির মতে আপনাদেরও সমান আকর্ষণ আছে আমাদের মতই। তবে আপনেরাও ভয়ে বলতে পারেন না বা মুখ বুজে থাকেন। যার ফলে কতজনের কত স্বপ্নই শেষ হয়ে যায় তা আপনেরা জেনেও জানেন না।

তবে ধোকাবাজি আমাগোরও পছন্দের না। আপনেরাও আমগোরে রাস্তায় ক্রস করিবার সময় শুরুতে নজর দেন না কিন্তু ক্রস করিবার ঠিক শেষ সেকেন্ডে কানা চোখে দেখিয়া লন। সাইকোলজিস্টদের ভাষায় তখন আপনাদের মনোভাব হইল গিয়া আমরা আপনাগোরে দেখতাছি কিনা তাহা আপনারা নিজচোখে পরখ করিয়া নেন। আমরা দেখলে আপনাগো সাজগোজ সাকসেস,না দেখলে ফেইলিউর। যাই হউক,রাস্তাঘাটে হাজারটা মানুষ হাজার রকমের মনোভাব নিয়া ঘুরঘুর করে।

সবার কথা কইলাম না। শুধু আমগো বয়সী ছাওয়ালরা মানে যাগো বয়স ১৫ থেকে ২৫ ছুইছুই তাগো মনের ভাবনাগুলা মোটামুটি এরকম- *কেউ চিন্তা করে ভবিষ্যতে কোন চাকরিতে জয়েন করবে। *কেউ চিন্তা করে প্রাইভেটে স্যারের এসাইনমেন্ট কখন কম্প্লিট করবে। *কেউ চিন্তা করে কোন ফ্রেন্ডরে কল দিলে এখন আমার সাথে থাকবে আর এখানে ওখানে যাবে। *কেউ চিন্তা করে ঘরে ফিরে কোন কাজটা আগে করবে।

*কেউ চিন্তা করে সামনের মেয়েটা সুন্দর আছে এবং--------------- *কেউ চিন্তা করে বাস আসতে আরও ৫ মিনিট একটা সিগারেটে সুখটান দিয়া নেই। *কেউ চিন্তা করে রাজনীতির বর্তমান অবস্হা আর তার করণীয়। -------------------------- -------------------------- -------------------------- -------------------------- এককথায় লুল পোলাপাইনও ঘুরঘুর করে আবার ননলুলরাও। কিন্তু তাই বলে সবাইরে এক ক্যাটাগরিতে ফেললে তো হয়না। কেউ যদি এভাবে কোন পুলাপাইনরে দেখে ওড়না ঠিক করে তাইলে তার মাথায় থাকে ইস!সামনের এই পোলাটা আমার দিকে তাকাইতেসে।

জলদি ওড়নাটা ঠিক করিয়া লই। অথচ বাস্তবে দেখা যায় পোলাটা আপনের দিকে তাকায় নাই। তাইলে কি হইল?ঘোড়ারডিম কিছুই হইলোনা আর মাঝখান থেকে পোলাটার সম্মানটা গেল অ:ট:দুনিয়াতে কিন্তু এডাম টিজিংও কম হয়না। আর আপনেরাও পোলাপাইন সামনে পাইলে ডাইন হাতের সবগুলা আঙ্গুল ব্যবহার করিয়া ডাইন চোখের আইভ্রুর উপরের চুলগুলা সযত্নে সরাইয়া ডাইন কানের উপর লৈয়া যান। সেই কিলাস নাইন থেকে তা দেখিতেসি আর মজা পাইতাসি দুনিয়া পাল্টাইতেছে।

এক সময় আছিল যখন দেখতাম বড় ভাইগো ঐ রুবেল-রোজিনার প্রেমকাহিনী নিয়া বা বাপচাচাগো রাজ্জাক-ববিতা-শাবানার পিরীতি নিয়া ভদ্ররোমান্সে হাবুডুবু খাইতে বা তৃপ্ত হইতে। তরুণ রাজ্জাক সাহেব লাজুক শাবানার সামনে আসিয়া কি রহস্যময় কিছু একটা বলিল আর শাবানা লজ্জায় লাল হইয়া গালে হাত দিয়া পালাইল। যাউকগা। হে জামানা হয়ত গেছেগা বা নতুন রূপ নিয়া মাঝে মাঝে ঘুরিয়া ফিরিয়া আসে। ওহন আমাগো সেই রাজ্জাক-রুবেলের বীরত্ব দেখিয়া কেমন যেন পানসে লাগে।

অহন বরং ইমরান হাশমি ভাইয়ের রোমান্টিক চাহনির স্টাইল থেইকা আমরা শিক্ষা নিই। মানে হাশমি জেনারেশন পার করিতেছি। ডরাইয়েন না,আমরা প্রাণপ্রিয় হাশমি ভাইয়ের লাহান অতটা আগ্রাসী না,তবে ভদ্র। সমাজে বয়স্ক বড়দের একটা কথা প্রচলিত আছে যে আমরা এ যুগের পোলাপাইন বেশী পরিমাণে ইছড়েপাকা,অভদ্র,লুল........কিন্তু আমি কমু উল্টা কথা। এই হাশমী জেনারেশনের যুগে আমরা উল্টা ভদ্র হয়ে যাচ্ছি।

অতএব আমদেরকে সেই লুলদের ক্যাটাগরিটে ফালাইয়েন না। আমরাও তাকাই আপনাগো দিকে। তবে নেক নজরে না। আবার ঐ নিরামিষ্ষা রাজ্জাক-রুবেলের মতনও না। অতএব দয়া করিয়া এমন আচরণ করিয়েন না।

বড্ড অপমানিত হইতে হয় যাই হউক শিরোনামে ইমরান মামার কথা কইলাম কারণ তার কাছ থেকে শিখার অনেক কিছুই আছে। আত্মবিশ্বাস,দৃঢ়চেতা,সুন্দর বাচনভংগি,হাসার স্টাইল আরও কত কি। ইমরানের একটাই এখন পর্যন্ত কমতি তা হইল দুই বিউটি কুইন প্রিয়াংকা আর ক্যাটরিনার বিপরীতে কোন রোল না পাওয়া। কিন্তু তারপরেও এ যুগে সে কিছুটা হলেও আমগো অনুপ্রেরণার উৎস হইয়া প্রতিষ্ঠিত হইয়া আছে। যাউকগা আপনেগো লাইগা অনেক অপ্রিয় সত্য কথা হয়ত কইয়া ফেলাইলাম।

মাইন্ড খাইয়েন না। মোরাল অফ দ্য স্টোরী:প্রাণপ্রিয় আপুমণিরা,আপনারা আমাদের অপরিচিত কাউকে রাস্তাঘাটে দেখে যদি ওড়না বা শাড়ির আঁচল ঠিক করেন তাইলে যে আমরা বড্ড অপমানিত হই। তবে ঠিক না করিলে আমরা ইমরান হাশমিতে পরিণত হব না গ্যারান্টি!!!  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।