আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বি পজিটিভ

The vision never dies....Life's a never ending wheel! একটা পুরানো কৌতুক ইদানিং বেশ মনে পড়ে.... গ্রামের এক মহিলা বৃষ্টির দিনে বাজারের রাস্তা ধইরা হাইটা যাইতেছিলো। মাটির রাস্তায় মহিলা হঠাৎ পিছলা খাইয়া পড়লো!!! আশে-পাশে সবই পুরুষ মানুষ। কেউ মহিলাটারে সংকোচে সাহায্য ও করতে পারতাছে না, মন খুইলা কেউ হাসতে ও পারতাছে না। মহিলা পরিস্থিতি বুঝতে পারলো। তখন নিজের শাড়ির আচলের গিট থেকে পান বের করতে করতে মহিলা উচু গলায় বলতে শুরু করলো- "বইলাম যখন, পান'ডা খাইয়াই লই!!!" =============================== এই কৌতুকটা মনে কইরা আমি বারবার অনুপ্রাণিত হই।

যেকোন বিষয়ে পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করি। গতকাল রাতে ঘুমানোর সময়ের ঘটনা। অনিচ্ছাসত্তে ও মশার ডরে মশারি টানাইলাম। মশারির ভিতরে যেই ঢুকমু, এমন সময় ম্যাডাম আসলো, থুক্কু ইলেক্ট্রিসিটি গেলো!! এই অবস্থায় ঘুম আসবো না এইটা বুঝতে পাইরা বারান্দায় গিয়া দাড়াইলাম, আর লোডশেডিং-এর পজিটিভ দিক খুইজা বের করতে শুরু করলাম। চিন্তাভাবনা থেইকা প্রাপ্ত কিছু ফলাফল আপনাদের সামনে পেশ করতাছি।

১। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। এই যেমন নরমালি আমার বাসায় ইলেক্ট্রিসিটির বিল আসে ১৫০০টাকা, কিন্তু গত মাসে আসছে ১০০০ এর মত। এখন লোডশেডিং হইলেই আমি আন্ধারে ও খালি ৫০০টাকার নোট দেখি!! ২। বাংলা ধীরে ধীরে তার পুরানো ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে।

ইদানিং এতো পরিমানে লোডশেডিং হয় যে, জেনারেটর, আইপিএস ও ক্লান্ত। ফলে মানুষজন আবার সেই কুপি,হারিকেন,তালের পাখা ব্যবহার করতে বাধ্য হইতাছে। আহা, নিজের অজান্তেই মনে মনে গান গাওয়া শুরু কইরা দেই..... পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি আর............ ৩। শরীর স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়। এই যেমন প্রায়ই অফিস থেইকা বের হওয়ার সময় দেখি লিফ্ট বন্ধ।

জেনারেটরে ও তেল থাকে না। হাইটা হাইটা ১৫তলা নাইমা পড়ি। একবারে স্লিম হইয়া গেলাম। ৪। মা-খালারা এখন হিন্দি সিরিয়াল দেখা কমায়া দিছে।

আল্লার রহমতে কয়েকদিন পরে তারা আশা করি এইসব সিরিয়ালের কথা একেবারেই ভুইলা যাইবো। আমিন। ৫। শহরের মানুষজন এখন একদম অসামাজিক হইয়া গেছে। কিন্তু লোডশেডিং আবার সেই সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতাছে।

ইলেক্ট্রিসিটি গেলেই সবাই ছাদে দৌড় দেয়। ঐখানে বিল্ডিং-এর বাকি আরো মানুষজনের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। ৬। চুরি-ডাকাতি তো এখন নাই বললেই চলে। চোরেরা কেমনে চুরি করবো?!! এই গরমে কি রাতে ঘুমানো যায়!! মানুষজন রাতের বেশির ভাগ অংশই সজাগ থাকতে বাধ্য হয়।

ফলে চোর-ডাকতদের কোনো সুযোগই নাই। ৭। প্রেম-পিপাসু ভাই-বোনেদের জন্য তো এইটা বিশাল এক সুযোগ। গরমে ছাদে কিংবা বারান্দায় গিয়া দাড়াইবেন, পাইলে ও পাইতে পারেন........!! তবে সাবধানে। আমাকে কোনোভাবে কোনো কিছুর জন্য দায়ী করা যাবে না।

৮। স্কুলগামী পুলাপাইনগো লাইগা তো এখন প্রতি রাইতই চান রাইত। লোডশেডিং হইলেই আশেপাশে আন্ডা-বাচ্চারা ...... ইয়েএএএএএএএএএএএএএ........... বইলা চিল্লায়া উঠে। এরা উৎফুল্ল হইয়া উঠে। ফলে তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ হরলিক্সের সাথে পাল্লা দিয়া বিকশিত হইতে থাকে।

৯। ব্লগে ইদানিং লেখা আগের তুলনায় কম আসে। মানুষ বেশিক্ষণ সময় ও দিতে পারতাছে না। ফলে ব্লগীয় ক্যাচাল অনেক কইমা গেছে। সবাই সুখে-শান্তিতে ব্লগে অবস্থান করতাছে।

১০। পরীক্ষার্থী ভাই-বোনেরা কোনো ডর নাই। নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিয়া যান। রেজাল্ট খারাপ হইলে এক্সকিউজ তো রেডিই আছে!! ১১। কয়েকদিন আগে দেখলাম ১ঘন্টার লাইগা সারা বিশ্বে আর্থ আওয়ার পালন করছে পাওয়ার সেভ করার জন্য।

আর আমরা নিয়মিত প্রতিদিনই ৫-৭ ঘন্টা এই জিনিস পালন করতাছি। এই ব্যাপারটা আরেকটু ফলাও কইরা প্রচার করা গেলে আমাদের দেশে আরেকটা নোবেল আইসা ও পড়তে পারে। যাইহোক, আপাতত এইখানেই শেষ করতাছি। ম্যাডাম আসছেন, থুক্কু ইলেক্ট্রিসিটি গেছেগা। আমার ইউপিএস আবার আশরাফুলের মতন সময় সচেতন!! ২মিনিটের বেশি কোনোভাবেই ক্রিজে স্টে করে না।

আপনারা আরো কোনো পজিটিভ দিক খুইজা পাইলে আমারে জানান। আমি ও এখন ঘন্টাখানেক গভীর চিন্তা করমু। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।